নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি গোসাইগঞ্জে দুর্বৃত্ত কর্তৃক নিধনকৃত বন রক্ষার্থে গণসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭শে মে) দুপুরে উপজেলার চিলাহাটিতে বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই'র সভাপতিত্বে গণসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেয়াজুল ইসলাম কালু, ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খোরশেদ আলম, ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রউফ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বন। বন বিভাগের গোসাইগঞ্জ বিটের জমির উপর যেহেতু মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, সেহেতু মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত গাছ কর্তন করা আইনগতভাবে অপরাধ। যেই পক্ষ আদালতের রায় পাবে, সেই পক্ষ জমি ও গাছের মালিকানা পাবে। ততদিন কেউ বন বিভাগের গাছ কর্তন করতে পারবেন না।
এলাকাবাসী জানায়, গোসাইগঞ্জ বন বিভাগ থেকে প্রায়ই রাতের আঁধারে ছোট-বড় গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন বিভাগের অনেক জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে। কে বা কারা গাছ কেটে উজার করে ফেলছে, তা সঠিকভাবে কেউই শনাক্ত করতে পারেনি।
তবে বন বিভাগের দাবি, জমির মালিকানা দাবি করা কিছু ব্যক্তি বন বিভাগের গাছ কেটে জায়গা ফাঁকা করে ফেলেছে।
অপর দিকে, জমির মালিকানা দাবি করা ব্যক্তিদের দাবি, আমাদের পৈত্রিক সূত্রের রেকর্ডকৃত জমি রাতের আঁধারে গাছ লাগিয়ে জবরদখল করে নিয়েছে বন বিভাগ। জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বন বিভাগ আদালতে কোন কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি। তাই আমাদের নাজেহাল করতে বন বিভাগের কিছু লোক রাতের আঁধারে গাছ কেটে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। এভাবে একে-অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে রাতের পর রাত গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের গাছ কেটে বন উজার করে ফেলছে।
গণসচেতনতামূলক সভায় চিলাহাটির গোসাইগঞ্জ এলাকার শতশত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।