খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতির দল উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষুধা নিবারণে একদল হাতি আমনক্ষেতে হানা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে ৩০ থেকে ৩৫টি বন্যহাতি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকার প্রায় ছয় একর জমির ফসল নষ্ট করেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিন দেখা গেছে, পাহাড়ি হিংস্র বন্যহাতির একটি দল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরেংপাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে আস্তানা করেছে। দিনে পালিয়ে থাকে গহিন অরণ্যে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে নেমে আসে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা এলাকার ফসলি মাঠে। ফসল রক্ষায় রাত জেগে মশাল জ্বেলে ও ঘণ্টা বাজিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে চাষিদের। এরপরও থামছে না হাতির তাণ্ডব।
আশালতা নেংমিনজা, আবদুল কাদির, সাহেদ, সুকুল চিসিমসহ কয়েক কৃষক জানান, প্রতি বছর বন্যহাতির দল ফসল ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করছে। হাতির পাল চলতি বছরের শুরুর দিকে বোরো ধান ও গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করে। পরে আমনের বীজতলা নষ্ট করে। এখন পাকা আমন ধান নষ্ট করছে। হাতির তাণ্ডবে নির্ঘুম রাত কাটে তাঁদের।
পানিহাটা এলাকার এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্য বিজার কুবি বলেন, দুই দিন ধরে আমনক্ষেতের ক্ষতি করছে বন্যহাতির দল। হাতি তাড়াতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চার্জার লাইট এবং মশাল জ্বালানোর জন্য কেরোসিন তেলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তাঁদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে তা কষ্টসাধ্য। হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সরকারের সহযোগিতা চান তাঁরা।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর কবীর জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে। যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারেন তাঁরা।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যহাতির পালকে তাড়ানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
৮৯৩ দিন ১৫ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৯০৪ দিন ১৫ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৯০৬ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৯০৭ দিন ১৫ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৯০৭ দিন ১৫ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৯০৮ দিন ১৫ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে