বুয়েনস আইরেসের মোনুমেন্টাল স্টেডিয়াম যেন ভাসছিল আবেগে আর উদ্যাপনে। লিওনেল মেসি আর আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের অমলিন প্রতীক। বিশ্ব ফুটবলের রূপকথার চরিত্র। নিজ দেশের মাঠে শেষবারের মতো নেমেছিলেন সাদা-আকাশি জার্সি গায়ে। আবেগঘন রাতে আলো ছড়ালেন মেসি। জোড়া গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে জয় এনে দিলেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা। এ ম্যাচটি ছিল ঘরের মাঠে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ৮০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে সন্তানদের হাত ধরে মাঠে নামেন মেসি। গ্যালারির গর্জনে ভেসে যাচ্ছিল আকাশ, সমর্থকদের চোখেমুখে বিদায়ের আবেগ। জাতীয় সংগীতের সময় চোখের জল আটকাতে পারেননি ৩৮ বছর বয়সী অধিনায়ক।
খেলার প্রথম ভাগেই গোলের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। নিকোলাস টাগলিয়াফিকো ও তরুণ ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানোর শট ঠেকিয়ে দেন ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক রাফায়েল রোমো। তবে ৩৯তম মিনিটে গোল উৎসবে মাতলেন সমর্থকেরা। জুলিয়ান আলভারেজ বক্সে ঢুকে শট না মেরে বাড়ান বল, পাশে থাকা মেসি ঠাণ্ডা মাথায় বাম পায়ে গোল করে দেন। স্টেডিয়াম জুড়ে তখন শুধুই মেসি-মেসি ধ্বনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ ধরে রাখে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৭৬ মিনিটে নিকো গঞ্জালেসের ক্রসে হেড করে গোল করেন লাওতারো মার্টিনেজ। আর চার মিনিট পরই আবারও মেসির ম্যাজিক—থিয়াগো আলমাদার শুরু করা আক্রমণ শেষ করেন নিজস্ব দক্ষতায়। ম্যাচের বাকি সময়ে আর গোল না হলেও জয় নিশ্চিত হয় ৩-০ ব্যবধানে। এ জয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা বাছাইপর্বের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর।
ম্যাচ শেষে সন্তানদের বুকে জড়িয়ে বিদায়ী মুহূর্ত উপভোগ করেন মেসি। এরপর গণমাধ্যমকে বলেন, এটা আমার জন্য খুবই বিশেষ একটি ম্যাচ ছিল। কারণ ঘরের মাঠে এটিই আমার শেষ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সামনে আরও ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বা অন্যকিছু হলেও হতে পারে, কিন্তু এ ম্যাচটা ছিল আবেগে ভরপুর। আমার পরিবার ছিল গ্যালারিতে, আমরা সবাই একসঙ্গে উপভোগ করেছি।
১২ দিন ২০ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৫ দিন ১৮ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৫ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২৬ দিন ২০ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
২৯ দিন ১৪ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৩৪ দিন ৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৪২ দিন ২২ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৪৮ দিন ৯ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে