প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ ‘আমেরিকার ভিসা নীতির পর বিএনপি নেতৃত্ব ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে’ নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ জীবনে সময় ফিরে আসে না রোডমার্চ সফল করতে নোয়াখালীতে বিএনপির প্রস্ততি সভা কক্সবাজার বেড়াতে এসে ১ পর্যটকের মৃত্যু উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে পালিত ২২জন রোহিঙ্গা আটক করেছে পুলিশ কলমাকান্দায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত কক্সবাজারে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মত বিনিময়। উখিয়ায় বহুল প্রতীক্ষিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু উখিয়ায় দিনব্যাপী সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কক্সবাজার-৩ আসনে এমপি কমলকে আবারো মনোনয়ন দেয়ার আহবান লাখো জনতার লিগ্যাল এইড আইনজীবীদের ২ দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন ডেমুশিয়া জনপদের গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড, যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ হাটহাজারীতে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার শ্যামনগর কাশিমাড়ী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন কুড়িগ্রামে ডাঃ জি এম আরিফ স্বাচিপ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত, জেলাবাসীর অভিনন্দন জয়পুরহাটে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে মসজিদের ইমামদের ভূমিকা অপরিসীম -মাশরাফি বিন মর্তুজা সাতক্ষীরার জনসভায় শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ

রাজমিস্ত্রির জুয়েল এখন বিসিএস ক্যাডার

admin - দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 09-08-2023 10:06:18 am


টানাটানির সংসার নূন আনতে পান্তা ফুরায় এমনই অবস্থা দিন পার করত জুয়েল। জুয়েলের ৮ বছর বয়সে দিনমজুর বাবা মারা যায়। তার পর থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। সেখানে নিজের পড়াশোনার খরচ যোগানো খুবই দূরসাধ্য হয়ে পড়ে। অভাব ও শত কষ্টের মধ্যে থেকেও জীবন যুদ্ধে থেমে যায়নি নাটোরের লালপুর উপজেলার জুয়েল আলী। টিউশুনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছেন তিনি। সেই জুয়েল এবার সদ্যপ্রকাশিত ৪১ তম বিসিএসে প্রকৌশলী ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।


জুয়েল আলী উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের মৃত হাসান মন্ডলের ছেলে। তিনি লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ- ৫ পেয়ে পাস করেন এবং লালপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। 


পরে রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক শেষ করেন। জুয়েলের মা জামেলা বেগম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর অর্থাভাবে বার বার ছেলের পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় ভালো রেজাল্ট করার কারণে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পাওয়ায় সেইসব টাকা দিয়ে লেখাপড়া করেছে, নিজে টিউশুনিও করেছে। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছে। কষ্টের দিনগুলো তার এখন শেষ হয়েছে, আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। দীর্ঘ কষ্টের পথ অতিক্রমের সেইআমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। 


আর অশ্রুভেজা চোখে জুয়েল বলেন, ৮ বছর বয়সে আমার বাবা মারা যান। তারপর পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় সেই বয়সেই মায়ের পাশাপাশি আমাকেও সংসারে হাল ধরতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে হয়েছে। কয়েকবার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষকদের সহযোগিতায় আবারও পড়াশোনা শুরু করি। অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে এ-প্লাস পাওয়ার পর থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক ও প্রার্কীতি ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়েছিলাম। এই বৃত্তির মাধ্যমে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছি। 


পরবর্তীতে বিসিএসের জন্য আমার স্ত্রী মানসিক ও আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি সব সময় চাইতাম মায়ের মুখে হাসি ফুটাবো। একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন ছিল। ভালো পোশাক ভালো খাওয়া দাওয়া এসব অতটা আশা করিনি কোনদিন। আজ সাফল্যের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছি। দায়িত্ব পালনকালে সব সময় আমি ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে আমার ওপর অর্পিত কাজটা সঠিকভাবে করবো। 

সূত্র: দৈনিক সাহস

আরও খবর



এক স্বপ্নবাজ স্বেচ্ছাসেবকের গল্প

১৪ দিন ১৪ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে