শিশু মুক্তাকে ঈদের নতুন জামা পড়ানো হলোনা মায়ের
স্বামী,সন্তান ও পরিবারকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নতুন জামাকাপড় কিনে তা তুলে রেখেছিলন আলমারিতে। ঈদে নতুন জামা পড়ে ৬ মাস বয়সী প্রথম শিশু সন্তান মুক্তাকে নিয়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন মুক্তার মা বৃষ্টি আক্তার (২১)
কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা সব স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে।সড়ক দুর্ঘটনায় মা বৃষ্টি আক্তার (২১) ও দাদি জহুরা খাতুন (৫০)কে হারিয়ে এখন নানির কোলে আশ্রয় হয়েছে শিশু মুক্তার।এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গত সোমবার (১৭ই এপ্রিল) ইফতার পূর্ব ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নান্দাইল উপজেলার অরণ্যপাশা নামক স্থানে ইজিবাইজ ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হন মা বৃষ্টি আক্তার ও দাদি জহুরা খাতুন।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। তবে আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভাগ্যবশত বেঁচে যায় ৬ মাসের শিশু মুক্তা।
বর্তমানে শিশু মুক্তা অরণ্যপাশা গ্রামের নানা সোনার মিয়ার বাড়িতে সুস্থ আছে।শিশু মুক্তার লালন-পালনের সম্পূর্ণ ভার নিয়েছেন তার নানি। ৬ মাস বয়সি মুক্তার জীবনে নেমে আসে দু:খের ছায়া।
জানা যায়, শিশু মুক্তা নান্দাইল উপজেলার অরণ্যপাশা গ্রামের প্রবাসী উজ্জল মিয়ার একমাত্র সন্তান। ঈদের পরপরই ফের বিদেশে যাওয়ার কথা। এরপূর্বে ঈদের সকল কেনা-কাটা শেষ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার।
তবে, সেই নতুন জামা-কাপড় আর পড়া হলো না। মুক্তার সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য সন্তান ও শ্বাশুড়ি জহুরা খাতুনকে নিয়ে স্থানীয় বাজারে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন বৃষ্টি আক্তার। তবে সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হলো না, পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মুক্তা ছাড়া প্রাণ হারায় তারা দুজন।
জহুরা খাতুনের ভাই ফজলু মিয়া ও বৃষ্টির পিতা সোনা মিয়া জানান, ময়না তদন্ত ছাড়াই তাঁরা লাশ দাফনের অনুমতি পেয়েছেন। তবে মেয়েকে হারানোর কষ্ট সইতে পারছেন না।
১৫ দিন ১৮ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১৬ দিন ৯ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
১৬ দিন ৯ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১৯ দিন ১০ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
২১ দিন ১০ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
২২ দিন ১০ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
২৪ দিন ১১ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
২৪ দিন ১২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে