চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে টাকা নিয়ে রোগী দেখছেন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব)- হিসেবে কর্মরত মো. ইসমাঈল। আংশিক চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার অধীনে অবস্থিত কয়েক লক্ষাধিক এলাকাবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য এই হাসপাতালটির গুরুত্ব সীমাহীন। দোহাজারীসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত সাধারণ রোগীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে গুনতে হয় টাকা এই ধরনের অভিযোগ অনেক পুরানো। ৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে সামান্য জ্বরের পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে যান নাবিলা আক্তার (২৮)। তিনি অভিযোগ করেন, পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে ধরিয়ে দিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের ওষুধের পরিবর্তে তার লিখে দেওয়া ওষুধগুলো খেতে বলেন। এ সময় তার ফিস বাবদ ১’শ টাকা দাবী করে আদায় করেন। ঐ প্রেসক্রিপশন নিয়ে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গেলে সামান্য জ্বরের এন্টিবায়টিক জিমেক্স ৫০০ ট্যাবলেট দিতে অস্বীকৃতি জানান ফার্মাসিস্টরা। এতে বিষয়টি নিয়ে দোহাজারী বাজারে গুরুত্বর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ল্যাব সহকারি মো. ইসমাঈলের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। এমন কাজ আর করবে না বলে জানান। অভিযোগের ব্যাপারে হাসপাতালটির দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম জানান, কাজটি অন্যায় ও অপরাধমূলক। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল আরফানকে একাধিকবার ফোন দিলেও কোন সাড়া পায়নি। তাই তার বক্তব্য জানানো সম্ভব হয়নি। সরকারি হাসপাতালে এভাবে চিকিৎসা দিয়ে অর্থ আদায় কাম্য নয় জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রোগী ও এলাকাবাসী।
৮ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে