বন্যায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কপাল পুড়েছে ২২ হাজার ৩৮৪ কৃষকের। এতে ৮৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
চলতি ১৬ আগষ্ট বুধবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পরিচালক ড.অরবিন্দ রায় চকরিয়া জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঠ পরিদর্শন করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চকরিয়ায় বন্যায় ৮ হাজার ৩৪০ কৃষকের ৫১২ হেক্টর আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৩ হাজার ৮৬০ কৃষকের ২ হাজার ২৪৫ হেক্টর আমনের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ হাজার ৫৪০ কৃষকের ৬০২ হেক্টর জমির শাকসবজি নষ্ট হয়েছে। ৪ হাজার ৯৮৪ কৃষকের ৭১২ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। ১৮০ কৃষকের ২০ হেক্টর জমির পেঁপে এবং ২৪০ কৃষকের ৩৫ হেক্টর ফুলচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোঃ কবির হোসেন বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় কমবেশি চাষাবাদ ও শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলার কৃষকরা। এসব স্থানে বন্যার পানি কয়েকদিন স্থায়ী থাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ফসল পঁচে গেছে।
জেলার শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত চকরিয়া। মাতামুহুরি নদীর পাড় ঘেঁষে শত শত হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ হয়। ভয়াবহ বন্যায় প্রায় সব শাকসবজি পঁচে গেছে।
উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মাতামুহুরি পাড়ের কৃষক ফজল আহমেদ বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে পলিথিনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা চাষ করেছি। চার দিন এসব চারা পানির নিচে থাকার পর সেগুলো নষ্ট হয়েছে। মাঠে অন্যান্য কৃষকদের কাঁকরোল,পটল,চিচিঙ্গা,বেগুন, মিষ্টি কুমড়া ও শাক ছিল। যার সবই নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম নাসিম হোসেন জানায়, ১টি পৌরসভা এবং ১৮ ইউনিয়ন নিয়ে চকরিয়া উপজেলার অবস্থান।বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়েছে ১৫০০ মে:টন গোলাজাত ফসল,ইউরিয়া ১১৮ টন,টিএসপি ৪০ টন,এমওপি ২০টন,ডিএপি ৮৪ টন। এখনও পানির নিচে ডুবে আছে প্রচুর পরিমাণ সবজি ক্ষেত ও আমনের বীজতলা।
কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আমন ও সবজির বীজ বিনামূল্যে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বীজ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তবে এখনও কোনও সহায়তা আসেনি। সহায়তা এলে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে। ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনকালে কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হাকিম, বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও প্রা ৫ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
৮ দিন ৯ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৫২ দিন ১২ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১১৯ দিন ১৭ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১৪৩ দিন ১৯ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১৫১ দিন ২০ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১৫১ দিন ২০ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১৬০ দিন ১৪ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১৬০ দিন ১৯ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে