জবিতে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি, মার্কিন ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান লালপুর থানা থেকে ছাত্রদল নেতাকে ছিনতাই, ওসিসহ ৪ পুলিশকে প্রত্যাহার উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে সাবেক ছাত্রদল নেতা উৎফুল্ল নেতা-কর্মী সুন্দরবনে অপহৃত নারী সহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করল কোস্টগার্ড চৌদ্দগ্রাম মিরশ্বান্নী বাজার ছাগলকে নল দিয়ে পানি খাইয়ে মোটাতাজা করানোর সয়ম ৯জন কে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে কার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা হেদায়েতের জন্য দোয়া করা কুষ্টিয়ায় সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশন ও হাজ্বী নায়েব আলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কর্তৃক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বাঘায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে-১০৪৩ কেজি টিসিবির পণ্য চুরীর অভিযোগ চিলমারীতে গাজায় গণহত্যা প্রতিবাদে সাংবাদিক ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল একজন জনপ্রিয় অধ্যাপক এবং আদর্শ বাবার শেষ পরিণতি দৃঢ়ভাবে আগাও - নূরুল ইসলাম নাযীফ ফিলিস্তিন - শাহীন খান রাজশাহী বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে ১৯ হাজার রাজশাহী কলেজে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ নরসিংদী কমিউটার ট্রেন ঘোড়াশাল স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ায় পলাশের জনমনে স্বস্তি লালপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নাগেশ্বরীতে প্রস্তুতি সভা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন্দীগ্রামে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপারের পথসভা

টুকু আর ফিরে আসেনি

Md Rumi Rahman ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 10-11-2022 04:36:22 pm

টুকু আর ফিরে আসেনি

রুমি রহমান

 

টুকুকে এভাবে পরে থাকতে দেখবকখনো ভাবি নিকারণ টাকা পয়সা ক্ষমতা সব কিছু ছিল তারএদেশে উঁচু তালার মানুষের সাথে তার উঠা বসা ছিলসময় তাকে অনেক কিছুই দিয়েছেকিন্তু আজ কোনো কিছু তাকে ধরে রাখতে পারে নিএটাই বাস্তব যে,সময় আপনাকে অনেক কিছু দিবে আবার প্রয়োজন নিয়ে নিবেঅসত্য পথে আয় উপার্জন খুব বেশি দিন থাকে না

সকাল আটা ট্রেনে বাড়ির  যাওয়া জন্য তড়িঘড়ি করে স্টেশনে আসলামস্টেশনে ভিতরে ঢুকে,রেস্ট রুমে বসে আছি কারণ ট্রেন লেট,কি আর করার তাই বসে আছিএদেশে কোনো কিছু সময় মত হয় নাকি আর করার?যখন আপনি দেরি করে আসবেনদেখবেন ট্রেন চলে গেছেতখন দায়ভার কিন্তু আপনারআবার ট্রেন দেরি করে আসলে সে দায়ভারটাও আপনাকে নিতে হবেকয়েকদিন আগের কথা ট্রেনের টিকেট নিয়ে লঙ্কাকান্ড হলসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পেলামবাসের চাকা পামচার হয়েছে এমন শব্দকিন্তু সাথে সাথে আবার ভাবলামস্টেশনে ভিতরে তো শব্দ আসার কথা নাহবে হয় তো কোনো শব্দস্বাভাবিক ভাবে নিলাম মিনিট দশেক পর ঘোষণা করলে যে, ট্রেন এক নাম্বার লাইনে একটু পরে দাড়াবে,যাত্রীদের নিজ আসন গ্রহনের জন্য বলা হচ্ছেরেস্ট রুম থেকে বের হয়ে এক নাম্বার লাইনে দিকে যাচ্ছিযেতে যেতে দেখি স্টেশনে উত্তর দিকে, যেখানে পুরোনো ট্রেনের বগি পরে থাকেঅনেক গুলো মানুষ ভীর করছে সেখানেচারপাশে পুলিশ দাঁড়িয়েকৌতূহল বসে এগিয়ে গেলামএটা বাঙ্গালি চিরচেনা রুপআমিও বাঙ্গালি সহজে কি আর অভ্যাস যায়রে পাশে এসে দাড়ালামদেখি একটা নিথর দেহ পরে আছেগামছা দিয়ে শরীল ঢাকামুখ দেখা যাচ্ছে নাহঠাৎ হালকা বাতাসে মুখের গামছা সরে গেলআমি অবাক হলামএতো আলেয়া বেগমের ছেলে টুকুআমি ওকে চিনি টুকুকে তো এভাবে দেখবো ভাবতে পারি নিকারণ টুকু বর্তমান সময়ে অনেক বড় নাম তারএই সমাজে অনেক নেতা মন্ত্রীর সাথে টুকুর ভালো সম্পর্কচাইলে টুকুকে পুলিশ ক্রাশফায়ার করার কথা নাকতটা দূর্ধর্ষ ছিল টুকুকয়েক বার দেখা করার চেষ্টা করে জেনেছিকিন্তু লাভ হয়নিযে জন্য দেখা করেছিলামতার অতীত জীবন জানার জন্য টুকুর নিথর পরে থাকা দেখে আমার খুব আগ্রহ  হল টুকুর জীবনে রহস্য জানতেকারণ টুকু বেচে থাকতে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পেত নাদেখি এবার কি হয়

সময় সাথে বাস্তবতা মানিয়ে নেওয়া নামেই জীবনটুকু আজ অনেক বড়শুনেছি মাঝে মাঝে টুকু নাকি ফিরে আসে রেল গাড়িতেতবে সেটা স্টেশনের কুলি ভাইদের কাছে শুনেছি কিন্তু সত্যতা পাইনিঅভিমান টা বুকে জমতে জমতে হিমালয়ের মত হয়েছেটুকু আমাদের সমাজে প্রযুক্তি ব্যববহার ফসল কেউ টুকু মত হতে চায় না কিন্তু টুকু আামদের সমাজে বেদনাদায়ক যন্ত্রনা উপহারএক সময় অর্থের অভাবে টুকুরা সমাজে তৈরি হতকিন্তু এখন প্রযুক্তি অপব্যবহারে কারণে আজকের টুকুরা সমাজে ঘুরে বেড়ায়তার মানে এই নয় যে অর্থ কারণ নঅর্থ আমাদের সমাজে অপরাধে অন্যতম কারণদারিদ্র্য আমাদের সমাজে প্রধান সমস্যা হলেও,সময়ে সাথে সাথে প্রযুক্তি দিয়েছে এর নিত্যতাকারণ আমরা এখন মোটামুটি বিলাসিতা জীবন যাপন করতে চাই আজ অর্থের কথা না বলিযে কারণে আজ খুঁজতে বের হলামটুকু কে?টুকু আর ফিরেনি কেনো?আজকে এই টুকুকে আমরা সবাই জানিবিশেষ করে পত্রিকা যারা নিয়মত পড়ে কিংবা টেলিভিশন দেখেতারা কমবেশি সবাই চেনে টুকুকেফেসবুকে তো টুকু ভাইয়াল হয়েছে গত কয়েক বছরএই ফেসবুকেই, আজকের মানবতাহীন টুকুকে জন্ম দিয়েছেটুকুকে আমি ছোট থেকে জানতাম তখন অবশ্য দেখিনি ছোট বেলার টুকু কেমন ছিলতবে ওর মায়ে কাছে শুনেছিএকদিন টুকুর মা আমার গলায় ক্যামেরা দেখ মনে করে আমি সাংবাদিকতাই আমাকে বলে,আমার একটা উপকার করবেনআপনি তো সংবাদিক অনেক সাংবাদিক ভাইকে বলতে চেয়েছি কিন্তু কেউ শুনতে চায় নআমি বললাম, আমি সাংবাদিক না না বললাম কারণ আমি নুতুন এই পেশায় তাই অস্বীকার করলামতাছাড়া স্টেশন নিয়ে নানা রকমন কথা শুনেছি তাই ভয় পেলামঅনেক অনুরোধ করলো বাধ্য হয়ে শুনতে রাজি হলামআলেয়া বেগম আমার হাতে একটা ছোট বাচ্চার ছবি দিয়ে বললএটা আমার ছেলে ওর নাম টুকু এই ট্রেশন থেকে রাগ করে চলে গেছেআমি বললাম-কেনো রাগ করে চলে গেলো এত ছোট বাচ্চাখুব বেশি বয়স না তো সাত আট হবেসে অনেক কথা জীবনে উচ্চ আঙ্ক্ষাকা আর এই ফেসবুকের মোহ আমাকে শেষ করেছেআর বেশি কিছু বলতে চাইছে নাশুধু বলে সতেরো হল আমার টুকুকে একবার দেখতে পারতাম যদি মরে শান্তি পেতামদীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলছেকিন্তু আমি চনবো কি করে আপনার ছেলেকে আর সে আমার কথা শুনবেই বা কেনোতার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম,সন্তানের কাছে ফিরে যাওয়া যে ইচ্ছাতা সন্তান হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রণা কেবল, মা জানে শুধু


আমি টুকুর মাকেন্তনা দিলামএই বলে যে, আমি চেষ্টা করবখুঁজে বের করতেটুকুর মা বলে,খুঁজতে হবে নাআপনার হাতে কাগজে ওর ছবিএটাই আমার ছেলেবড় হয়েছে তো কি হয়েছে,আমি তো চেনবএই হাতে কোলেপিঠে বড় করেছি কাগজের দিকে তাকাতেই চোখ কপালে উঠে আর বললাম, এই টুকু,এটা টুকুর ছবিদূর্ধর্ষ পনার ছেলে তোতো অনেক বড় লোক, বড় নেতাদের সাথে ওঠা বসাকয়েকটা খুনের আসামিটুকুর মা বলে আমার জন্য এমন হয়েছে টুকুওর কাছে ক্ষমা চাওয়া জন্য আজও বসে থাকে এই স্টেশনেকিন্তু আসেনিআমি বললাম আপনি ছেলের বাড়ি যানটুকুর মা বলে, সেই সাহ আমার নেই

 

আমার জানার আগ্রহ দ্বিগুন বেরে যায়কেনো টুকুর মা এমন করে বলেআর কিছু না বলতে চায় না এতকুটু বলে চলে যায় আরো একবার টুকুর মায়ে সাথে দেখা হয়ে ছিল তারপর আর টুকুর মায়ের সাথে দেখা হয় নিতবে পাশে একটা বস্তি থাকেআমার মনে রহস্য কাজ করছে আমার কেনো জানি মনে হল টুকুর মা কি এমন করেছে, যে সন্তানের কাছে যেতে পারে নারহস্য খোঁজার চেষ্টা করেছি কয়েক বার কিন্তু খুব বেশি দুর যেতে পারিনিরহস্য মা আর ছেলের মাঝে বন্দি হয়ে আছে টুকুর সাথে বেশ কয়েক বার দেখা করিপ্রথমে দিকে তো আমার সাথে দেখা করতে চাইতো নাপরে কেনো জানি, আমার সাথে দেখা করে এবং অনেক কথাই বলে কিন্তু আমি যে আশা যেতেতামতা পুরুন হয় না।।কারণ টুকুকে অনেক বার তার ছোট বেলার ছবি দেখে বলেছিলাম,এটা তুমি কিন্তু টুকু কোনো দিনও শিকার করে নিতবে টুকু যখন ছবির দিকে তাকায় কেনো জানি নিবর হয়ে যায়আর শান্ত ভাবে বলে আমি নাতখন অবশ্য আজকের এই দুর্ধর্ষ টুকু ছিল নাযে টুকু ধীরে ধীরে দুর্ধর্ষ হয়েছেযে আজ স্টেশনে পরে থাকা নিথর দে টুকুকে আজ কেউ ভয় করে নাটুকুর এই দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠার গল্প আমার জানার খুব আগ্রহ হলকিভাবে আজকের দুর্ধর্ষ টুকু হলতার কর্মকান্ড আমরা সবাই জানিবর্তমান সময়ে দুর্ধর্ষ মাস্তান

আমার জানতে ইচ্ছা হ-টুকুর ছোট বেলার কেমন ছিলটুকুর মা কেনো, আমাকে বলেছিল -টুকু আমার কলিজার ধন ছিল এই স্টেশনে টুকুর মা আমাকে টুকুর ছবি দেখিয়ে বলেছিলটুকআমার ছেলে,ওকে একটু বলি যেনো আমাকে ক্ষমা করেমা কেনো তার সন্তানে কাছে অপরাধী?

অবশেষে বাড়িতে আর গেললাম না, কারণ টুকু বিষয় আমাকে জানতে হবে কারণ টুকুর মা স্টেশনে আর ছেলে থাকত রাজ প্রসাদে

 

তারপর টুকুর মায়ের সাথে আ দেখা হয়নি আমারএই স্টেশনের পাশে একটা বস্তিতে থাকএতটুকু জানিতারপর বের হলাম সেই বস্তিতে যাওয়ার উদ্দেশেকারণ আজ আর কেউ টুকুকে ভয় করবে নাএক সময় কেউ তার বিষয় কথা বলার সাহস ছিল নাকিন্তু আজ বিভিন্ন বিষয়,কেউ না কেউ কিছু জানে টুকু নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হল লাশের গাড়িতেআর আমি চললাম টুকু অতীত খু্ঁজতে-অনেক খুজা খুজির পর পেলাম টুকুর মায়ে বান্ধবীকেএক সাথে কাজ করতটুকুর মায়ের সব কিছু জানত সেনাম আমেনাঅনেক কষ্টে তাকে রাজি করাইআমেনা বেগম-

টুকুর বাবা মা এক সাথে গ্রামে থাকতভালোই নাকি চলছিঅভাব ছিল কিন্তু শান্তিও ছিলটুকুর জন্মের সাত বছরে পর নাকি শুরু হয় মনোমালিন্যসুত্রপাত স্থানীয় এক বান্ধবীর কারণেসেই বান্ধব নাকি প্রথমে একটা ফোন ব্যবহার করতে দিয়ে ছিলসেই বান্ধব ফেসবুক ব্যবহার করে কিভাবে,কাকে কিভাবে মেছেজ করতে হয়কার সাথে কি মেছেজ করতে হয়সব কিছু শিখায়

এই ফেসবুকে মাধ্যমে এক প্রবাসির সাথে ব্ন্ধুত্ব হয় সব সময় মেছেজ আদান প্রদান করতদুজনার মাঝে সম্পর্ক গড়ে ওঠেএক সময় দুজনের মাঝে ছবি দেয়া নেয়া হয়প্রবাসি সেই ছেলের বাড়ি ছিল পাশের গ্রামে টুকুর মা যে বিয়ে বিবাহিতা সেটা কিন্তু প্রবাসিক প্রেমিক জানতেন নাকিন্তু যখন জানতে পারেনসমস্যা সুত্র পাত শুরু তখন থেকে প্রবাসি প্রেমিক ছবি সোচাল মিডিয়ার ছড়িয়ে দেয়ফলে টুকুর বাবার সাথে শুরু হয় তুলকামাল কান্ডকারণ টুকুর বাবা আসলে লেখা পড়া জানত নাসমাজের মানুষ অনেক কিছু বলতসেটা মানতে পারতেন নাএসব নিয়ে প্রায় মারতো টুকুর মাকেসংসারে অশান্তি মেঘ জমা হয়েছে দিনে দিনেমোহ দুনিয়াটা টুকুর মা আর ছাড়তে পারে নাফোন নিয়ে রাখে টুকুর বাবারনানান ভাবে টুকুর বাবা টুকুর মাকে বাধা দেয়কিন্তু টুকুর মা ছাড়তে পারে না ফেসবুকঅবশেষে ঝড় শু্রু, টুকুর মা রাগ করে টুকুকে নিয়ে শহরে আসেশুরু হয় অজানা শহরে,জীবন যুদ্ধে নুতুন নাটকটুকুর মা এখন ফেসবুক আষাক্ত নারীশহরে এসে বান্ধবি বান্ধবির(আমেনা বেগমের)কাছে আশ্রয় পায়আর কাজ খুএদেখি ঘরে বসে বসে সুন্দর সুন্দর ছবি ফেসবুকে দিয়ে,,,,,

আমেনা বেগম অনেক কিছু বলতে চাইলেন নাতবে ফেসবুকে কয়কটা ছেলের সাথে নাকি তারপর সম্পর্ক হয়তারা মাঝে মাঝে কিছু টাকা দিত নাকিআমেনা বেগম বলেন-এভাবে বেশকিছু দিন চলে যায়কয়েক দিন পর কাজ পেলো একটা গার্মেন্টসেসকালে বেলা গার্মেন্টস যায় টুকু রেখেসন্ধার ফিরে আসেআর আমেনা বেগমে ছেলের সাথে টুকু সারাদিন  খেলতএবার বেস কিছুদিন চলেতবে মাঝে মাঝে টুকুর মা বলত,এটা নাকি ভালো লাগত না

ফেসবুকে রঙ্গি দুনিয়ার স্বপ্ন জেঁকে বসেছে মনে আর এই সব ভালো লাগে নাএভাবে অস্থিরতা মাঝে চলে যায় টুকুর মায়ে জীবনআমেনা বেগম বুঝাত,কাজ না করলে চলবে কিভাবেতবে টুকুর মা আমেনা বেগম ভালো বান্ধবি ছিলনাতে, এই শহরে কেউ কি এমনি এমনি থাকতে দেয়

একদিন গার্মেন্টস এক ছেলে সাথে নাকি ছবি দেখতে গিয়ে ছিলএলাকার এক লোক দেখেপরে নাকি বাড়িতে বিষয়টা বলেএ নিয়ে অনেক কিছু হয়তারপর থেকে আর বাড়ির সাথে যোগাযোগ করে নিটুকুর মা কিছু অনলাইন হলুদ সংবাদিকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়ফলেই টুকুর মা অনেক সাহস দেখাতমাঝে মাঝে গার্মেন্টসের  সুপারভাইজারকেও ভয় দেখাতএভাবে কাজের ফাঁকেও অনলাইনে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখত

কাজে মনোযোগ কমে যাওয়ার কারণে কাজটাও হারায়তখন শুরু হয়ে যায় টুকুর মায়ে অন্য জগতআজ এ ফেসবুক ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যায় আবার কাল আরেক ফেসবুক ফ্রেন্ডের সাথেকখন রাত ১০টায় আবার কখন ১ টায় বাড়ি ফিরতটুকুর মা ভুলে গেছে,টুকু নামে তার একট ছেলে আছেআমেনা বেগমে ছেলের সাথে সারাদিন খেয়ে না খেয়ে সময় কাটকিন্তু তার মায়ের সময় হত না খোঁজ রাখার তবে আমেনা বেগম টুকুকে খেতে দিতআর টুকুর মা তাদের কিছু টাকা দিতটুকুর মা হয়ে ওঠে রঙ্গি দুনিয়ার মানুষযায় নাই কোন বর্তমান বা ভবিষ্যৎমিথ্যের মায়া স্বপনে বিভোর থাকা টুকুর মায়ের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে যায় টুকুকলিজারধন টুকু কারণ টুকু প্রায় যেতে চাইতো মায়ের সাথে কান্নাকাটি করতো কিন্তু নিয়ে যেত নাখন মারত খুব টুকুকেএই মুহুতে টুকু মা,মানে আলেয়া বেগম হয়ে থাকতে চায়একটা সময় নাকি  খুব বেপরোয়া হয়ে যায় টুকুকে সহ করতে পারে নাসব সময় বাবার কাছে যেতে বলতকিন্তু এতটুকু ছেলে মাকে ছাড়া থাকে কি করে

টুকু নাকি মাকে ছাড়া থাকতে চাইতো নাটুকু নাকি বলত তুমি সারাদিন বাহিয়ে থেকোআমি যেতে চাইবো নাকিন্তু রাতে তো একসাথে থাকবটুকুর কথা গুলো নাকি আজও আমেনা বেগমের মনে পরে।(চোখে পানি এসে যায় ছোট ছেলেটা মাকে ছাড়া কিভাবে থাকবে?দিনটা না হয় কেটে যায় খেলা করে কিন্তু রাতটা কি করে কাটবে)অনেক শান্ত ছিল টুকু খেলার  সময় কোনো ছেলে নাকি মারলে,সে মারত নাবেশি ব্যথা পেলে কেঁদে আবার ঠিক হয়ে যেতমায়ে কাছে সন্তান এখন বাধা হয়ে যায়আলেয়ার জীবনে যে এখন টুকু বাধা

কোন সাংবাদিক নাকি বলেছে যে ম্যাগাজিনে আলেয়ার ছবি বের করবেদেখতে সুন্দর ছিল টুকুর মা তাই রঙ্গিল স্বপ্ন জেঁকে বসে মনে সাংবাদিক ভাইকে সময় দিতে হবেআলেয়া বেগম টুকুকে আর রাখতে চায় নাবাড়িতে পাঠিয়ে দিবেকারণ টুকু থাকলে সে আলেয়া বেগম হতে পারবে না তাই সে সিদ্ধান্ত নিলে যে,বাড়িতে টুকুর বাপের সাথে কথা বলেটুকুর বাড়িতে পাঠাবেসমস্যা হলো আলেয় বেগম কথা বলবে না

আমেনাকে দিয়ে কথা বলে যাতে টুকু বাবা টুকুকে নিয়ে যায়কিন্তু টুকুর বাবা বলে আমার ছেলেকে নিয়ে গেছে যেনো দিয়ে যায়

কথা গুলো স্বাভাবিক নিতে পারে না টুকুর মাটুকুর মা আমিনার মাধ্যমে জানিয়ে কাল ট্রেনে তুলে দিবেস্টেশন থেকে যেনো এসে নিয়ে যায়যে কথ সেই কাজকারণ টুকুকে সে অন্যের ছেলে মনে করেস্বামি বাড়ির থেকে আসার সময় আলেয়া বেগম কিছুই সাথে নিয়ে আসেনি কিন্তু টুকুকে এনেছেআর টুকুবাবার কথা কখন বলিনি কারণ মা সাথে ছিল বলেমা থাকলে সন্তানের আর কি লাগেসন্তানের কাছে মায়ে চেয়ে আপন আর কে আছেমাঝে মাঝে বাস্তবতা বড় অসহায় হয়ে যায়লোভে পিষ্ট মনের কাছে

কিন্তু সকাল হতে না হতেইটুকুকে নিয়ে রেলগাড়ি নিজেও উঠে যায়টুকুকে রেখে আসবে বলেএই ট্রেনের শেষ গন্তব টুকুর বাবার বাড়ির ঠিকানা ছিলঘন্টা পাঁচেক লাগত শেষ গন্তব আসার আগে স্টেশনে আলেয়া বেগম নেমে যায়টুকু তখন ঘুমিয়ে ছিলআলেয়া বেগম ফিরে যায় আবার ঢাকায়টুকু বাড়িতে যেতে পারবে কারণ টুকু মোটামুটি সবে চেনে

টুকুর মা স্বপ্নের মায়া জালে বন্দিআর কিছু ভাবতে চায় নানিজেকে ছাড়াকিন্তু সমস্যা অন্যথায়  টুকু যে আবার ফিরে আসে

টুকু নাকি বাড়িতে যায়নি সেই ট্রেন আবার ঢাকায় চলে আসেযে বস্তিতে থাকে সেখানেআমেনা বেগম দেখে অবাক হলকিরে টুকু এখানে কি ভাবে আসলিটুকুর মুখ শুকনো কিছুই খায়নি মনে হয়আমেনা বেগম খেতে দেয়রাতে এসে যখন টুকুর মা টুকুকে দেখেআকাশ থেকে যেনো বজ্রপাত পরে আলেয়া বেগমের মাথায়আবার রেগে দিয়ে মারে টুকুকেআমেনা বেগম বুঝায় যে মাকে ছাড়া কি সন্তান থাকেএভাবে নাকি কয়েক বার রেখে এসেছে কিন্তু টুকু আবার ফিরে এসেছেএকদিন ফিরে এসে দেখে টুকুকেসেদিন টুকুর মা আরেক জনকে নিয়ে এসেছে, মানে ব্ন্ধু হবে হয় তোটুকু যখন আলেয়া বেগমকে মা বলে ডাকেতখন আলেয়ার কথিত বন্ধু বলে,তুমি না বলতে তোমার বিয়ে হয়নিএত বড় ছেলে কোথায় থেকে লোএই বলে রাগে খোপে চলে যায় আলেয়া বেগমের  বন্ধুআর আলেয়া বেগম রাগে খোপে  টুকু যেমন তেমন ভাবে মারলোখুন করার মত অবস্থা ছিলকতটা লোভে মগজ পঁচে গেলে এমন হয়

আমেনা বেগম বাঁচিয়েঘর থেকে বের করে নিজের ঘরে নিয়ে আসেকিন্তু আমেনা বেগমে ঘরে থাকে নি টুকু নাকি অনেক কেঁদেছেযে ছেলেটা স্টেশনে দিকে যেতে চাইতো না, মা রেখে আসবে বলেকিন্তু আজ ছোট ছেলেটা বুকভরা কষ্ট নিয়ে স্টেশনের দিকে চলে গেছেযে মা জোর করে কয়েক বার রেখে এসেওআবার ফিরে আসসেই টুকু নাকি আজ হেঁটে হেঁটে স্টেশনে দিকে গেছেআর ফিরে আসেনি টুকুতারপর আর টুকুর খোজ পাওয়া যায় নিটুকুর মা আলেয়া বেগম নাকি এই বস্তিতে ছিলএক বছর হল নাকি থাকে নাকোথায় থাকে তাও কেউ জানে নাকোথায় গেছে কেউ জানে নাবয়সের ভারে  আলেয়া বেগম মানে টুকুর মা হয় তো বুঝেছে সন্তানে জন্য কেঁদেছেযে সন্তানকে কোলে পিঠে বড় করলআজ তার কাছেই যে পারেনা,নিজে কর্মের কারণেসেই সুযোগ আর পায়নি

কারণ টুকু তখন অনেক বড় হয়েছেযখন বুঝেছেতখন নিজের মায়ে কৃতকর্মের জন্য হয় তো ফিরতে পারেনিটুকু আর ফেরে নিকোথায় গেছে কেউ জানত নাহঠাৎ একদিন খবরে আসে টুকু নাকি এলাকায় ডন

টুকু নিথর দেহ আজ পড়ে আছেএই দায়ভার কার দোষ যারে হোক, টুকু কিন্তু নির্দোষ ছিল বলছি ঔ টুকুর কথা, যে ছেলেটা মাকে ছাড়া থাকত নাএকটু খেতে পারলেই হতসারাদিন কেটে যেতে আজকের এই টুকু কিভাবে তৈরি হলতা অজানা থেকে গেলো

টুকুর মায়ের ফেসবুকে রঙ্গিল দুনিয়ার আসা মুলত প্রধান কারণ টুকির বাবার দায়িত্বহীন পিতা পরিচয় দেওয়াআজ টুকুর এই করুণ পরিণতি আমরা ফেসবুক বা সোচাল মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেকে সোচাল ভাবছিঅথেচ অপব্যবহারে বেশি করি আমরা

টুকুর মত ছেলেরা তৈরি হয় সমাজে কোনো কোনো কারণেআট বছরে টুকু যেমন  নিঃস্ব পাপ ছিলআবার পঁচিশ বছরে টুকু মহাপাপী হয়ে সমাজে ফিরে আসে

কে টুকু তৈরি করলআবার কার ছায়ার টুকু তার এই সাম্রাজ্য তৈরি করলসেই কারণ আমরা খুঁজার আগেই টুকু পাতাটা ঢেকে দিলাম

এই টুকু একদিন তৈরি হয়নিসমাজে কোট টাই পরা মানুষের ছায়ার এই রাজ্য তৈরি করেছেআমাদের সমাজে বাস করা কিছু মুখোশে ঢেকে থাকা ভদ্র মানুষপত্রিকায় খবরে পাই ক্রাশফায়ার পরে থাকে নিথর দেহ টুকুর মত ছেলেরাযারা অবহেলা বেড়ে আমাদের সমাজেআর ঢেকে যায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ যারা টুকুর কারিগর

বলছি না টুকু ভালো কিংবা আমার আইকনএটা আমার উদ্দেশ নাতবে যে সমাজ চরিত্র হীন ব্যক্তি আইকন বানাতে উঠে পড়ে লাগেসে সমাজে টুকুর কিন্তু  কারো না কারো আইকনসেই সমাজে টুকু আইকন হলে খুব  কি ক্ষতি হবে? চরিত্রহীন আর টুকু পাথক্য কি?বলে শেষ হবে না

আমাদের রাষ্ট্র উচিত এই টুকুর কারিগরদের খুঁজে বের করাতাদের শাস্তি দেওয়াঅন্যথায় এক টুকু চলে গেছে তাতে  কি হয়েছেআবার আরেক টুকু ফিরে আসবেঅন্য রুপে আমাদের সমাজে

 

 

 

 

 

 

 

আরও খবর
deshchitro-67f6a52acf934-090425104946.webp
দৃঢ়ভাবে আগাও - নূরুল ইসলাম নাযীফ

১৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে


deshchitro-67f6a4d117ae4-090425104817.webp
ফিলিস্তিন - শাহীন খান

১৪ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে




deshchitro-67e191a7116bc-240325110855.webp
স্বপ্ন আমার

১৬ দিন ১৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে


deshchitro-67defc2e7182b-230325120638.webp
দুর্বার তারুণ্য বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

১৮ দিন ১২ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে


deshchitro-67dadb8180ad1-190325085809.webp
কবিতা - নিষিদ্ধ গোলাপের গন্ধ

২১ দিন ১৬ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে