জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গাঁজার গাছ তুলে ফেলা কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সদস্যসহ উভয়পক্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঘটনাটি মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া মধ্যপাড়া এলাকায় ঘটেছে।
পরে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে বিলবালিয়া মধ্য পাড়া গ্রামের আ. হক মন্ডলের ছেলে ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন একই গ্রামের মৃত গুল মাহমুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান নান্নুকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। পরে নান্নু তার প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। প্রথমে নান্নুকে একা পেয়ে ইউপি সদস্য সোহরাব ও তার ছেলে রকিব ইচ্ছে মতো পেটায়। পরে এ সংবাদ নান্নুর স্বজনরা জানতে পেরে দেশীয় লাঠিসোঁটা নিয়ে সোহরাব ও রকিবকে মারতে যায়। পরে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে উভয়পক্ষকে ছাড়িয়ে দেয় এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহতরা হলেন- ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন ও তার ছেলে রকিব মন্ডল। অপর পক্ষের আহতরা হলেন- মাহমুদুল হাসান নান্নু ও তার স্ত্রী সুরমা বেগম এবং তার মা চামেলি বেওয়া। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ নান্নু মিয়া তার বাড়ির কাছে থাকা আমার ২৬ শতাংশ জমি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি ওই জমি বিক্রি করব না বলে সে নানাভাবে শত্রুতা করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে সে আমার জমিতে গাঁজা গাছ লাগিয়ে আমার সম্মানহানি করার চেষ্টা করে। পরে আমার ছেলে রকিব জানতে পেয়ে ওই গাঁজা গাছ তুলে ফেলে দেয়। গতকাল সে জমি কেনার কথা তুলে আমাকে ও আমার ছেলেকে তার স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মারধর করেছে।
অপরদিকে আহত নান্নু মিয়া জানান, সোহরাব মেম্বারের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। সে তার ক্ষেতের জন্য ২ বস্তা সার আমাকে দিতে বলেছিল। আমি দেইনি। তারপর থেকেই সে আমাকে দেখতে পারে না। যেখানে দেখে সেখানেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং মারতে আসে। এ ছাড়া তার সঙ্গে আমার জমিজমা বা টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব নেই। শুধু সার না দেওয়াকে কেন্দ্র করে সে এসব করছে।
এ ছাড়াও নান্নু আরো জানান, তাদের জমি বর্গা নিয়েছে সেলিম ও ছাইফুল। ছাইফুল তার অংশে গাঁজা গাছ লাগিয়েছিল। পরে সমস্যা হবে বিধায় মেম্বারের ছেলে রকিব তা তুলে ফেলেছে। তারা যে মাদকসেবী এটা সমাজে সবাই জানে। সে অযথা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অন্যায়ভাবে আমাকে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ফয়সাল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
২ দিন ১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২ দিন ১১ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
২ দিন ২৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৩ দিন ৩ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৫ দিন ২২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৬ দিন ৫ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৬ দিন ২১ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১০ দিন ২৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে