◾ নিউজ ডেস্ক
ষড়যন্ত্র বন্ধ করে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। শুক্রবার এক সমাবেশে তারা বলেন, তত্ত্ববধায়ক সরকার আসার আর কোন সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপিকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়ে নেতারা আরও বলেন, আমরা নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা চাইনা। কিন্তু এমন নির্বাচন নিয়ে অপচেষ্টা হলে ১৪ দল ঘরে বসে থাকবে না। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা রাজপথে তা প্রতিহত করা হবে।
গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যহত করতে বিএনপিসহ দেশবিরোধী অপশক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গতকাল বিকালে রাজধানীর ডিপ্লমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি পাকিস্তানের পেতাত্মা হিসেবে এই দেশে রাজনীতি করছে। মির্জা ফখরুলের মাধ্যমে পাকিস্তানের জয়গানের মধ্য দিয়ে সেই থলের বিড়ার বেড়িয়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন-নৈরাজ্যের মূল লক্ষ নির্বাচন নয়। তাদের মূল লক্ষ দেশে অরাজনৈতিক-অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবার ক্ষমতায় যাওয়া যায় কিনা সেই হিসাব-নিকাশ। কিন্তু সেই হিসাবে এখন অনেক গড়মিল। পদ্মা-মেঘনায় অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তাদের প্রেতাত্মারাই তথাকথিত দল গঠন করে দেশে বারবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অরাজনৈতিক সরকার গঠনের পায়তারা করেছে। আজ যদি তারা মনে করেন, এভাবে এগোতে পারবেন, তাহলে ভুল করছেন। তারা ফাইনাল খেলতে চায়। কিন্তু ফাইনালের আগে যে লীগ খেলতে হয়; সেই লীগ খেলতে গিয়েই তাদের পা ভেঙে যাবে। কারণ আপনারা ফাইনাল খেলার প্লেয়ার না।
বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় বলে মন্তব্য করে আমু আরও বলেন, জনগণ আপনাদের ভোট দেবে না তা আপনারা জানেন। তাই নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করতে চান না। সেজন্য ছলে-বলে-কৌশলে সবসময় নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চান। সরে আছেন এবং আগামীতেও থাকবেন। এটা আমরা জানি এটা আমরা বুঝি।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা নৈরাজ্য চাইনা, বিশৃঙ্খলা চাইনা, কিন্তু বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আমরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তা প্রতিহত করবো। জনগণের সহায়সম্পত্তি ক্ষতি হতে দেবো না।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আমু বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) বিএনপিকে বারবার সুযোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপিকে কেউ বাধা দেবেন না। কিন্তু বিএনপি তো বাধা চায়। তারা পুলিশের গায়ে পেট্রোলবোমা মারে, ইট মারে না।
যাতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। যাতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে। তাহলে বিএনপি বলতে পারে তাদের আন্দোলনে পুলিশ আঘাত করেছে। কিন্তু আমরা জানি, সব জায়গায় প্রথমে তারাই আঘাত করে; এ কারণে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাদের এসব নৈরাজ্য সৃষ্টির সময় শেষ। আগামীতে এসব নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য ১৪ দল সজাগ, সচেতন এবং প্রস্তুত।
সমাবেশে ১৪ দলের অন্যতম শরিক না বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি বিগত দিনের নির্বাচন নিয়ে প্রহসন করেছে। আজ আবার সেই খেলায় মেতে উঠেছে। তারা আবার তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়কের দিন শেষ হয়েছে। তাদের সামনে এখন একটাই মাত্র পথ খোলা আছে, সেটি হচ্ছে নির্বাচন। যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে বিশ্বাস করেন; তাহলে আগামী নির্বাচনে আসুন। নির্বাচন ঘিরে যেকোনো ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৪ দলের নেতাকর্মীদের ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান মেনন।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুকল বশর মাউজভান্ডারি, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
১ দিন ৪০ মিনিট আগে
৫ দিন ১ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৫ দিন ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৫ দিন ১৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৫ দিন ২২ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৬ দিন ১ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৬ দিন ২১ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৭ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে