কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের বাঁকখালি নদীর উপর নির্মিত ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের আতিক্যা বিবির সেতুর তিনটি পিলারের পাইলিং এর ঢালাই খসে পড়ে দেখা যাচ্ছে রড। বর্ষার আগে সেতুটি পুনঃসংস্কার না করলে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি যেকোনো মুহুর্তে ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আট জোড়া পিলারের উপর নির্মাণ করা হয়েছে আতিক্যা বিবির সেতু। প্রতি জোড়া পিলারের নিচে রয়েছে ছয়টি করে পাইলিং পিলার। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পাইলিং করা পিলারের সিমেন্ট খসে গিয়ে রডের আস্তর দেখা যাচ্ছে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে দুটি পিলারের ব্যারিকেট। ফলে বড় যানবাহন পণ্য আনা-নেওয়া করতে না পারায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনৈতিক ও কৃষি বাণিজ্য।
সূত্র বলছে, রামু সদর থেকে রাজারকুল, কাউয়ারখোপ ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর ২০১১ সালে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় সেতু নির্মাণের কাজ। তবে সেতুর কাজ শেষ হতে সময় লেগেছিল প্রায় তিন বছরের বেশি। নির্মাণের দশ বছর অতিক্রম না হওয়ার আগেই জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়েছে এই সেতুর সুবিধাভোগী জনসাধারণ।
এদিকে রামুর পূর্বাঞ্চল কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কৃষি খামারি নাসির উদ্দীন জানান, “কাউয়ারখোপ, রাজারকুল ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সাথে এই সেতু ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিপাকে আছি। আগে খামার থেকে সরাসরি পিকআপ যোগে পণ্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন সেতুর প্রবেশমুখে ব্যারিকেট দেওয়ায় বড় পিকআপ দিয়ে পণ্য বাজারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিকল্প হিসেবে বাড়তি ভাড়া দিয়ে টমটম যোগে পণ্য বাজারে নিতে হচ্ছে। দ্রুত সেতুটি সংস্কার করে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা দরকার।”
রাজারকুল ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা সাংবাদিক শিপ্ত বড়ুয়া বলেন, ” এই সেতু নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফা সেতুটি পরিদর্শন করেন। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধে সেতুর প্রবেশমুখে দু’টি পিলার দিয়ে ব্যারিকেট দিয়েছে। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর অবগত হওয়ার পর-ও সেতু সংস্কারে এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি ।”
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাছান ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন কেটে দেন।
অন্যদিকে নবাগত রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান মুঠোফোনে জানান,” ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব ( প্রাক্কলন) দিয়েছে। পাস হলেই কাজ শুরু হবে”।
১০ দিন ৯ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
২৫ দিন ৮ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১৫১ দিন ১৬ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১৫৫ দিন ১৪ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
১৬০ দিন ১৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১৬৭ দিন ৮ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১৬৮ দিন ৯ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৬৮ দিন ১১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে