শর্মিলা আচার্য্য বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনুপ্রেরণা, ফ্রিল্যান্সিং জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
আজকের তরুণ প্রজন্মের মাঝে যে ক’জন উদ্যমী, আত্মনির্ভরশীল ও স্বপ্নবাজ তরুণী নিজেদের মেধা, পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে সফলতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে শর্মিলা অন্যতম। তিনি একদিকে যেমন শিক্ষায় মনোযোগী, অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিজেকে গড়ে তুলছেন এক অনন্য রোল মডেল হিসেবে। শর্মিলা বর্তমানে E-Learning and Earning LTD.-এর অধীনে যুব মন্ত্রণালয়ের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্পে যুক্ত থেকে নিজেকে আরও দক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি শুধু নিজের জীবনকেই এগিয়ে নিচ্ছেন না, বরং দেশের অসংখ্য তরুণ-তরুণীর জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে সাফল্যের সঙ্গে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বর্তমানে শর্মিলা আচার্য্য মাস্টার্স পর্যায়ে অধ্যয়নরত, যেখানে তাঁর একাগ্রতা ও অধ্যবসায় তাঁকে আরও জ্ঞানের শিখরে পৌঁছে দিচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ ও প্রতিশ্রুতি তাঁকে আজ দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি ভারত সরকারের অর্থায়নে Bangladesh Youth delegation- (BYD 2023) ভারত সফরে অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকার এবং ৭ দিন যাবত ভারতের বিভিন্ন পর্যটন স্পট , ইতিহাস,ঐতিহ্য, শিক্ষা সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন । এ সফরের মধ্যে দিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীর সম্ভাবনা, কর্মসংস্থানের সুযোগ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তব রূপ তুলে ধরেছেন। শর্মিলার সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাঁর আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার। তিনি বিশ্বাস করেন“প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই রয়েছে এক অদম্য শক্তি, শুধু প্রয়োজন সেই শক্তিটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো।” তাঁর জীবনের প্রতিটি ধাপে এই বিশ্বাসই তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের তরুণ সমাজ আজ যেখানে নানা দিক থেকে হতাশায় নিমজ্জিত, সেখানে শর্মিলা তাঁদের দেখাচ্ছেন এক নতুন সম্ভাবনার পথ—ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়ার পথ। তিনি নিজের মতো হাজার তরুণীকে স্বপ্ন দেখাতে চান, স্বনির্ভর হতে উৎসাহ দিতে চান। শর্মিলার এই যাত্রা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের নারীর অগ্রযাত্রার এক মাইলফলক। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা থাকলে নারীরাও বিশ্ব জয় করতে পারে নিজের দক্ষতা, জ্ঞান ও পরিশ্রমের মাধ্যমে। সর্মিলা আজ শুধু একজন ফ্রিল্যান্সার নন, তিনি এক অনুপ্রেরণার প্রতীক, এক জন মেন্টর এবং এক আলোকিত নাম—যিনি প্রমাণ করেছেন, স্বপ্নের পেছনে ছুটলে সফলতা একদিন নিশ্চিতভাবেই ধরা দেয়।