১০ কোটি টাকার বৈধ বালু মহাল ঘিরে প্রকাশ্যে স্পিডবোর্ডে অস্ত্রের মহড়া দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী সুনামগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উপহার প্রদান করেছে আব্দুল্লাহ ফাউন্ডেশন শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল: ১৫ বছর পর নতুন কমিটি, ফিরে আসার আনন্দে উল্লাসিত নেতাকর্মীরা দৌলতদিয়া - পাটুরিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি গোয়ালন্দে অস্ত্র মামলার আসামী গ্রেফতার, ইয়াবাসহ ধরা পড়ল মাদক ব্যবসায়ী । নোয়াখালীতে গরু বাজার নিরাপত্তা জাল টাকা বিস্তার রোধে র‍্যাবের নজরদারি ঈদুল আযহায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রশিবিরের আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজ চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে পেটালো ছাত্রদল নেতা দৌলতদিয়া লঞ্চে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুই মাদকসেবী আটক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড কয়রায় ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে আইনজীবীকে হয়রানির অভিযোগ বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পাইনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীসহ ১০ জেলায় বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা টানা বৃষ্টি ও গণপরিবহন সংকটে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ঈদে ছুটি বাতিল শিবচরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের কমিটি গঠন প্রকাশিত খবরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসননের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী পেল ৩৩০ সুবিধাবঞ্চিত যৌনকর্মী। শার্শায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহতের ঘটনার ৯ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী আটক জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর ছাত্রদল নেতা পিয়াল হত্যা মামলার তিন জন আসামী গ্রেপ্তার

২৬ মার্চ, রক্ত রঙিন নতুন সূর্যের দিন

'ভয়াল এক কালরাতের সেই ধ্বংসস্তূপ আর শত শত লাশের মাঝে রক্ত রঙিন এক নতুন সূর্যের দেখা। লাশপোড়া ভোরে সারি সারি করা স্বজনদের মৃতদেহ,কান্নারত ক্ষুধার্ত শিশুর পাশে পড়ে থাকা মায়ের নিথর দেহ, চোখের সামনে পুড়ছে নিজের ভিটেবাড়ি।চোখে জল নিয়ে নিজের সাথেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলার ছেলেরা মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে বিলিয়ে দিলো নিজের প্রান।ছিনিয়ে আনলো বাংলার স্বাধীনতা।'



২৬শে মার্চ ১৯৭১,দিনটি ছিলো শুক্রবার।লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সাথের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা করে। আর এই দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার। তাই ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন। 



২৪ ঘন্টা,১৪৪০ মিনিট,৬৩ হাজার ৪০০ সেকেন্ডের একটি দিন!সময়ের মাপকাঠিতে খুব অল্প কিন্তু একটি ঘটনা ঘটার জন্য এই একটি দিনই যথেষ্ট। ২৬শে মার্চ, এই দিনটির পেছনে রয়েছে বহু ঘটনা সংবলিত এক করুন ইতিহাস।


১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের সাথে নানা ভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে থাকে। তারা প্রথম আঘাত করে বাঙালির ভাষার উপর। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠের মুখের ভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৯৭১ সাথে ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলার দামাল ছেলেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে। 


১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলেও পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী তা ভেঙে দেয়। ধীরে ধীরে শুরু হয় ছয় দফা ও এগারো দফার মতো আন্দোলন, যা পরবর্তীতে গণআন্দোলনে রূপ নেয়।আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান সরকার পদত্যাগ করার পর ক্ষমতায় বসেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। 


১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার দুষ্টু চক্রান্তে মেতে উঠে। ইয়াহিয়া সরকার বাঙালিদের সাথে আলোচনায় বসার নাম করে কালক্ষেপণ শুরু করতে থাকেন।


এই ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  ১৯৭১ সাথের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) বিশাল জনসভায়  এক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

'এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম'–ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো শহর। ২৫শে মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানিরা নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালিদের উপর চালায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ , যার নাম দেয়া হয় 'অপারেশন সার্চলাইট'। 


২৫ মার্চ  জিরো আওয়ারের গণহত্যা শুরুর আধা ঘন্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু  স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ঘোষণা করেন:'আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। '

২৬শে মার্চ গ্রেফতার হওয়ার আগ মূহুর্তে বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। 


২৬ মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ বঞ্চনার অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার দিন। রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপনের দিন।পশ্চিমাদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করা ডাক এসেছিলো এই দিন। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলার দামাল ছেলেরা নিজের জীবনের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিলো বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। 


বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশ এবং ৭ই মার্চের ভাষণের মাধমে বাঙালিরা পাকিস্তানের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে  লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। 


শুরু হয় নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।নেতার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলো বাংলার সকল স্তরের,সকল পেশার মানুষ, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রু মোকাবিলায় ঝাপিয়ে পড়ে। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য  অকাতরে প্রাণ দিয়ে গেছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে,২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ বাংলার মানুষ তাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীন মাতৃভূমি অর্জন করতে পেরেছে। 


সবশেষে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শত্রুমুক্ত হয় দেশ। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। তারপর থেকে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন হয়ে আসছে। 

আরও খবর

deshchitro-682b1b69ea61c-190525055209.webp
কারিগরি শিক্ষায় দ্রুত আধুনিকায়ন প্রয়োজন

১৭ দিন ১৪ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে


681f5098c2db0-100525071152.webp
স্বাধীন গণমাধ্যম: সমাজের আয়না

২৬ দিন ১৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে


deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

৪৮ দিন ২১ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

৬০ দিন ১ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে


67f00c4be906d-040425104355.webp
অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি?

৬২ দিন ৯ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে