ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি ইরান গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৬ জনসহ নিহত ২৪ ভেন্যু কেন্দ্র পুর্নবহালের দাবিতে মধুপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করার অঙ্গীকার দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের নাসার সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ লাখাইয়ে বোরো ধান কাটা শুরু। কোম্পানীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক ইশতিয়াক আহমেদ নাটোরে বিএনপি নেতাকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিলো নেতাকর্মীরা কালিগঞ্জে মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত: ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ‘বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সিঙ্গাপুর মডেল অনুসরণ করা প্রয়োজন’ ডোমারে ব্লাড ব্যাংক-জোড়াবাড়ীর পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ রহমতের বৃষ্টি চেয়ে কমলগঞ্জে ইস্তিসকার নামাজ আদায় ডোমারে নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ডোমারে ছাত্রদলের মানববন্ধন ফিলিস্তিনে খুনি ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে গোমস্তাপুরে ছাত্রদলের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ইসরায়েলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে কুবিতে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানের ১১০ কেজি হরিণের মাংস সহ ১ চোরাশিকারী আটক বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ভারতীয় মালামাল জব্দ ফিলিস্তিনে গণহত্যা, নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আশাশুনির কাদাকাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আশাশুনিতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস পালন

দিবসের আত্ম কথন - নাজমুন নাহার

ছবি - নাজমুন নাহার


◾ নাজমুন নাহার


দূরে রাত বারোটা বাজার ঘন্টা ধ্বনি বাজলো, ঢং ঢং। আমি এক দিবস। ২৪ ঘন্টা ১৪৪০ মিনিট ৮৬৪০০ সেকেন্ডে আমি আবৃত। রাত বারোটা থেকে আমার চলা শুরু। শেষ আবার রাত বারোটা। এভাবে প্রতিনিয়ত আবর্তিত আমি। এসময় আমি কত কিছু করি কত কিছু দেখি কত হাসি, কত কান্না, কত দুঃখ, কত বেদনা, কত জয়, কত পরাজয়,কত বিষন্নতার সাক্ষী আমি। কত সাধু কত দস্যু আমার বুকে রাজ করে,কত ধনী কত অভাবী তাদের উল্লাস, তাদের রোনাজারি আমাকে একদিকে সুখী করে অপর দিকে আহত করে। এক কান্নায় আমি আনন্দিত যখন পৃথিবীর বুকে নতুন মানুষ পদার্পণ করে, আরেক কান্নায় আমি নিজেও কাঁদি যখন মানুষ দুনিয়া ছেড়ে যায় চলে, কেন এমন হয়? আমি দিবস আমার সাতটি নাম শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি। মানুষেরা তাদের কর্ম দিয়ে আমার নাম গুলোর মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়। এভাবে এক দিন দুদিন করে আমি সাতটি বারে পরিণত হই।


যাকে মানুষেরা সপ্তাহ বলে। ক্যালেন্ডারের তারিখ গুলো কে সাথে নিয়ে পথ চলি।আমার শেষ নামটা শেষ হলে আবার আমার প্রথম নামটা শুরু হয় পরের দিবস তার পরেরটা,,,এভাবে এক সপ্তাহ দুসপ্তাহ করে করে ৪ সপ্তাহে আমি আর দিবস থাকি না মাস হয়ে যাই। যেদিন পূর্ণ মাস হয় তারপর থেকে আবার আমি আগের মত দিবসে পরিণত হই।ক্যালেন্ডারে সংখ্যাগুলোকে নিয়ে আবার আমার পথ চলা। এভাবে মাসের পর মাস,,,মাসগুলোর আবার নাম আছে জানু,ফেবু,,,,থাক বাবা আর বলবো না,, আমি আদার ব্যাপারী আমার কি দরকার জাহাজের খবর নেয়া।এ নামের মাস গুলো যখন ক্যালেন্ডারে 12 মাসের নাম পূর্ণ হয় তখন মানুষ তাকে বছর বলে।আমি ছোট তবে আমার খুশি লাগে এই ভেবে যে পৃথিবীর ধ্বংসের শেষ পর্যন্ত আমি থাকবো। জাতীয় দিবসগুলোতে আমার খুশির সীমা থাকে না, আবার দুঃখ ও লাগে যখন লাল-সবুজ পতাকার পাশে কালো পতাকা রাখে।


কত জাঁকজমক করে আমাকে পালন করা হয়। কত মিছিল-মিটিং আনন্দ উৎসব শোক প্রার্থনা করা হয়।ওই দিনগুলোতে আমাকে ঝেড়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখে। রঙ বে রঙের বেলুন কেক কাটা, মজার খানাপিনা হয়।কোন একটা ঘটনা কে কেন্দ্র করে মানুষ আবার আমার অনেক নাম দেয় যেমন ভালোবাসা দিবস গোলাপ দিবস, পিতৃ দিবস, মাতৃ দিবস, শিশু দিবস,কবিতা দিবস হাজারো দিবস কত আর বলবো।দিবসগুলোতে সবাই আনন্দ উৎসব করে সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, সেজন্য আমার খারাপ লাগে না, ভালই লাগে। তবে সেদিন যেন কোথায় দেখেছি,,, হাঁচি দিবস। মনটা খারাপ হয়ে যায়।


এর ও কি দিবস প্রয়োজন আছে? জানি না বাপু মানুষের রুচি কেমন। তোমরা রাজ্য চালাও তোমরাই বুঝবা আমার কি!আমার কথা বললে শেষ হবেনা তোমাদের ও ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না। যাওয়ার আগে শুধু বলে যাই এই আমি দিবস, যে সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ তোমরাও তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকিও।


লেখক - সিনিয়র শিক্ষিকা । 

আরও খবর