অতিরিক্ত হাত ঘামাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে হাইপারহাইড্রোসিস (hyper = বেশি; hydro = পানি)। এটি নিজেই একটা রোগ হিসেবে দেখা দিতে পারে যাকে বলে প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস; কিংবা অন্য কোনো রোগের (যেমন: হাইপারথাইরয়েডিজম বা থাইরয়েড গ্রন্থির অতি-সক্রিয়তা) লক্ষণও হতে পারে যাকে বলে সেকেন্ডারি হাইপারহাইড্রোসিস।
Hyperhydrosis এর ক্ষেত্রে দুই ধরনের গ্রন্থি থেকেই ঘাম বাহির হয়ে থাকে।।
প্রকারভেদ :
Hyperhydrosis কে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে,
১। প্রাইমারি অথবা ফোকাল হাইপারহাইড্রোসিস :
এইক্ষেত্রে শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে ঘাম বাহির হয়, যথা হাতের তালু, পায়ের পাতা, বগল এবং মাথা থেকে ঘাম বের হয়। প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস মূলত ফিজিওলজিক্যাল । রাগের সময়, ভয়ের সময় anxiety, ও stress, এর সময় অঅধিকহারে Sympathetic সিস্টেম stimulation এর কারণে ঘর্মগ্রন্থি গুলি অধিকহারে active হয়ে যায়। আর তখন ফোকাল হাইপারহাইড্রোসিস তথা মাথা, মুখ, হাত, পা, থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হতে পারে।। এইটার জন্য ভয়ের কোনো কারণ নাই। প্রাইমারী হাইপারহাইড্রোসিস অনেকের ক্ষেত্রে ফ্যামিলিগত ভাবে ট্রান্সমিশন হতে পারে।
২। সেকেন্ডারি হাইপারহাইড্রোসিস বা জেনারেলাইজড হাইপারহাইড্রোসিস :
কোন সিস্টেমিক রোগের কারণে যদি সারা শরির থেকে অস্বাভাবিক হাতে ঘাম বের হয়, তখন এইটাকে সেকেন্ডারি হাইপার হাইড্রোসিস বলা হয়।।
সেকেন্ডারি হাইপারহাইড্রোসিস এর কারণ সমূহ:
এ ধরনের সমস্যা আমাদের সমাজের অনেকের মধ্যেই রয়েছে।এই অতিরিক্ত ঘামা একটা রোগ।এই রোগের কারনে জামা-কাপড়,জুতা-মোজা পরার অসুবিধা,গায়ে প্রচন্ড দুর্গন্ধ,সামাজিক সম্পর্ক, বন্ধুত্ব স্থাপন,মানসিক অশান্তি সহ দাম্পত্য জীবনেও বাজে প্রভাব পরে।এছাড়া গরমের দিনে অতিরিক্ত ঘাম শরীরের পানি শূন্যতার ফলে হিট স্ট্রোকের মত নানাবিধ মারাত্মক সমস্যারও সম্মুখীন হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘামার এই রোগকে মেডিকেলের ভাষায় হাইপার হাইড্রোসিস বা পলি হাইড্রোসিস বা সিউডোরিয়া বলা হয়।
সাধারনত কারও কারও দুই হাতের তালু বা দুই পায়ের তালু,বগলের নীচ,দুপায়ের কুচকি ইত্যাদি জায়গা গুলোতে বেশী ঘাম হয় আবার কারও কারও সারা শরীরেও প্রচুর ঘাম হয়।
অনেক কারনেই এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।তার মধ্যে অতিরিক্ত কাঁচা লবন খাওয়া,অতিরিক্ত মোটা বা ওবেসিটি,গাউট,মনোঃপজ,টিউমার,মারকারি পয়জনিং,ডায়াবেটিস মেলাইটাস ও হাইপারথাইরোডিজম ইত্যাদি।
ঘামের হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা
ঘর্ম চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিঃ
রোগের বিবরণঃ-
ঘর্ম নিজে কোন রোগ নয়।অন্য কোন রোগের উপসর্গ মাত্র।সাইকোটিস দোষাশ্রিত রোগীদের ঘর্মে দুর্গন্ধ হয়।জ্বরে অন্যান্য লক্ষণে হ্রাসের সঙ্গে ঘর্ম হইতে থাকিলে শুভ লক্ষণ।আপদ কালীন অন্যান্য উপসর্গ হ্রাস না হইয়া ঘর্ম হইতে থাকিলে কুলক্ষণ।সামান্য পরিশ্রমে অধিক ঘাম হইলে দুর্বলতার লক্ষণ।
ঘর্মের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ সমুহের লক্ষণভিত্তিক আলোচনাঃ
সাইলেসিয়াঃ- শীত কাতরে রোগী হাত ও পায়ের তলায় দুর্গন্ধ ঘাম।মাথার সম্মুখ ভাগ অর্থাৎ মুখমন্ডলের ঘামেও সাইলেসিয়া উপকারী।
ক্যালেডিয়ামঃ- ঘাম মিষ্টি,শরীর ঘামিলেই গায়ে মাছি বসে,তাদের জন্য ক্যালাডিয়াম সেগা উপযোগী।
এসিড নাইটঃ- শীত কাতর,ক্রুদ্ধ স্বভাবের,ভীরু,প্রস্রাবে তীব্র গন্ধ,হাতে,পায়ে,বগলে দুর্গন্ধ ঘাম।পায়ের ঘামে আঙ্গুলের ফাকে ঘায়ের রোগীর জন্য উপযোগী।
ক্যালকেরিয়া কার্বঃ- মোটা থল থলে মেদপুর্ণ রোগীদের সমস্হ শরীর ঘামে।টক গন্ধযুক্ত মাথার ঘামে বালিশ ভিজে,সেই রোগীর জন্য ক্যালকেরিয়া কার্ব উপযোগী।
এসিড ল্যাকটিকঃ- হাত বা পায়ের তালু অত্যন্ত ঘামে,ঘামে কোন রুপ গন্ধ না থাকিলে ইহা উপকারী।
ভেরেট্রাম এলবঃ- কপালে ঠান্ডা ঘাম।নতুন,পুরাতন,জটিল,কঠিন যে কোন রোগই হোক কপালে ঠান্ডা ঘাম থাকিলে ভিরেট্রাম তা আরোগ্য করিতে পারে।
বোভিষ্টাঃ- শীত কাতুরে রোগীর বগলের ঘামে রসুনের গন্ধের মত গন্ধ হইলে ইহা উপযোগী।
সোরিনামঃ- অপরিস্কার,নোংরা,ময়লা হাতে খাদ্য খায়।ধুলা বালি পায়ে বিছানায় শুইতে যায়।শীত কাতর,স্নান করিতে চায় না।এই ধাতুর রোগীদের শরীরে দুর্গন্ধ ঘাম,লোক কাছে বসিতে চায় না।
কোনিয়ামঃ- ঘুমের জন্য চক্ষু মুদিত করিলে ঘুমের তন্দ্রা আসিলে সমস্ত শরীর ঘামিয়া যায়।
থুজাঃ- বদ মেজাজী,নাতিশীতোষ রোগীর নিদ্রা অবস্হায় শরীর ঘামে।ঘুম ভাঙ্গিলে ঘাম বন্ধ সেই রোগীর জন্য থুজা উপযোগী।
স্যাম্বুকাসঃ- ঘুমের সময় শরীর শুস্ক,ঘুম থেকে জাগিলে শরীরে ঘর্ম। উক্ত ঘর্মের লক্ষণে ঔষধ প্রয়োগ করিলে নতুন,পুরাতন,জটিল বা কঠিন পীড়া আরোগ্য হইতে পারে।
চিকিৎসা ও পরামর্শ পেতে আপনার নিকটস্হ অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুনঃ-
যোগাযোগের ঠিকানাঃ
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের
কনসালট্যান্ট অব হোমিওপ্যাথি
ইউনাইটেড হোমিও হল
চেম্বার : ০১
জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, সেনবাগ বাজার,
সেনবাগ, নোয়াখালী ও
চেম্বার : ০২
গোল্ডেন প্লাজা,দিলদার মার্কেট
মইজদিপুর, সেনবাগ, নোয়াখালী।
মোবাইলঃ ০১৭১১-০১১৯৩২
সমগ্র বাংলাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মেডিসিন পাঠানোর সু-ব্যবস্থা আছে ।
৮ দিন ১৪ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১২ দিন ৩ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
১৫ দিন ২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১৮ দিন ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৩০ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৪০ দিন ৬ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৪৪ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৫৬ দিন ১১ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে