চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা তিনটি ইট ভাটার মালিককে ৯ লক্ষ জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন চন্দনাইশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনউদ্দীন ফয়সল।
এলাকাবাসী জানান, চন্দনাইশ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাশিমপুর ও কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার পাশে। ক্ষমতাসীন লোকেরা ডিসি খাস পাহাড়গুলো ইজারা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া মাটি কেটে মাছের প্রজেক্ট ও জুম চাষের উপযোগী করছে। পাহাড় কাটার মাটিগুলো গভীর রাতে ট্রাকে ট্রাকে চলে যায় এসমস্ত ইট ভাটায়। তাদের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সুপিয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে এলাকা জুড়ে। নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচব্যবস্থা। বনের পশু-পাখি তাদের আবাস স্থল হারিয়ে খাদ্যের অভাবে চলে আসছে লোকালয়ে। মানুষ সুযোগ বুঝে শিকার করছে এসব পশুপাখি।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, অবৈধ উৎস থেকে মাটি সংগ্রহ করে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে ইট ভাটা পরিচালনা করার দায়ে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৩ (সংশোধিত- ২০১৯) এর ১৫(১) ধারায় প্রত্যেকে ৩ লক্ষ করে মোট ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। জরিমানা করা হয় মেসার্স আলী শাহ বিক্সের মুত আমিনুল হকের ছেলে আব্দুল জব্বার (২০), মের্সাস বার আউলিয়া বিক্রস ম্যানুফেকচারারের মৃত শফিউল আলমের ছেলে মোঃ জাফর উল্লাহ (৪১), মের্সাস বিসমিল্লাহ বিক্রস ম্যানুফেকচারারের আবদুল মজিদের ছেলে আরাফাতুল হক (২৭)-কে।
উক্ত মোবাইল কোর্ট অভিযানে সহযোগিতা করতে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ থানার এস. আই নাহিদ আহমেদ সবুজের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যগণ, দোহাজারীর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হকসহ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
৮ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে