সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি, খোয়া যায়নি কিছুই!!
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ০২/০১/২০২৩ দিবাগত রাতে কোন তালা না ভেঙ্গেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষকের জানালা ভেঙ্গে ৪ টি রুমে প্রবেশ করে চোর।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক,ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর,স্টোর কিপার, পরিসংখ্যান বিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্সের কক্ষে প্রবেশ করে বিভিন্ন আলমারি ও ড্রয়ারের কাগজ তছরুপ করলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করেনি চোর।
খোজ নিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জানান বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করা হয়েছে, আমাদের কিছুই খোয়া যায়নি, তাহলে কেন এই চুরির চেষ্টা এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেন নি তিনি।
এদিকে ঘটনার পর আজ ০৩/০১/২০২৩ তারিখ সকালে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের এস. আই. রায়হানুল ইসলাম ঘটনা স্থলে আসেন। তিনি বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটির ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিটি কক্ষে কর্মরতদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি করে কাগজ দেয়া হয়, যাতে লেখা হয়েছে কোন কিছুই খোয়া যায় নি।
স্থানীয়রা জানান যদি কোন কিছু চুরি না হয়ে থাকে তাহলে চুরির উদ্দেশ্য কি ছিলো?? এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে
নৈশ প্রহরী সুজন সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খোজ নিয়ে জানা যায় গত ০১/০১/২০২৩ তারিখে এস.এম. আর এর একটি টেন্ডার বক্স খোলা হয়েছে যাতে ২৩ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার জমা করেন, কাজের আনুমানিক দর প্রায় ৩৩/৩৪ লক্ষ টাকা। অফিস পিয়ন মোঃ মাসুদ রানার উপর ভর করেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সব-কিছুর নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন ডাঃ মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ। যিনি ৩১/০৭/২০২১ তারিখে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেয়া হয় নি।
এখন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতির মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন।
এর আগে প্রতিবন্ধীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাগজ পত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য মাসুদ রানার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে তখনো কৌশলে এড়িয়ে যান।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয় নি।
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৫ দিন ১২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৭ দিন ৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৯ দিন ১৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১১ দিন ১১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৩১ দিন ২ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৩৫ দিন ৬ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৪৩ দিন ৫ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে