গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার দেশের সাংবাদিকতার অন্যতম সংকট‌: প্রেস সচিব বসুন্ধরা শুভ সংঘ জামালপুর জেলার নেতৃত্বে জাবিপ্রবির জসিম ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক মুসলমানদের জীবনে- মাসুদ উদ্দিন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অন্তর্ভুক্ত হলেন চাটখিলের কৃতি সন্তান এডভোকেট শামিম পাটোয়ারী ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক মুসলমানদের জীবনে- বাহার উদ্দিন শার্শায় দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত,আহত,,১ বন্ধ ক্যাম্পাসে অবহেলিত প্রাণীদের পাশে ববি'র শিক্ষার্থীরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী বিতরণ আদমদীঘির কাঞ্চনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটিকে সংবর্ধনা গোয়ালন্দে অবৈধ মাটি কাটায় যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার আসামিকে ছেরে দেওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন দৈনিক প্রত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ শৈলকুপা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতবিনিময় আদমদীঘিতে চোলাই মদ বিক্রেতা দুই জনের জেল-জরিমানা বগুড়া শাজাহানপুরে রাণীরহাট গবাদিপশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা ! লালপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন, নালিতাবাড়ীতে কারিতাসের আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন শেরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত সাংবাদিক নোমান গ্রেফতার গোয়ালন্দে ভেজাল দই ও ললিপপ তৈরির দায়ে এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড মোংলা-ঘাষিয়াখালী এলাকায় টেকসই বেড়ি বাঁধের দাবিতে মানববন্ধন শ্রীবরদীর কাকিলাকুড়া ইউনিয়নে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধাতব মুদ্রা: প্রচলন রাখতে দরকার যথাযথ ব্যবস্থা

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 20-09-2022 02:17:35 pm

ছবি: লেখক


◾শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ


১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর মুদ্রা হিসেবে 'টাকা' প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কাগুজে মুদ্রা ১ টাকার নোট। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ এ নোট প্রচলনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব কাগুজে মুদ্রা চালু হয় এবং একই বছরে ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ১০০ টাকার মূল্যমান নোট ঘোষণা করা হয়। আর এর কিছুদিন বাদে কাগুজে মুদ্রার পাশাপাশি ১,৫,১০ ও ২৫ পয়সার ধাতব মুদ্রা চালু করা হয়।


 আমরা বর্তমান প্রজন্মের  মানুষ এসব পয়সার সাথে তেমন পরিচিত নয়। আর তাই তো রূপকথার গল্পের মতো দাদা-দাদি, নানা-নানি বা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের কাছে আমরা জানতে পারি তারা মাত্র ৫ পয়সা বা ১০ পয়াসার বিনিময়ে অনেক পণ্য ক্রয় করতে পারতেন। এমনকি কারো কারো মুখে শোনা যায় একসময়  মাত্র ২৫ পয়াসার বিনিময়ে এক ব্যাগ ভর্তি বাজার করে আনতে পারতেন। বর্তমান এসব ধাতব মুদ্রার ব্যবহার নেই বললেই চলে। আমরা এসব পয়সার ধাতব মুদ্রার সাথে পরিচিত না থাকলেও ১ টাকা ও ২ টাকা কিংবা ৫ টাকা ধাতব মুদ্রার সাথে সবাই পরিচিত।  ১, ২,  ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা যথাক্রমে ১৯৭৪,  ২০০৪ ও ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। বর্তমান বাংলাদেশে এই তিনটি ধাতব মুদ্রার ব্যবহার চালু রয়েছে। কিন্তু এই তিনটি ধাতব মুদ্রা চালু থাকার সত্য  বাংলাদেশের বেশ কয়েকটা অঞ্চলে মুদ্রা দুটির ব্যবহার একেবারেই নেই।  ছোট খাটো ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় কোনো ব্যবসায়ও এ দুই তিনটা ধাতব মুদ্রার ব্যবহার নেই। একটি দোকানে নিম্নমানের চকলেট বাদে আর তেমন কিছুই ১ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় না। আর ১ টাকার কোনো পন্য বিক্রি করতে না পারায় একজন দোকানির কাছেও  ১ টাকর ধাতব মুদ্রার অভাব হয়ে পড়ে। এমতবস্থায় ১ টাকার ধাতব মুদ্রার অভাবে একজন দোকানি চকলেট দিয়ে লেনদেন সারেন অনেক সময়। আবার অপরদিকে দেখা যায় একজন ক্রেতার কাছে ১ টাকার বা ২ টাকার ধাতব মুদ্রা থাকার সত্বেও যদি দোকানিকে দিয়ে সমমূল্যের কোনো পণ্য নিতে চায় দোকানি দিতে রাজি হন না। এমনিভাবে যদি গাড়িওলাকে ভাড়ার টাকা দেওয়া জন্য ১ টাকা বা ২ টাকার ধাতব মুদ্রা দেওয়া হয় তখন তিনি নিতে চান না। কারণ তিনি এই ধাতব মুদ্রা কোন কিছু কিনতে পারবেন না। এছাড়াও যদি ভিক্ষুকদের টাকাগুলো দিতে চায় তারাও টাকাগুলো নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। কারণ সারাদিনের ভিক্ষায় অর্জিত টাকাগুলো নিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে চরম বিপাকে পড়তে হবে তাদের। অর্থাৎ সকল ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রেই ধাতব মুদ্রা নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ছেন সর্বস্তরের মানুষ। সর্বস্তরের মানুষের মন্তব্য যদি এমতাবস্থা চলতে থাকে তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে ধাতব মুদ্রাগুলে বিলীন হয়ে যাবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি , বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধাতব মুদ্রার প্রচলন হারিয়ে যাওয়ার আগেই প্রচলন রাখতে দরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে করা। কেননা, এসব কিছুর সাথে আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। এগুলোই আমাদের বড় পরিচয়, এগুলোই আমাদের দেশের গৌরব। 



লেখক:

শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ

শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

আরও খবর