চকরিয়ায় আওয়ামী স্বৈরশাসন আমলে পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী মজিদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল আবসার ছিদ্দিকী কর্তৃক মাদ্রাসার মূল প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সুপার বৃন্দের নাম বিলুপ্তিকরণের বিরুদ্ধে আপত্তি ও তাদের নাম স্বসম্মানে পূণঃবহালের দাবীতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।রবিবার সকালে মজিদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ পৌর দাখিল মাদ্রাসার শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রদের পক্ষে এ অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে প্রাক্তন ছাত্রদের রয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসধাচরণ, নিজ ইচ্ছেমত স্বৈরাচারি কায়দায় মনগড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, অনিয়ম, দূর্নীতি,স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার গুরুতর অভিযোগ।
প্রাক্তনরা চায় প্রতিষ্ঠানের শান্তি, ত্যাগীদের সম্মান, সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা। এজন্য প্রাক্তনরা প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষায় সবকিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
দ্রুত নিজ উদ্যোগে সংশোধন হয়ে ফিরে না আসলে এবং প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সম্মানী লোকদের যথাযথ মূল্যায়ন না করলে প্রয়োজনে সুপারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণের একদফা কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থরা।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মজিদিয়া পৌর দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন,মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়েই গেছে বহুবছর পূর্বে।এখানে আবার নতুন করে প্রতিষ্টাতা কেন আসবে। যারা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছে তারাই এ পদে থাকবে। এটিতো নতুন করে প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নেই। টাকা দিয়ে দাতা ক্যাটাগরিতে
সদস্য হওয়া যাবে নিয়সানুযায়ী। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে,চকরিয়ার মজিদিয়া মাদ্রাসাটি বিগত ১৯৮২ সালে প্রধান প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা বদরুদ্দৌজা হেলালী এর নেতৃত্বে এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী,গুণীজন ও সমাজসেবিদের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। হাটি হাটি পা পা করে অনেক ত্যাগ তীতিক্ষা ও পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে সোসাইটি হাসপাতাল সড়কে একটি বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন এবং কোচপাড়াস্থ বর্তমান মাদ্রাসার একাডেমিক স্থাপনা তৈরীসহ মাদ্রাসার ভৌত অবকাঠামোগত উন্নতি সাধিত হয়। বর্তমান মাদ্রাসার সুপার নুরুল আবছার ছিদ্দিকী যোগদান করেন ২০০২ সালে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রধান প্রতিষ্ঠাতা (বর্তমানে যাহার একমাত্র কবরটি মাদরাসা মাঠে শায়িত) নামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় যাদের অপরিসীম অবদান রয়েছে তাহাদের নাম সম্পুর্ণরূপে বিলুপ্ত করে সুপারের নিকটত্মীয় জনৈক বুলবুল জন্নাত নামে এক অজ্ঞাত মহিলাকে ২০২৩-২৪ সালে এসে একক প্রতিষ্ঠাতা বানিয়ে নামফলক (স্মরণিকা) তৈরী করে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে টাঙিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠাকালীন হতে অনেক সম্মানিত সুপারবৃন্দ দায়িত্ব পালন করলেও সাবেক সুপারদের তালিকায় সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র তাহার নিজ নামের ফলক (স্মরণিকা) টাঙ্গিয়েছেন। ফলে ১৯৮২-২০০২ইং পর্যন্ত সময়ে সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সম্মানিত শিক্ষকগণের নাম তালিকা হতে কর্তন করে কেবল নিজের নামটিই লিপিবদ্ধ করেন। প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যে কথিত মহিলাকে দেখানো হয়েছে তাহাকে এলাকার কেউ চিনেন না, তার কোন পরিচিতি ও অবদান নেই । তিনি মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কোন কাজে ইতিপূর্বে কখনো কোনভাবে জড়িত ছিলেন না।
৯ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে