দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের বনতারা মাজাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী মোতালেবের ছেলে এলপিআরে থাকা সেনা সদস্য রাশেদুর রহমানের বিরুদ্ধে অত্র ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফজলুর রহমানের বাড়ীতে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ঘড়ের জিনিষপত্র লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
২৮এপ্রিল দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় মো.রাশেদুর রহমান ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী এই কর্মকান্ড ঘটায় বলে জানা যায়।
রাশেদুরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর সময় বাড়িতে উপস্থিত থাকা মোঃ ফজলুর রহমানের স্ত্রী শহরবানু জানায় আমি রাশেদুরকে নিষেধ করতে গেলে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাকে হাসুয়া দিয়ে ভয় দেখায় এবং একজন লাঠি দিয়ে তিন চারটা বাড়ী মাড়ে।ঘড়ের ভিতর তারা প্রবেশ করে ষ্টিল আলমারী খুলে,ঘড়ের জিনিষপত্র উলোট পালট করে ঘরে রক্ষিত টাকা পয়সা ও জিনিষপত্র লুট করে নিয়ে যায়।ফজলুর রহমানের ছোট ছেলে আব্দুল মালেকের স্ত্রী নেহা পারভীন জানায় আমি সে সময় গোসল করছিলাম কিন্তু সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি বর হতে পারিনি।সন্ত্রাসী রাশেদুরসহ তার গুন্ডাবাহিনী চলে যাবার পর বাথরুম থেকে বের হয়ে ঘড়ে গিয়ে দেখি আমার ষ্টিল আলমারী খোলা এবং সেখানে থাকা আমাদের টাকা পয়সা ও আমার সোনার গহনাগুলো নিয়ে গেছে।তৎক্ষনাৎ জুম্মার নামাজে থাকা আমার স্বামীকে খবর দিলে সেসহ আমার শশুর ও এলাকাবাসী ছুটে এসে দেখে আমাদের বাড়ীর অবস্থা।এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় রাশেদুরের একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আমরা অতীষ্ট।সে সেনাবাহিনীতে চাকুরী করে বলে সেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সবার উপর কতৃত্ব করার চেষ্টা করে এবং যে যেখানেই জমি কিনতে যাক সেখানে খবর পেলেই মাথা ঠুকিয়ে অযথা ঝামেলার সৃষ্টি করে।আজকে রাশেদুর বীনা কারনে ফজলুর রহমানের বাড়ীতে যে হামলা চালিয়ে ভাংচূড় ও লুটপাট করেছে তার বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা চাই।তবে অত্র এলাকার নীরীহ জনতা রাশেদুর এরুপ কর্মকান্ডে উত্তেজিত হয়ে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিলেও ভুক্তভোগী পরিবার ও ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউলের কথায় ক্ষীপ্ত এলাকাবাসী শান্ত হয়।ঘটনার কিছুক্ষন পর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য জরুরী পুলিশি সেবা ৯৯৯এ কল করলে ঘটনাস্থলে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (নিঃ)মোঃ বেলাল উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে রাশেদুরসহ তার সন্ত্রাসীবাহিনীর তান্ডব চিত্র দেখে থানার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেয়।বনতাড়া ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান পারিবারিক কাজে বাইরে থাকায় মুঠো ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিনিধিকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন বলে জানান।তবে তিনি ও রাশেদুরের এরুপ কর্মকান্ড এটাই প্রথম নয়।ইতি পূর্বেও সে এমন কর্ভকান্ড ঘটিয়েছে।রাশেদুর সেনাবাহীনীর সদস্য বলে নিজেকে জাহির করে নীরিহ মানুষের উপর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আইনপরিপন্থি কর্মকান্ড তথা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে অন্যায়ভাবে নিজের স্বার্থকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।অত্র ইউনিয়ের মেম্বার এও বলেন যে আজকে ফজলুর রহমানের মতো নীরিহ পরিবারের উপর রাশেদুর ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী যে কর্মকান্ড করেছে সে জন্য তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন।তবে মোঃ ফজলুর রহমান ও তার ছেলে আব্দুল মালেক থানায় এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়।উল্লেখিত মোঃ রাশেদুর রহমান রংপুরে সেনাবাহিনীর সদস্য পদে কর্মরত ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি এলপিআরে রয়েছেন।জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে অহেতুক ও অন্যায়ভাবে কারো বাড়ি ভাংচূড় ও লুটপাট কখনোই সমুচীন নয় বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় কিছু ময় মুরব্বি।
৪ দিন ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৬ দিন ৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১১ দিন ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১১ দিন ৬ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১৮ দিন ১০ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৩০ দিন ২২ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৩৪ দিন ১৯ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৪৯ দিন ১৭ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে