মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা সিটি কলেজকে অস্থিতিশীল করার জন্য এই কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলকে দায়ী করেছেন কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা। এমন অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের বাড়ি কলারোয়ায়। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা এনামুল হক করিমের নির্দেশে কলারোয়া থেকে অল্প বয়সী ছেলেদেরকে নিয়ে এসে কলেজকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। গত বৃহস্পতিবার কলেজ ক্যাম্পাসে ওই বহিরাগত ছেলেদের জড়ো হয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে দেখা যায়। এতে কলেজ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন অস্থিতিশীলতার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। তিনিই মূলত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করে অস্থিতিশীলতার পথে ঠেলে দিচ্ছেন।
কলেজ সূত্র জানায়, এডহক কমিটি গঠনের পর প্রায় এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। ইতোমধ্যে সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে সভাপতি মতবিনিময় সভাও করেছেন। সেই সভায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও বৈষম্যহীনতা দুর করার লক্ষ্যে কলেজের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়ন ও লেখাপড়ার গুণগত মানোন্নয়নে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। অতীতের সকল দু:খ-কষ্ট ভুলে শিক্ষকরা এক ছাদের নিচে কলেজের উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। ওই সভায় সুষ্ঠুভাবে কলেজ পরিচালনায় একটি অর্থ কমিটি এবং একটি অডিট কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই কমিটিগুলো গঠন করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন সভাপতি। সে মোতাবেক কলেজের সিনিয়র শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। সিটি কলেজের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রির ছাত্র এডভোকেট আরিফুর রহমান আলোকে হিতৈষী সদস্য মনোনীত করেন। যা সাধারণ শিক্ষকবৃন্দের নিকট অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভ্যন্তরীন অডিট সম্পন্ন করেন। উক্ত অডিট ও নিরীক্ষায় দেখা যায় যে, গত ১৭ মাসে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রায় কোটি টাকার মতো আত্মসাৎ করেছেন। যে কারণে নতুন সভাপতি অত্র কলেজের শিক্ষক এবং কর্মচারীবৃন্দের নিকট অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তাছাড়া সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মনিরুজ্জামান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে একটি মহল প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এতে কলেজটির ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে পরিবেশ নষ্ট করার জন্য গণিত শিক্ষক মিজান আলী ও কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া কলেজের বরখাস্তকৃত শিক্ষক বিএম শাখার ইউনূসকে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
৪ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে