উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হল ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতাল সড়ক। চিকিৎসা সেবা নিতে এ সড়ক দিয়ে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ায় বিটুমিন ইট সুরকি উঠে গিয়ে পৌর সদর চৌরাস্তার মোড় হতে হাসপাতাল ঘেঁষে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের নয়শিমুল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। ধামদী এলাকায় সড়কের দক্ষিণ পাশে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়ে যানবাহন সহ পথচারীদের চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সড়ক পথে প্রতিদিন শত শত যানবাহন এম্ব্যুলেন্স খানাখন্দের কাঁদা জল মারিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে রোগি নিয়ে আসা যাওয়া করে। রাস্তাটি গত সপ্তাহের টানা বর্ষনে এতই বেহাল হয়েছে যে, পথচারী সহ যানবাহন চলাচল সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। প্রায় সময়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।
ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ রাজেশ চক্রবর্তী জানান, উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা স্থল ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরগঞ্জ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর, নান্দাইল ও কেন্দুয়া উপজেলার রোগিরা এ সড়কে প্রবেশ করেই পড়েন চরম দুর্ভোগে।
ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাদিয়া তাসনিম মুনমুন জানান, এ হাসপাতালে মাসে প্রায় শতাধিক গর্ভবতী নারীকে সিজার সহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এ বেহাল সড়ক দিয়ে আসার সময় ঝাঁকুনিতে অনেক গর্ভবতী নারীর প্রসব ব্যথা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়ে নবজাতক সহ প্রসূতির নানাবিদ সমস্যা দেখা দেয়। ভাঙ্গা সড়ক পার হয়ে হাসপাতালে আসার পথে যানবাহনেই বাচ্চা প্রসবের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট হৃদ রোগিদের বুক ও ব্যাকপেইন বেড়ে গিয়ে আশংখ্যাজনক হয়ে পড়ে। তিনি রোগিদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে জরুরী ভিত্তিতে সড়ক সংস্কারের দাবি জানান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ঈশ্বরগঞ্জ শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম জানান, ২০২০ সালে ১’শ ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর সদর চৌরাস্তা থেকে আঠারবাড়ি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ পায় তাহের ব্রাদার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদার ১২ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ করার পর সোহাগী ইউনিয়নের বগাপুতা অংশে এক কিলোমিটার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের নয়শিমুল হতে পৌর সদর চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের দু’পাশের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। হাসপাতালটি এই অংশে পড়ায় রোগি সহ পথচারিদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত ৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরী করে অনুমোদনের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে জুন মাসের মাঝেই সড়কের দু’পাশের ভুমি অধিগ্রহণ সহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৩ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে