দিনাজপুরে প্রাইভেট কার উদ্ধারে ঢাকা থেকে আগত দুই ব্যক্তিকে অপহরন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং চাঁদা দাবীর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি পুলিশ।
১৭জুন শনিবার দুপুরে দিনাজপুর কোতয়ালি থানার অফিসার ইন চার্যের কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মোঃ আবদুল্লা আল মাসুম বলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মুসা ও তার সংগীয় বাহিনী নিয়ে ঢাকা থেকে প্রাইভেট কার উদ্ধারে আসা মির্জা শহীদুল ইসলাম ও তার বন্ধু মোঃ মাসুমকে বালুবাড়ী সুইপার কলোনী এলাকায় চারপাশ বাউন্ডারি দিয়ে ঘেড়া একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতর নিয়ে গিয়ে তাদের জিম্মি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং ৮০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।এমতাবস্থায় বাদী টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে জরুরি পুলিশি সেবা ৯৯৯ কল দিলে তৎক্ষনাৎ দিনাজপুর কোতয়ালি থানার কর্মকর্তাসহ সংগীয় পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বড়ইল গ্রামের তছিমুদ্দিন এর ছেলে মোঃ মুসা ইব্রাহীম(৩০),পশু হাসপাতাল মোড়ের মোঃ মুন্না(৩৫) এবং একই এলাকার মৃত কবির উদ্দীনের ছেলে মন্টু
(২৭ )কে গ্রেফতার করে এবং অপহৃত ব্যক্তি মির্জা শহীদুল ইসলাম এবং তার বন্ধু মোঃমাসুমকেসহ একটি সবুজ রংয়ের বাদীর কার ও অপকর্মে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল করা হয়।এছাড়াও এজ নামীয় বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লখিত সামাজিক অপরাধমুলক কর্মকান্ড জিরো টলারেন্সে আনতে পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদ পিপিএম বার সেবা এর নির্দেশক্রমে চলমান অভিযানে দিনাজপুর কোতয়ালি থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ওয়ারেন্টভুক্ত ১২জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় বাদী ঢাকা মধ্য বাড্ডা এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মির্জা শহীদুল ইসলামের দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায় ঘটনার সম্পৃক্ত আসামী দিনাজপুর সদর উপজেলার শিবরামপুর এলাকার নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে সাধন লরেঞ্জ দাস ওরফে ছাদেক (৪৫) আমার প্রাইভেট কারের গাড়ী চালক।যার রেজি নং ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৩৯৫৬।কারটি বিক্রয়ের প্রস্তাব দিলে আসামী সাধন লরেঞ্জ কৌশলে আমার গাড়ীর মুল কাগজপত্র নিয়ে কারসহ উধাও হয়ে যায়।অনেক খোজাখুজির পর ঢাকায় তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাকে আসামী মুন্নার নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।আমি মুন্নার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে আমাকে গাড়িটি উদ্ধার করে দিবে মর্মে দিনাজপুর আসতে বলে।তার কথামত আমার বন্ধু মাসুম সহ গত ১৬জুন সকাল ৭টা ৩০মিনিটে বালুবাড়ী জোড়াব্রীজে পৌছাই।সেখানে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা মুসাসহ তার সংগীয় আসামীসহ ১০/১২জন আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অটোতে উঠিয়ে সুইপার পট্রি নামক জায়গায় চারিদিক ওয়াল দিয়ে ঘেরা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে গিয়ে গাড়িটি দেবার পরিবর্তে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে সংগে থাকা ১৭হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আরো ৮০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সেই টাকা সংগ্রহের কথা বলে সুকৌশলে জরুরী পুলিশি সেবা ৯৯৯কল দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস)আবদুল্লা আল মাসুমের দিক নির্দেশনায় দিনাজপুর কোতয়ালি থানার অফিসার ইন চার্য মোঃ তানভীরুল ইসলামের নেতৃত্বে এস আই মোঃ শামীম হকসহ কোতোয়ালি থানার একটি চৌকস টিম অভিযান শুরু করে।অভিযান চলাকালীন সময়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বালুবাড়ী জোড়াব্রীজ সংলগ্ন সুইপারপট্রি প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গন থেকে বাদী মির্জা শহীদুল ইসলাম,তার বন্ধু মাসুমকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ইব্রাহীম মুসা,তার সংগীয় মুন্না ও মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।কিন্তু অন্যান্য ১০/১২জন আসামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।এজাহারকৃত অন্যান্য আসামীরা হলেন সাধন লরেঞ্জ দাস, জুয়েল,মোঃ জসীম উদ্দিন,পিতাঃ মনির উদ্দীন,মির্জাপুর খ্রিষ্টানপাড়া,সহ অজ্ঞাতনামা ১০থেকে ১২জন।বাদী মির্জা শহীদুল ইসলাম বলেন আমি দিনাজপুরে আসার পর সন্ত্রাসীদের জিম্মিতে নিজেকে খুব অসহায়বোধ করছিলাম আর ভাবছিলাম ভাগ্যের কোন নির্মম পরিহাষে আজ এই বিপদের সমুক্ষীন হয়েছি।তবে ৯৯৯এ কল দেবার সাথে সাথে মুহূর্তের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে যেন আমার বেচেঁ থাকার আশা আবারও সঞ্চার হলো।পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর সহোযোগিতায় আমি আজ সুস্থ ও সবল রয়েছি পাশাপাশি আমার উধাও হয়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটিও ফেরত পেয়েছি।পুলিশের এ সহোযোগিতায় আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো।