রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ যেন শেষই হচ্ছে না। সাত কলেজের অধিভুক্ত এই শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশাসনিক জটিলতা, পরীক্ষার অনিশ্চয়তা এবং অপ্রত্যাশিত ফলাফলের মুখোমুখি হচ্ছেন ।
(২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার )একজন শিক্ষার্থী তাঁর হতাশা প্রকাশ করে জানান, এইচএসসি পাস করার পর সাত কলেজে ভর্তি হয়ে শুরু থেকেই নানা নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হন। এরপর পারিবারিক অসুস্থতা ও অন্যান্য সমস্যার কারণে সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে না পারার পর গণিত নিয়ে তিতুমীর কলেজে ভর্তি হন।
পরীক্ষার ফলাফলে চরম হতাশা তিনি অভিযোগ করেন, কঠিন বিষয়গুলোতে পাস করলেও নন-মেজর সাবজেক্টগুলোতে গণহারে ফেল দেওয়া হয়েছে। এতে ডিপার্টমেন্টের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নন-প্রমোটেড হয়ে যায়। অর্থাৎ, প্রথম বর্ষেই আটকে পড়তে হয়। কিন্তু এই ব্যর্থতার পেছনে শিক্ষার্থীদের দায় না থাকলেও, পুরো বিষয়টি নিয়ে কলেজ প্রশাসনের কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
"গত এক বছর আমাদের জন্য কোনো ক্লাস হয়নি, কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবুও আমরা হাল ছাড়িনি, বাসায় বসে প্রস্তুতি নিয়েছি," বলেন ওই শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার আগে হঠাৎ পরিবর্তন এক বছর অপেক্ষার পর পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়, কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন এক নতুন নোটিশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, নন-প্রমোটেড শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র ফেল করা বিষয়গুলোর ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিতে পারবে। এতে শিক্ষার্থীরা বড় ধাক্কা খায়।
পরীক্ষার দিন ফান্ডামেন্টাল অফ ম্যাথমেটিক্স বিষয়ে নতুন সিলেবাসের প্রশ্ন দেওয়া হয়, যা পূর্বে জানানো হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী বিরূপ মন্তব্য করে প্রস্তুতি নিয়েছি পুরাতন সিলেবাসের এখন পরীক্ষা দিতে এসে দেখি নতুন সিলেবাস ফলে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে যান। ম্যাক্রোইকোনমিক্স পরীক্ষায় পূর্বের প্রশ্ন বাংলা ভাষায় হলেও এবার হঠাৎ ইংরেজিতে প্রশ্ন দেওয়া হয়। মাইক্রোইকোনমিক্স পরীক্ষায় অধিকাংশ প্রশ্ন ছিল বইয়ের বাইরে থেকে।
শিক্ষার্থীদের হতাশা ও অনিশ্চয়তা" প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এখনো ফার্স্ট ইয়ারেই আছি। আবার যদি নন-প্রমোটেড হই, তাহলে চার বছরেও অনার্স শেষ করতে পারবো না। এতে আমাদের শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটবে," বলেন এক শিক্ষার্থী।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসন এবং সাত কলেজের সমন্বয় কমিটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, নন-প্রমোটেড শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন, যথাযথ ক্লাস এবং স্বচ্ছ পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে।
এ অবস্থায় সাত কলেজের দুর্বল একাডেমিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষার্থীরা ন্যায্য মূল্যায়নের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।
১৬ দিন ২১ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
২৫ দিন ২১ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৩০ দিন ২১ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৩১ দিন ২০ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৩৩ দিন ৫৯ মিনিট আগে
৩৩ দিন ১ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩৩ দিন ১৮ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৩৪ দিন ১ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে