পঙ্গু হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনা রোগীদের চাপ ; গত আট দিনে ১০৮৫ জন রোগী ভর্তি হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে মোদির প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা ঈশ্বরগঞ্জে অষ্টমী স্নান করতে এসে পূণ্যার্থীর মৃত্যু ঈদের চারদিন পার হলেও দৌলতদিয়া ঘাট শহর মুখী মানুষের ভীর। আক্কেলপুর আওয়ামীলীগ নেতা মেয়র শহীদুল আলমের ভাইয়ের পা রগ কাটল দুর্বৃত্তরা আশাশুনির বিছট খোলপেটুয়া নদী ভাঙ্গনের রিং বাঁধ ৫ দিন পর অবশেষে সম্পন্ন । দোয়ারাবাজারে আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক মাষ্টার গ্রেফতার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের আকাঙ্ক্ষা মোদির ওমেন্স এচিভার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন নীলুফা আলম পপি গোদাগাড়ী মডেল থানায় পুলিশের ব্যতিক্রমী ঈদ পালন লোহাগাড়ার সুখছড়িতে পুকুরে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু। ইসলামপুরে আধিপত্য বিস্তারে দফায় দফায় সংঘর্ষ : বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশী টহল অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি? আদমদীঘিতে বাসযাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় কাউন্টারকে জরিমানা আদমদীঘিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন দই-মিষ্টির দোকানে জরিমানা শার্শায় জামাল হত্যার মামলায় আরও এক আসামি আটক লালপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অন্যের জমি নিয়ে ৩ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

রাজবাড়ীতে বিনা টেন্ডারে পদ্মার বালু বিক্রি, প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

রাজবাড়ীতে বিনা টেন্ডারে পদ্মার বালু বিক্রি, প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বালু বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএম মোল্লা ট্রেডার্স নামে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। জেলা বালু ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পে এবং সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাজবাড়ীর ওই ঠিকাদারকে বালু পরিবহনের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু তিনি তা না করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে লট আকারে বিপুল সংখ্যক ওই বালু বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া জমির মালিক হিসেবে স্হানীয় মোশাররফ হোসেন ওরফে মুসা মন্ডল এবং নুরু শেখকে তাদের একটি অংশ বুঝিয়ে দেয় প্রশাসন। এর বাইরে অভিযুক্ত ঠিকাদার শিমুল মিয়া দৌলতদিয়ার বালু ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন মন্ডল, সোহেল মন্ডল, সোরাপ মন্ডল, হালিম ফকির সহ আরো বেশ কযেকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে তাদের বালু উত্তোলন, পরিবহন ও বিক্রির সুযোগ করে দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে বালুর টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দেন। জমির মালিক মোশাররফ হোসেন ওরফে মুসা মন্ডল বলেন, যেখানে নদীর ড্রেজিংকৃত বালু ফেলা হয়েছে সেখানে তাদের প্রায় ৪০ বিঘা জমি রয়েছে। প্রশাসন বিপুল পরিমাণ এ বালি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প এবং সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহারের লক্ষ্যে রাজবাড়ীর এসএম মোল্লা ট্রেডার্সকে দায়িত্ব দেয় জেলা বালি ব্যবস্থাপনা কমিটি। জমির মালিক হিসেবে তিন ভাগের একভাগ বালু আমাকে উত্তোলনের অনুমতি দেয়। আমি সেইভাবেই বালু তুলছিলাম। বালু পরিবহনে জমি ব্যবহার করায় স্হানীয় গফুর পাল, শহীদ পাল ও হোজাই পালকে ইউএনও নির্দেশিত ২০ টাকা করে গাড়ি প্রতি দিচ্ছিলাম। এভাবে তাদেরকে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৮০ টাকা প্রদান করেছি। কিন্তু তারা তাতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে আমাদের বিরুদ্ধে গত ৬ মার্চ মিথ্যা অভিযোগ এনে মানববন্ধন করে এবং ইউএনওর নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়। তারপর হতে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বালু ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন জানান, তারা কয়েকজন মিলে ১০ লক্ষ টাকার মৌখিক চুক্তিতে বালির একটি অংশ মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্সের মালিক শিমুল মিয়ার কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। অগ্রিম ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার পর বাকি টাকা ধাপে ধাপে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় । কিন্তু তিনি কোন রশিদ দেননি। অন্য আরো কয়েকটা গ্রুপও এভাবে তার কাছ থেকে বালি কিনে বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করছিলেন। আমরা অবৈধভাবে বালু তুলিনি। এখন বালু তুলতে না পেরে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অভিযোগকারীদের মধ্যে গফুর পাল ও শহীদ পালসহ কয়েকজন বলেন, বালু বাবদ আমরা  কোন টাকা পয়সা নেইনি। তবে তাদের (মুসা মন্ডলগং) সাথে ব্যবসায়ীক লেনদেন আছে। রাজবাড়ী জেলা বালু ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এবং বিআইডব্লিউটিএ'র আরিচা অঞ্চলের  নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আহমেদ জানান, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নাব্যতা বাড়াতে  তারা এ বছর  ড্রেজিং করে ৩২ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করেন। উত্তোলিত বালুর মধ্য দুইটি লটে ১৭ লক্ষ ঘনফুট নদীর পাড় ঘেষে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমির উপর ফেলা হয়। জানুয়ারি মাসে জেলা সমন্বয় সভায় উক্ত বালু বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তা পরিবহনের জন্য এসএম মোল্লা ট্রেডার্সকে দায়িত্ব দেয়া হয়।  কিন্তু তাকে অন্য কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়নি। অভিযোগগুলো নিয়ে উর্ধতন পর্যায়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে এসএম মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শিমুল মিয়ার মুঠোফোনে গত দুইদিন ধরে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বালু উত্তোলন সাময়িক বন্ধ রয়েছে। কোন বিশৃঙ্খলা না করতে সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও খবর