চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভাস্থ জামিরজুরী রজবিয়া আজিজিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অবৈধভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগ বাতিল করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। গত ২৫ এপ্রিল উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত ইস্যুকৃত একটি পত্র অনুসারে এই তথ্য জানা যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৫ই আগস্ট ২০২৩ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মাদ্রাসার সভাপতি ক্ষমতা প্রয়োগ করে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নিয়ে এবং মাদ্রাসায় কর্মরত উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিনকে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। এতে গভর্ণিং বডির নির্বাচিত সদস্যদের সম্মতি ও অনুমোদন না থাকায় এই নিয়োগ অবৈধ এবং প্রত্যাখ্যান করেন তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে ও নিয়মের তোয়াক্কা না করে এই নিয়োগ দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঐ বছর ১২ আগস্ট শনিবার সকালে মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, গভর্ণিং বডির নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ এবং এলাকাবাসী। এরপর ২৯ আগস্ট গভর্ণিং বডির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মাশিঅ বরাবরে অভিযোগ দিলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশানা দেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের অধীনস্থ তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যক্ষের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন ১২ মার্চ। পরবর্তীতে ১৭ মার্চ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম পুনরায় অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবরে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগ বাতিলের জন্য অভিযোগ দাখিল করেন। ২৫ এপ্রিল সকল দপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে পুনরায় অধিকতর তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং অভিযোগকারীদের দাখিলকৃত প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করে অবৈধভাবে/নিয়ম বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদে এই নিয়োগ বাতিল করেন। নিয়োগ প্রাপ্ত মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিনকে জানানো হয় বিগত ৫ আগস্ট ২০২৩খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে এবং ০৭ আগস্ট ২০২৩খ্রি. তারিখের মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভার সিদ্ধান্তনুসারে অধ্যক্ষ হিসাবে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিল করে পত্র ইস্যু করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসাইন। রহস্যজনক এই নিয়োগ বাতিল বৈধ করতে অভিযুক্ত ব্যক্তি মন্ত্রী, সচিব ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে আপোষের চেষ্টা করছেন বলে অভিভাবকরা অভিযোগ জানান। তারা বলেন, এটি নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সদস্যরা। এই নিয়োগের জন্য ২২ লক্ষ টাকার অধিক খরচ করেছেন নাকি তিনি। যেটি যোগদান করে মাদ্রাসা থেকে তোলার হুমকী দিয়েছে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অভিযোগ দেওয়া গভর্ণিং বডির সদস্যদের। তারা আরোও জানান, তিনি গত বছর বন্যার মধ্যে চিকিৎসক প্রতিনিধি ডা. সাঈদ মোস্তাফা তাজওয়ার তাহির এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরীর টিপুর স্বাক্ষর জাল করে অভিভাবক সদস্যদের না জানিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগের রেজুলেশন প্রস্তুত করার অপরাধে তার নিয়োগ বাতিল হয়। ঐ নিয়োগ বাতিলের কপি নিজেই কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন মহলে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে তার দুঃখের কথা বুঝিয়ে আপোষের জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। কিন্তু তিনি আবার ঐ নিয়োগ বাতিলের কপিটাও ভুয়া দাবী করে আদালতে মামলা করার হুমকী দিচ্ছেন। তিনি নিয়োগ বাতিল’কে বৈধ করতে নয়-ছয় করে আপোষের জন্য ধারে-ধারে ঘুরছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মাদ্রাসার ক্ষতি করছেন বলেন তারা।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন জানান, তার নিয়োগ বৈধ হয়েছে এটির প্রমাণাদি তার কাছে আছে। তিনি খুব শীঘ্রই মাদ্রাসায় যোগদান করবেন। আনিত অভিযোগ ও নিয়োগ বাতিলের কোন ভিত্তি নেই।
৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে