শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ লাইন্সের মিলনায়তনে নিজের ছেলে শাহজালাল ইসলাম সাফিরসহ ইয়াতিমদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। এর আগে জুমার নামাজ শেষে ইয়াতিম শিশুদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
এর আগের বছরে ২০২২ই্য ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার দারুল কোরআন-আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাবারের আয়োজন করেন নোয়াখালীর সুপারম্যান মো.শহীদুল ইসলাম পিপিএম বার, সে সময় তিনি ইয়াতিম শিশুদের থাকা,খাওয়ার ব্যবস্থাসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং সব সময় তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন। তারি অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ লাইন্সে কম্বল বিতরণ ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন তিনি।
মাদরাসার ৩য় জামাতের ইয়াতিম ছয় বছরে শিশু শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, পুলিশ সুপার কি তা আমরা জাইন তাম না। শুধু জাইন তাম অনেক বড় পুলিশ। স্যারে গত বছর আমাদের নিজের হাতে খাবার দিয়েছেন।
এবার কম্বলও দিছেন খাওয়াও দিছেন, আমরা অনেকদিন পর সকলে পেটভরে গোশত দিয়ে ভাত খাইছি, আরো অনেক খাবার আছে রাতেও খামু।
নূরানী বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ইয়াতিম খানার সবাই মিলে পুলিশ লাইন্সে আসলাম। আমাদের কাছে আজ খাবারের উৎসব হয়েছে। পেটভরে খাইসি। সাথে কম্বল পাইছি। স্যার আমাদের সবারই খবর নিয়েছেন। সবার সাথে ছবিও তুলেছেন। আল্লাহ উনার সব চাওয়া পূরণ করুক। আমরা সবাই মিলে উনার পরিবারের জন্য দোয়া করেছি।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই। কিন্তু এতিম শিশুদের মুখে এসব খাবার জোটে না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আবারও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছি। তাদের জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পেরে, আমি খুবই আনন্দিত। সবার সাথে কথা বলেছি। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে আছি।
নোয়াখালীর সুপারম্যান আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দুইশ ইয়াতিম শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। জেলা জুড়ে ১০ থানায় এই কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সেনবাগ থানায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। স্বচ্ছল মানুষের উচিত সমাজের এসব সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এভাবে পর্যায়ক্রমে পুরো জেলার সব থানায় কম্বল বিতরণ করা হবে।
এ সময় পুলিশ সুপার (সিআইডি) মো. বশির আহমেদ, পুলিশ সুপার (পিবিআই) মিজানুর রহমান মুন্সী, কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার (ইন সার্ভিস ট্রেনিং) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহসহ মাদরাসার শিক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৪ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৬ দিন ১৮ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৭ দিন ১৩ মিনিট আগে
৭ দিন ২৩ মিনিট আগে
৯ দিন ৭ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১১ দিন ১৯ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে