শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ উদযাপন করলেন মাভাবিপ্রবি উপাচার্য জয়পুরহাটে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার ঝিনাইগাতীতে অতিরিক্ত ভাড়া, একটি পরিবহনকে জরিমানা আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা মধুপুর বাস ও মাহিন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দু'জন নিহত পরিবেশ দিবসে কিশোরীদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ চৌদ্দগ্রামে শহীদ জামশেদের পরিবারকে জামায়াতের ঈদ উপহার মোংলায় ২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ও নেটজাল জব্দ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন "বায়েজিদ হোসেন পিয়াস" লালপুরে জিএসডিও কুরআনের ছবক গ্রহণ বিনামৃল্যে কুরআন ও টুপি বিতারন কুরবানী | এস. এ. বিথী রহমান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ইসলামপুরের বিভিন্ন গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন কুষ্টিয়ায় সেনা অভিযানে সন্ত্রাসী লিপটন ও তার তিন সহযোগী আটক ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক মুসলমানদের জীবন- ইঞ্জিনিয়ার ইসমাইল হোসেন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ৫ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে সরিষাবাড়ীর ১৬ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন ১০ কোটি টাকার বৈধ বালু মহাল ঘিরে প্রকাশ্যে স্পিডবোর্ডে অস্ত্রের মহড়া দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী সুনামগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উপহার প্রদান করেছে আব্দুল্লাহ ফাউন্ডেশন

আয়াতুল কুরসির ফজিলত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 26-02-2024 01:55:16 am

সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে হাদিসে ইরশাদ হয়েছ, তিনি বলেছেন, একবার হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে রমজানের জাকাত-ফেতরা দেখাশুনা করার দায়িত্ব দেন। মূলত আমি পাহারা দিচ্ছিলাম। এ সময় একজন এসে খাদ্যদ্রব্য চুরি করতে লাগল। আমি তাকে পাকড়াও করে বললাম, তোমাকে অবশ্যই হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব।


সে বলল, আমি একজন সত্যিকারের অভাবী। পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব আমার ওপর। আমার দারুণ অভাব। কাজেই আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।


সকালে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে হাজির হয়েছি। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, হে আবু হুরায়রা! গত রাতে কেমন আচরণ করেছ?

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে তার অভাব ও (অসহায়) পরিবার-সন্তানের অভিযোগ জানাল। এ কারণে তার প্রতি দয়া হওয়ায় আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।


হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সতর্ক থেকো। সে আবার আসবে।


আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কথা শুনে নিশ্চিত হলাম, সে আবার আসবে। কাজেই আমি তার প্রতীক্ষায় থাকলাম। সে এসে আবারও খাদ্যবস্তু নিতে লাগল। আমি তাকে বললাম, অবশ্যই তোমাকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব।


সে বলল, আমি অভাবী, পরিবারের দায়িত্ব আমার ওপর। (আমাকে ছেড়ে দাও,) আমি আর আসব না। তাতে আমার মনে দয়া হলো। আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। 


সকালে উঠে যখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, আবু হুরায়রা! গত রাতে তোমার বন্দি কেমন আচরণ করেছে?


আমি বললাম, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! সে তার অভাব ও অসহায় সন্তান-পরিবারের অভিযোগ জানাল। তাই আমার মায়া লাগলে আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।


তিনি বললেন, সতর্ক থেকো। সে আবার আসবে।


তৃতীয়বার তার প্রতীক্ষায় রইলাম। সে আবারও খাদ্যদ্রব্য নিতে লাগল। আমি তাকে ধরে বললাম, এবার তোমাকে নবী কারিম (সা.)-এর কাছে হাজির করবই। এটা তিনবারের মধ্যে শেষবার। ফিরে আসব না, এ কথা বলে তুমি আবার ফিরে এসেছ।


সে বলল, তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে এমন কিছু শব্দ শিখিয়ে দেব, যার কারণে আল্লাহ তোমার কল্যাণ করবেন।


আমি বললাম, সেগুলো কী?


সে বলল, যখন তুমি (ঘুমানোর জন্য) বিছানায় যাবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবে। তাহলে তোমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে। সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।


তখন আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।


সকালে আবার হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার বন্দি কেমন আচরণ করেছে?


আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, সে বলেছে, আমি তোমাকে এমন কিছু শব্দ শিখিয়ে দেব, যার ফলে আল্লাহ তোমার কল্যাণ করবেন। এ কারণে আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।


তিনি বললেন, শব্দগুলো কী?


আমি বললাম, সে আমাকে বলল, যখন তুমি বিছানায় শুতে যাবে, তখন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আয়াতুল কুরসি পড়বে। সে আরও বলল, এর ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সবসময় তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত থাকবে। সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসবে না।


এ কথা শুনে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, শোনো, সে নিজে ভীষণ মিথ্যাবাদী, তবে তোমাকে সত্য কথা বলেছে। হে আবু হুরায়রা! তুমি কি জানো, তিন রাত ধরে তুমি কার সঙ্গে কথা বলছিলে?


আমি বললাম, না তো। তিনি বললেন, সে ছিল শয়তান। -সহিহ বোখারি : ৩১১