দিনাজপুর সদর উপজেলাকে "ক"শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর সদর উপজেলা কনফারেন্স রুমে সদর উপজেলাকে ভুমিহীন ও গৃহহীন ঘোষনা করনের প্রস্তুতি সভায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ভূমি সাথী দাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ মেহেদি হাসান বলেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার অসহায় গৃহহীন মানুষকে আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে,খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।তিনি নিজের চিন্তা করেন না,বাংলাদেশের দীন দুখী অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেন।আর চিন্তা করেন বলেই দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর জনগনের জন্য নিঃস্বার্থ ভালবাসার দৃষ্টান্ত নিয়ে যে যার অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্বটুকু সৎ মনোভাব নিয়ে সততার ও নিষ্ঠার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বটুকু পালন করার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান অথিতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব। তিনি একটি কথাই বার বার উপস্থিত সুধিজনকে স্মরন করিয়ে দেন যে আমরা কেউ চিরকাল বেঁচে থাকবো না।আমাদের মরতে হবে আমাদের কিছুই সংগে যাবে না।যাবে শুধু নিজের আমলনামা।আর সেই আমলনামা সঞ্চয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্বগুলো সততার সাথে পালন করতে বলেন।উক্ত অনুষ্ঠানে দিনাজপুর সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন,উপজেলা সমবায় অফিসার হাফিজুর রহমান,স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সর্বশেষ অনুষ্ঠানের বিশেষ অথিতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদ সরকারের বক্তব্য এবং এসিল্যান্ড সাথী দাসের সমাপনী বক্ত্যবের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য দিনাজপুর সদর উপজেলায় মোট' ক'শ্রেনীর ভুমিহীন ও গৃহহীনপরিবারের সংখ্যা ১১০১টি। প্রথম পর্যায়ে পূর্নবাসন২৮০টি,দ্বিতীয় পূর্নবাসন করা হয়েছে ২৫০টে,৩য় পর্যায়ে পূর্নবাসন করা হয়েছে ২২০টি,বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে পূর্নবাসন করা হয়েছে ২১টি।চতুর্থ পর্যায়ে পূর্নবাসন করা হয়েছে৩০১টি,খালি গৃহে পূর্নবাসন করা হয়েছে ২৯টি সহ মোট ১১০১টি।