শৈলকুপায় মহিষ চুরি,রাতের আঁধারে এক জোড়া মহিষ উধাও বড়লেখায় পিকেএসএফ ও পদক্ষেপ'র উদ্যেগে যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা মোংলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের পুরষ্কার বিতরণেরণের মাধ্যমে সমাপনি গুচ্ছ ভর্তি আবেদনের সময়সীমা বাড়লো ১২ জুন পর্যন্ত ‎ ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৪৮তম বিশেষ বিসিএস : প্রিলিমিনারি ও ফলাফলের তারিখ ঘোষণা আসছে আরেকটি নিম্নচাপ, জুনে হতে পারে বন্যাও শেখ মুজিবসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলতে ঢাকায় হামজা সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণ আদমদীঘিতে বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী নোয়াখালীতে ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক আদমদীঘিতে সড়কের পাশে পড়েছিল জাহাঙ্গীরের নিথর মরদেহ, উদ্ধার করল পুলিশ মাভাবিপ্রবি 'বৈছাআ'র উদ্যোগে এতিম শিশু ও আহত শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান মোংলায় গ্রাম্য হাটগুলোতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর কেনা-বেচা নন্দীগ্রামে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ লাখাইয়ের ঈদুল আজহায় শপিংমলে কেনাকাটায় নেই তেমন ভীর,আশঙ্কায় কাপড় ব্যবসায়ীরা। শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে এক রাতেই ৬টি নরমাল ডেলিভারি জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় সাতক্ষীরায় পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা শাকির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কর্মচারীদের হয়রানির অভিযোগ

দিবসের আত্ম কথন - নাজমুন নাহার

ছবি - নাজমুন নাহার


◾ নাজমুন নাহার


দূরে রাত বারোটা বাজার ঘন্টা ধ্বনি বাজলো, ঢং ঢং। আমি এক দিবস। ২৪ ঘন্টা ১৪৪০ মিনিট ৮৬৪০০ সেকেন্ডে আমি আবৃত। রাত বারোটা থেকে আমার চলা শুরু। শেষ আবার রাত বারোটা। এভাবে প্রতিনিয়ত আবর্তিত আমি। এসময় আমি কত কিছু করি কত কিছু দেখি কত হাসি, কত কান্না, কত দুঃখ, কত বেদনা, কত জয়, কত পরাজয়,কত বিষন্নতার সাক্ষী আমি। কত সাধু কত দস্যু আমার বুকে রাজ করে,কত ধনী কত অভাবী তাদের উল্লাস, তাদের রোনাজারি আমাকে একদিকে সুখী করে অপর দিকে আহত করে। এক কান্নায় আমি আনন্দিত যখন পৃথিবীর বুকে নতুন মানুষ পদার্পণ করে, আরেক কান্নায় আমি নিজেও কাঁদি যখন মানুষ দুনিয়া ছেড়ে যায় চলে, কেন এমন হয়? আমি দিবস আমার সাতটি নাম শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি। মানুষেরা তাদের কর্ম দিয়ে আমার নাম গুলোর মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়। এভাবে এক দিন দুদিন করে আমি সাতটি বারে পরিণত হই।


যাকে মানুষেরা সপ্তাহ বলে। ক্যালেন্ডারের তারিখ গুলো কে সাথে নিয়ে পথ চলি।আমার শেষ নামটা শেষ হলে আবার আমার প্রথম নামটা শুরু হয় পরের দিবস তার পরেরটা,,,এভাবে এক সপ্তাহ দুসপ্তাহ করে করে ৪ সপ্তাহে আমি আর দিবস থাকি না মাস হয়ে যাই। যেদিন পূর্ণ মাস হয় তারপর থেকে আবার আমি আগের মত দিবসে পরিণত হই।ক্যালেন্ডারে সংখ্যাগুলোকে নিয়ে আবার আমার পথ চলা। এভাবে মাসের পর মাস,,,মাসগুলোর আবার নাম আছে জানু,ফেবু,,,,থাক বাবা আর বলবো না,, আমি আদার ব্যাপারী আমার কি দরকার জাহাজের খবর নেয়া।এ নামের মাস গুলো যখন ক্যালেন্ডারে 12 মাসের নাম পূর্ণ হয় তখন মানুষ তাকে বছর বলে।আমি ছোট তবে আমার খুশি লাগে এই ভেবে যে পৃথিবীর ধ্বংসের শেষ পর্যন্ত আমি থাকবো। জাতীয় দিবসগুলোতে আমার খুশির সীমা থাকে না, আবার দুঃখ ও লাগে যখন লাল-সবুজ পতাকার পাশে কালো পতাকা রাখে।


কত জাঁকজমক করে আমাকে পালন করা হয়। কত মিছিল-মিটিং আনন্দ উৎসব শোক প্রার্থনা করা হয়।ওই দিনগুলোতে আমাকে ঝেড়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখে। রঙ বে রঙের বেলুন কেক কাটা, মজার খানাপিনা হয়।কোন একটা ঘটনা কে কেন্দ্র করে মানুষ আবার আমার অনেক নাম দেয় যেমন ভালোবাসা দিবস গোলাপ দিবস, পিতৃ দিবস, মাতৃ দিবস, শিশু দিবস,কবিতা দিবস হাজারো দিবস কত আর বলবো।দিবসগুলোতে সবাই আনন্দ উৎসব করে সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, সেজন্য আমার খারাপ লাগে না, ভালই লাগে। তবে সেদিন যেন কোথায় দেখেছি,,, হাঁচি দিবস। মনটা খারাপ হয়ে যায়।


এর ও কি দিবস প্রয়োজন আছে? জানি না বাপু মানুষের রুচি কেমন। তোমরা রাজ্য চালাও তোমরাই বুঝবা আমার কি!আমার কথা বললে শেষ হবেনা তোমাদের ও ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না। যাওয়ার আগে শুধু বলে যাই এই আমি দিবস, যে সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ তোমরাও তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকিও।


লেখক - সিনিয়র শিক্ষিকা । 

আরও খবর