মেহেদী হাসান সাকিব, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাধারণ মানুষের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও শুরু করা হয়নি এর নির্মাণ কাজ।
বিগত ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন ওই পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা খরস্রোতা দুরন্ত ভোগাই নদী নালিতাবাড়ী উপজেলার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। নদীর এপার থেকে উপার যোগাযোগের জন্য এই নদীতে ৪ টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান থানা ভবনটি পৌরশহরের তারগঞ্জ দক্ষিণ বাজারে অবস্থিত হওয়ায় নদীর পূর্ব পাশে রামচন্দ্রকুড়া ও মন্ডলিয়া পাড়া, কাকরকান্দী, নালিতাবাড়ী, রুপনারায়নকুড়া ও মরিচপুরান এই ৫ টি ইউনিয়নের নাগরিক নিরপত্তা সুবিধার কথা বিবেচনা করে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন একটি পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। ওই সময় তার সাথে ছিলেন স্থানীয় এমপি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি হচ্ছে না। প্রায় ২০ শতাংশ জায়গার চারদিকে বাউন্ডারী দেয়াল ও ছোট একটি পকেট গেইট। আর ভিতরে সব জায়গায় জঙ্গলে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির আগাছা জন্মে আছে। যেখানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে সেই নেম প্লেটের সকল লেখাও মুছে গেছে। এছাড়া বসার জন্য ভিটি পাকা করে দুটি ছাতা বানিয়ে রাখা হয়েছে এখানে।
সংশ্লিষ্ট ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরাদ হোসেন টেটন বলেন, এখানে পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণ করা হলে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারতো। আমরা চাই এই পুলিশ ফাঁড়ির কাজ খুব দ্রুত শুরু করা হোক।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে ডিসি অফিস অথবা এসপি অফিস থেকে যদি কোন প্রকার তৎপরতা গ্রহণ করা হয় তাহলে বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।