লালমনিরহাটে চিনি’র বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। রাতের আঁধারে প্যাকেট চিনি উধাও। সিন্ডিকেটের জালে বন্দি চিনি। প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। চা বিক্রি বন্ধ করেছে চা দোকান মালিকরা। বন্ধের পথে চায়ের দোকান। চিনির বাজারমূল্যে প্রতি কাপ চা’র মূল্য দাঁড়ায় ২০ টাকা। অভিযোগ উঠেছে গোডাউনে চিনি মজুত। সৃষ্টি করছে বাজারে কৃক্রিম সংকট। নেই প্রশাসনের তৎপরতা।
ডিলাররা লুফে নিচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। চিনি সিন্ডিকেট নিয়ে লালমনিরহাটের হাট-বাজারগুলোতে গেলে মেলে নানান তথ্য। লালমনিরহাট জেলার চিনির ডিলার রয়েছেন রেল বাজারের আব্দুল খালেক এর মালিকানাধীন আউয়াল স্টোর, সহিদার রহমানের মালিকানাধীন সুজন স্টোর ও পৌর রোডে আলোচিত হাজী গোফরান মালিকানাধীন সোনারগাঁও ভ্যারাইটিজ স্টোর। তিন ডিলারের সিন্ডিকেটের জালে বন্দি চিনির বাজার। সাপটানা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, রেল বাজারের চিনির ডিলারদের নিকট চিনি প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা দরে কিনে খুচরা বাজারে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কুলাঘাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মহাজনরা বেশি দামে চিনি ছাড়ছে তাই বাজারে চিনির মূল্য বেশি। চায়ের দোকান ব্যবসায়ী আবেদ আলী জানান, যখন ৭০ টাকা চিনির কেজি ছিল চায়ের দাম এক কাপ ১০ টাকা। এখন ১৪০ টাকা চিনির কেজি হলে চায়ের কাপ দাঁড়ায় ২০ টাকা। গোশালা বাজারের চা ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, চিনির দাম বেশি তাই চা বিক্রি বন্ধ করেছি। চিনি ডিলার গোফরান হাজী জানায়, চিনি আনতে মিল গেটে গেলে চড়া দাম ছাড়া বিক্রি করে না। তাই উচ্চ মূল্যে ক্রয় করে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে চিনির ডিলাররা চিনি বিক্রির জন্য কোনো রশিদ দেয় না। রশিদ ছাড়া চিনি নিয়ে ইচ্ছামতো দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করছে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে। চিনি সিন্ডিকেটে বিক্রি হলেও প্রশাসনের ভূমিকা নীরব। জেলা প্রশাসনের নেই তৎপরতা চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে। চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত না থাকায় চিনি ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, যে ব্যবসায়ী দাম বেশি নিবে তার বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা। দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত করা হবে।
১ দিন ২২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
২ দিন ১৮ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
২ দিন ২১ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৩ দিন ৭ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৩ দিন ৭ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৩ দিন ৭ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৫ দিন ১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে