দেশের একটি মানুষও ভুমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না দেশের জনগনকে দেয়া সেই ওয়াদা আজ প্রধানমন্ত্রী ১১টি উপজেলায় মোট ২২১০১টি গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্ভোধনের মধ্য দিয়ে তিনি জনগনকে দেয়া তার ওয়াদা রক্ষা করলেন। শুধু ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষেরই ভাগ্য উন্নয়নে নয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রতিটি সেক্টরের মানুষের সুখ দুখের কথা চিন্তা করেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।তার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল।দেশের মানুষের ভাগ্যান্নয়নে জনগনকে জনশক্তিতে রুপান্তরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নত এবং আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করে বিশ্বের দরবারে নিজেদের শক্তি ও সার্মথ্য বুঝিয়ে দেবার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।দেশের শুধু গৃহহীন ও ভুমিহীন মানুষই নয় দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষের কষ্টৃর কথা চিন্তা করে বয়স্ক ভাতা,বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,ভিজিএফ,ভিজিডি,টিসিএফ পন্য প্রদান থেকে শুরু করে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে তার সুচিন্তার কোন কমতি রেখেছে।যা বিগত দিনের সরকার আমলে কেউ এসব সুবিধা ভোগ করছে বলে কোন মানুষ বলতে পারবে না।অথচ এক শ্রেনীর শাষক গোষ্ঠি যারা বিগত দিনে জনগনের রক্ত চুষে খেয়েছে জনগনের ভাগ্যাকাশে লেপে দিয়েছিল দূর্ভোগ ও দূর্দশা আবারও চাইছে সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে। ৯আগষ্ট বুধবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারবর্গকে গৃহ ও জমি হস্তান্তর কার্যক্রমের প্রধানমন্ত্রীকর্তৃক উদ্ভোধনের প্রাক্কালে এসব কথা বলেন দিনাজপুর সদর ৩আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সাড়াদেশের ১১টি জেলার মধ্যে দিনাজপুরকে ভুমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত এলাকা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলায় মোট 'ক'শ্রেনীরভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রথম পর্যায়ে পূর্নবাসন ২৮০টি,দ্বীতীয় পর্যায়ে পূর্নবাসন করা হয়েছে২৫০টি,৩য় পর্যায়ে পূর্নবাসন করা হয়েছে ২২০টি,বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে পূর্নবাসন করা হয়েছে ২১টি,৪র্থ পর্যায়ে পূর্নবাসন করা হয়েছে ৩০১টি খালি গৃহে পূর্নবাসন করা হয়েছে ২৯টিসহ মোট ১১০১টি।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপি গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারবর্গের মাঝে গৃহ ও জমি হস্তান্তর কার্যক্রমর উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ছাড়াও যাদের সার্বিক সহোযোগিতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে তাদের মধ্যে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ,সদর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোকলেছুর রহমান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রমিজ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মাসুদ,সিভিল সার্জন ডাঃ এএইচএম বোরহানউল আলম সিদ্দিকী,উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদ সরকার,প্রকল্প কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন,সহকারি কমিশনার ভুমি সাথী দাস সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং রাজনৈতিক ব্যক্তবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটি উপজেলা প্রসাশন ও উপজেলা ভুমি অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন হয়।উদ্ভোধন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভুমি) সাথী দাস।প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঊউপহার গৃহ ও জমি পেয়ে উপকারভোগীরা অত্যন্ত খুশী হয়েছে।অনেকে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেছেন অনেক জন্মদাতা পিতা মাতাও সাড়াজীবন চেষ্টা করেও সন্তানকে একশতক জায়গা বা বসবাসের আধাপাকা ঘড় তৈরী করে দিতে পারে না।সেখানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনা আমাদের থাকার ঘড় দিয়েছে দুই শতক জমি দিয়েছে আল্লাহ যেন তার হায়াত দারাজ করে এবং আজীবন আমাদের মাঝে প্রধানমন্রী হয়ে থাকে এই দোয়াই করি।