মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সর্ববৃহৎ পূজামন্ডপ মায়ের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, সদ্য সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব তাজকিন আহমেদ চিশতী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক সালাউদ্দিন লিটন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এড. সোমনাথ ব্যানার্জি, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীল প্রমুখ। ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর নেতৃত্বে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সনাতন ধর্মবলম্বীদের সাথে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সার্বিক খোঁজ খবর নেন। এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এ দেশ অর্জিত হয়েছে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে। যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে এই শিক্ষাই ধর্মের শিক্ষা। এদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। যারা সামাজিক পরিম-লে বিশৃংখলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, রক্তপাত ঘটায়, ধ্বংসযজ্ঞ এবং নৈতিকতা বর্জিত অনৈসলামিক কর্মকা- চালায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবিরোধী নানা অশুভ তৎপরতা ও ষড়যন্ত্র হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ফেক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভও হয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে মিথ্যা ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে একটি গোষ্ঠি একটা ফয়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করছে এবং সবাই সমান অধিকার নিয়েই বসবাস করছে। সংবিধানে বলা হয়েছে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে। তাঁর নীতি অনুসরণ করেই কাজ করবে। আমাদের দেশে একটা স্লোগানই আছে-ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই দেখা যায় হিন্দুদের উৎসবে মুসলিমরা যায়। হিন্দুরাও মুসলমানের উৎসব তারা ভাগাভাগি করে নেয়।
এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উসকে দিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশে ২০০বছর শাসন টিকিয়ে রাখে। আবার যখন ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলো তখন আমরা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। ধর্মের ভিত্তি পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানকে একঘরে রাখতে পারেনি। পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে ধর্মবর্ণনির্বিশেষে এদেশের আপামর জনতা প্রতিবাদ করতে থাকে। ফলে নানা ধর্মের মানুষের সম্প্রীতির পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বিশ্বের বুকে সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের নাম ধারণ করে। তখন থেকেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সূচনা। আমাদের দেশ তথা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিশ্বে বিদ্যমান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব-সংঘাত কোনো জাতির কল্যাণ বয়ে আনে না। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় না থাকলে সাধারণ নাগরিকের ক্ষয়ক্ষতি এবং রাষ্ট্র প্রদত্ত মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রাও বাধাগ্রস্ত হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, এখনো দেশের ভেতরে একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত। তাদের কারণেই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ হঠাৎ করেই যেন অস্থির হয়ে ওঠে। এই অশুভ চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। তিনি সকলের জন্য শুভকামনা জানিয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ অটুট রাখার আহ্বান জানান।
৪ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে