আক্কেলপুর মহিলা কলেজের কমিটি বাতিল চেয়ে মানববন্ধন.
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মহিলা ডিগ্রি কলেজের সদ্য গঠিত এডহক কমিটি বাতিল চেয়ে গণ স্বাক্ষর, অবস্থান কর্মসূচী ও মানব বন্ধন করেছেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা। কলেজটির সদ্য গঠিত কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের বহিরাগত আখ্যায়িত করে এই প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেন তারা। তবে এই কমিটির সদস্যদের নাম কলেজ কর্তৃক পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে মহিলা কলেজের প্রধান ফটকে ও সড়কে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মহিলা কলেজের এডহক কমিটি গঠনের জন্য উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য রিয়াদ মো. জিয়াউদ্দিন চৌধুরীসহ সভাপতি পদে ৩ জন এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে ৩ জনের নাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু কলেজের পাঠানো নামগুলো বাদ দিয়ে গত ৩ অক্টোবর এ্যাড. মো. মাহমুদুর মোস্তকিন নিশাতকে সভাপতি হিসেবে মনোয়ন প্রদান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করে পত্র পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ২৮ অক্টোবর আরেকটি পত্রে নুর-ই-আলম চৌধুরী পাভেলকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য পরিবর্তন করে মামুনর রশিদকে মনোনয়ন দেয় বিশ্ববিদ্যালয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, নব গঠিত এডহক কমিটির নাম তারা পাঠাননি। তবে কিভাবে ওই ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সভাপতি মনোয়ন দিয়েছে তা তারা জানেন না। বিএনপি নেতাদের এই দাবির সাথে কলেজের শিক্ষকরা একাগ্রতা পোষন করেন।
কর্মসূচীতে আসা বিএনপি নেতারা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্যদের বুধবার কলেজে আসার কথা ছিল। এমন খবরে সকাল থেকে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল অংগ সংগঠনের নেতারা কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় তারা নব গঠিত ওই কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের বহিরাগত অ্যাখ্যা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচী ও মানব বন্ধন করেন। পরে তারা গণস্বাক্ষর কর্মসূচীও পালন করেছেন। বিশ্বদ্যালয়ের গঠিত ওই কমিটির সদস্যদের স্থানীয়ভাবে কেউ চেনেন না বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক কামরুজ্জামান কমল বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত এডহক কমিটিতে স্থানীয়দের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের স্থান দেওয়া হয়েছে। যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এতে এই এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাদের অপসারন করে স্থানীয়দের নিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করতে হবে এবং আমরা এর প্রতিকার চাই।
পৌর বিএনপির আহব্বায়ক আলমগীর চৌধুরী বাদশা বলেন, নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে মহিলা কলেজে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই উপজেলায় যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি থাকা স্বত্বেও কে বা কাহারা অন্য উপজেলার মানুষকে কমিটিতে স্থান দিয়েছে। আমরা এই কমিটি বাতিল দাবি করছি।
আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশক্রমে এডহক কমিটি গঠনের জন্য এই উপজেলার যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সভাপতি পদে ৩জন এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে ৩জনের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের পাঠানো নামগুলো বাদ দিয়ে অন্য উপজেলার কিছু ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করে কলেজে পত্র পাঠায়। কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নাম পেল তা আমাদের জানা নেই। এতে আমরা বিস্মিত হয়েছি।