পবিপ্রবিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান নোয়াখালীতে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার-৩ ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের কারাবরণ : বিক্ষোভে উত্তাল ডোমার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে : জুড়ীতে জামাত আমীর মোংলা বন্দর শ্রমিকদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শহর উত্তপ্ত বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে আশাশুনিতে কেমিস্টস সম্মেলন অনুষ্ঠিত জবি অবকাশ ভবনের ছাদের দেয়ালে ধ্বস, আহত ১ ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ৯টি ড্রেজার মেশিন, ৩টি মাচাসহ অসংখ্য পাইপ ধ্বংস পানি নিরাপত্তায় কালিঞ্চি খাল পুনঃখনন উদ্বোধন উপকূলীয় কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের চর্চাকারীদের অভিজ্ঞতা বিনিময় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু পরিবহণের দায়ে দুইজনের কারাদণ্ড স্বঘোষিত বাহাসের প্রবক্তা শফি কাসেমীর সংবাদসম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের অভিযানে ৫৭০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রতনের শ্বশুরের ইন্তেকাল রাজশাহীর বাঘায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে বাহাস নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মাহমুদুর রহমানসহ ৫ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে মানববন্ধন জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে এডিবির বিনিয়োগ জলবায়ু সংকটকে তীব্র করছে

আমরা কি আসলেই স্বাধীন, নাকি শুধু নামেই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি?


২৬ মার্চ, ১৯৭১, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশের নাম যুক্ত হয়। বিশ্বের ইতিহাসে যে কয়টি দেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পূর্বেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৭১ সালের ২৬-শে মার্চ বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর স্বাধীনতার এই মহান বাণী এসেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর বজ্রকণ্ঠ থেকে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও এর বীজ বপিত হয়েছিল মূলত ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬-র ছয়দফা আন্দোলন,১৯৬৯-র গণঅভ্যুত্থান,১৯৭০-র নির্বাচন—অগণিত আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যে স্বপ্নকে বুকে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল তারই বাস্তব প্রতিফলন ঘটে ২৬-শে মার্চ। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙালিরা পশ্চিমাদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নামে। যার ফলস্বরূপ, ১৯৭১ সালের ১৬-ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। 

আজ আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। তবুও কোথাও যেন একটা হতাশা রয়েই যায়! স্বাধীনতার ৫২ বছরেও কি বাংলাদেশ আদৌ প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে? নাকি শুধু নামেই স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে? কথায় আছে, স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা আরও বেশি কঠিন। আমরা নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি ঠিকই, কিন্তু সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার সামর্থ্য বা মন-মানসিকতা আমাদের কারোরই নেই। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে অজস্র বই রচিত হয়েছে। প্রতিবছর মহা ধুমধামে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এই দিনটিকে সরকারিভাবে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা কি শুধু বইয়ের পাতা আর ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? শুধু এইটুকুর জন্যই কি আমাদের পূর্বপুরুষেরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? মূলত আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত শোষণহীন সাম্য সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুও ঠিক এমন লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এই বাংলা একদিন সোনার বাংলায় পরিণত হবে। কিন্তু কার্যত তার সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে, তা আর বাস্তবে রূপ লাভ করতে পারে নি। কারণ তার সেই স্বপ্ন পূরণের ধারা থেকে আমরা অনেকদিন আগেই দূরে সরে এসেছি। 

       স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫২ বছর পার হয়ে গেলেও আমাদের সমাজ জীবন থেকে দারিদ্র্য ঘোচেনি, ঘোচেনি বেকারত্ব। দেশে যে হারে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে সেই হারে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। চাকরির বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রনয়ণ করতে না পারা তার অন্যতম কারণ। এছাড়াও দেশের শিক্ষাঙ্গনে বিরাজ করছে চরম বিশৃঙ্খলা। যেখানে ছাত্রদের ওপর দেশ ও জাতির গৌরব নির্ভর করে, সেখানে তারাই অনেকক্ষেত্রে সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। "দুই কলেজের ছাত্রদের মধ্যে মারামারি","বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি", "ম্যানার শেখানোর নামে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং"—এসব শিরোনাম আজকাল প্রায়ই খবরের পাতায় দেখা যায়।

       স্বাধীনতার পরিপূর্ণ স্বাদ আস্বাদন করতে হলে সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। কিন্তু সেই দুর্নীতিতেই আমাদের দেশ আজ জরাগ্রস্ত। সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি সংক্রামক ব্যাধির মত বাসা বেঁধেছে। বেসরকারি,সরকারি,আধা-সরকারি সকল পর্যায়ে রয়েছে উপঢৌকনের নামে ঘুষ দেয়া-নেয়ার সংস্কৃতি। 

        সমাজের সর্বত্রই চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সামান্য কারণেই এখানে একজন আরেকজনকে হত্যা করে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয় না, হত্যাকারী আবার সদর্পে বুক ফুলিয়ে ঘুরেও বেড়ায়। রাজনীতির নামে চলছে কলুষিত রাজনীতি। যেখানে ব্যক্তিস্বার্থই মুখ্য এবং মানবসেবা গৌণ। দেশ ও দশের স্বার্থের পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের প্রতি বেশি মনোযোগী রাজনীতিবিদরা। মূলত নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তারের অভিপ্রায়ে মানুষ এখন রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছে। 

        হাজার বছরের পুরোনো বাঙালি সংস্কৃতিও এখন অপসংস্কৃতির ছোবলে মৃতপ্রায়। এখানে একে অপরের সম্পত্তি দখল কর‍তে মরিয়া। ধনীরা ক্রমাগত ধনী হচ্ছে, আর গরিবেরা আরো গরীব হচ্ছে। নারীরা প্রতিনিয়ত ধর্ষনের শিকার হচ্ছে। দিন-দুপুরে সবার চোখের সামনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলছে। অথচ প্রতিবাদ করার কেউ নেই। বঙ্গবন্ধু কি এমন সোনার বাংলা চেয়েছিলেন? আমদের শহীদেরা কি এমন দেশের জন্যই আত্মাহুতি দিয়েছিল? না, তারা কখনোই এমন বাংলাদেশ চায় নি। তারা চেয়েছিল সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। তাদের প্রত্যাশা আমরা পূরণ করতে পারি নি, এটা আমাদেরই ব্যর্থতা। এর দায়ভার আমাদেরই নিতে হবে। 


আরও খবর
deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

১১ দিন ১০ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

২২ দিন ১৪ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে


67f00c4be906d-040425104355.webp
অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি?

২৪ দিন ২২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে


deshchitro-67e77b5f5d7ad-290325104727.webp
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা

৩১ দিন ১০ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে


67e68cb231674-280325054906.webp
ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বার্তা

৩২ দিন ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে