টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পানি বন্দি হয়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বিভিন্ন নিচু এলাকা। প্লাবিত হওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রার বিঘ্ন ঘটছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাকে দুষছেন বাজার এলাকার বিভিন্ন নিচু জায়গায় জলাবদ্ধতার শিকার ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে ডোমার পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকাগুলো। পানি নিষ্কাশনের উপায় না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন পানি বন্দি পরিবারগুলো। অনেক বসতবাড়ির মাটির চুলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না-বান্নায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
গত কয়েকদিন যাবৎ মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে ডোমারে। থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বর্ষা শেষে শরৎকালে বন্যার শঙ্কা করছেন নদীপাড়ের মানুষেরা। বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ-ঘাটে পানি জমে টইটম্বুর হয়েছে।
প্রবল বর্ষণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনের বাইরে বের না হওয়ায় জীবিকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় রিক্সা-ভ্যানচালকরা। খেটে-খাওয়া মানুষের জন্যও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা।
স্থানীয় রিকশাচালক মহিবুল ইসলাম (৪৩) বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বাজার-খরচ করতে আসা ৪/৫ জন ব্যক্তিকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ১০০ টাকারও কম উপার্জন করেছি। লোকজন বাইরে না থাকায় কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তায় আছি।
সদর ইউনিয়নের দিনমজুর করিমুল আলী (৩৩) জানান, বৃষ্টির দিনে মানুষের বাড়িতে কাজ করা হয়না। এসময়গুলোতে কাজ পাওয়া অনেক দুষ্কর। তাই বেকার বসে কাজের অপেক্ষা করতে করতে দিন পেরোচ্ছে।
তবে পৌর এলাকায় আগের চাইতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকেই। শহরের সড়কগুলো উঁচু হওয়া এবং বেশ কয়েকটি এলাকায় ড্রেন নির্মাণ করায় রাস্তাঘাটে সেভাবে পানি জমে জমে থাকতে দেখা যায়নি।
চারিদিকে পানি জমে থাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে গিয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এজন্য সবাইকে মশারি ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং চতুর্দিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাচ্চাদের ছেড়ে না দেওয়ার জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান করা হয়েছে।
২ দিন ৭ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৩ দিন ৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৩ দিন ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৩ দিন ৪ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৪ দিন ৪ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৫ দিন ১ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে