একটানা কাজ করে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে, সারা রাত ঘুমোনোর পরেই অস্বাভাবিক ক্লান্ত লাগছে।
ঘুম ভাঙার পর শরীর যেন দুর্বল হয়ে প়ড়ে। আসলে শরীরের উপর একটানা ধকল গেলে এমন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তখন কাজ কমিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার দরকার পড়ে।
শুধু তো অত্যধিক পরিশ্রমের জের নয়, ক্লান্তি কিন্তু অন্য রোগেরও উপসর্গ হতে পারে। তবে সারা ক্ষণ ক্লান্তি ভাব আর ঝিমুনি দূর করতে খাওয়াদাওয়ার দিকে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে।
নিয়ম করে কোন খাবারগুলি খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে জানেন?
◾কলা
পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবারে ভরপুর কলা খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক স্ফূর্তি আসে। জলখাবারে নিয়মিত একটি করে কলা খেতে পারেন। কলায় থাকা প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত ভেঙ্গে শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
◾ডিম
রোজের ডায়েটে ডিম রাখাও ভীষণ জরুরি। ডিম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনের ভাল উৎস। একটি ডিমে সাত গ্রাম ফ্যাট ও ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তা ছাড়া, বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডিম খেলে শরীরে স্ফূর্তি আসে।
◾ড্রাই ফ্রুট
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট দারুণ কাজে দেয়। খিদে পেলে ভাজাভুজি না খেয়ে কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ড্রাই ফ্রুটে ৩৫৯ ক্যালোরি থাকে। শরীরে আয়রনের চাহিদা মেদাতেও দারুণ উপকারী ড্রাই ফ্রুট।
◾ডার্ক চকলেট
এতে থেরোব্রোমাইন ও ক্যাফিন থাকে। শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দিতে এই দুই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। তাই ক্লান্ত লাগলে মুখে ডার্ক চকলেট পুরে দিলেই হবে মুশকিল আসান।
◾ কাঠ বাদাম
কাঠবাদাম খেতে কমবেশি সবাই ভালোবাসে। তবে অনেকের ধারণা কাঠবাদাম ওজন বাড়িয়ে দেয়। আপনি জানেন কি, উল্টো ডায়েটে নিয়মিত কাঠবাদাম আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়ার জন্য অত্যন্ত চমৎকার একটি খাবার।
কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বাদাম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তস্বল্পতা দূর করে। এটি চুল ও ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একমুঠো করে কাঠবাদাম খেলে এই উপকারগুলো পেতে সাহায্য করবে আপনাকে।
১১ দিন ১৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
২১ দিন ৪ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৩৭ দিন ৯ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৪২ দিন ২২ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৪৬ দিন ৮ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৪৯ দিন ১০ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৫৮ দিন ২১ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে