চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পাহাড়ি জনপথ ধোপাছড়িসহ দোহাজারী, হাশিমপুর, কাঞ্চনাবাদ ও পাশ্ববর্তী সাতকানিয়া উপজেলায় বেশ কিছু ইউনিয়নে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অপরাধ তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের ভয়ে প্রশাসনের লোকজনসহ এলাকারবাসী ভীত, শঙ্কিত ও অতিষ্ঠ। ২৩ মার্চ ভোররাতে উপজেলার ধোপাছড়ি ক্যাম্পপাড়া এলাকা থেকে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠতি করার সময় জনতার তাড়া খেয়ে পালাতে গেলে রাতে ২ জন ও পরে সকালে আরও ২ জনসহ ৪ জনকে আটক করে ক্ষুব্দ জনতা। পরে স্থানীয় মেম্বার মোজাম্মেল হক রহস্যজনক কারণে আটককৃতদের ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় মেম্বার মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমার অফিসের সামনে প্রথমে ২ জনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় ক্ষুব্দ জনতা। তাদের মধ্যে ১ জন পশ্চিম পটিয়া শিকলবাহার, অন্যজন বান্দরবানের পাহাড়ি, সকালে আটককৃত ২ জনের মধ্যে ১ জন বড়ুয়া অপরজন পাহাড়ি। তারা চোখের আড়ালে পালিয়ে যায়। তাদের পরিচয় জানার পর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সন্ত্রাসী নয় বলেল জানান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গভীর রাতে বৈতরনী এলাকায় স্পীড বোটে করে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী আসে দেখে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ডেকে তাদের তাড়া করে। তারা নদী পথে মদের চালান হস্তান্তর করতে এসেছে বলে জানা যায়। পরে আটকের পর ধোপাছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে একাধিকবার ফোন করলেও কেউ না আসায় তাদের আত্মীয়স্বজন ডেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে এই ঘটনার পরপর পাহাড়িদের আটক করে ছেড়ে দেয়ায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। একেকজন একেক কথা বলছে। এই ব্যাপারে চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুল ইসলাম কিছুই জানেন বলে জানান। ধোপাছড়ির পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হোসেন বলেছেন, সাধারণ মানুষের সাথে রাতে একদল পুলিশ পাহাড়িদের ধাওয়া করছিল। সেহেরি খেতে আসার পর কি হয়েছে তিনি জানেন না বলে জানান। বিষয়টি সম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলিম বলেছেন, তিনি স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি শুনেছেন। সন্ত্রাসীদেরকে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে কেন ছেড়ে দিয়েছেন তা তিনি জানেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে