কোরবানির পশুর চামড়ার যথাযথ সংরক্ষণ এবং এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলো যাতে ন্যায্য মূল্য পায়, তা নিশ্চিত করতে সরকার এবার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২৬টি এতিমখানা/মাদ্রাসায় সরকারীভাবে বিনামূল্যে ১৫ মেট্রিকটন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি চামড়া সংরক্ষণের জন্য ভেড়া/ছাগল প্রতি ৪কেজি এবং গরু/মহিষ প্রতি ৮কেজি হারে লবণ বিতরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ই জুন মাদ্রাসা ও এতিমখানা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চামড়া সংরক্ষণের জন্য বৈঠক করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, কুরবানির পশু জবাইয়ের পর চামড়া পঁচে যাওয়ার শঙ্কায় ওইদিনই বিক্রি করলে দাম অনেকটা কম পাওয়া যায়। চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। এতে মাদ্রাসা এবং এতিমখানা উপকৃত হবে। চামড়া যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য লবণ দিয়ে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। পশু জবাইয়ের স্থান যথাযথভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
ঈদের দিন বিকেল থেকেই উপজেলা প্রশাসনকে চামড়া সংরক্ষণের পয়েন্ট গুলো পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় চামড়া পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোহান সরকার। সঙ্গে ছিলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্পনা রানী সহ নন্দীগ্রাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের শুভ্র বসাক ও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের কোরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান উপজেলা প্রশান।
৩ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে