মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ক্লাব বাজারের ‘মহিদুল মিষ্টান্ন ভান্ডারে’ পাওয়া যাচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের রসগোল্লা। ইতোমধ্যেই এ রসগোল্লার খ্যাতি ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়, জেলা থেকে জেলার বাইরে।
জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরের কৃষিনির্ভর এই গ্রামে গড়ে উঠেছে বাজার। এ বাজারেই সেমিপাকা একটি ঘরে ‘মহিদুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। সেখানে কাচে ঘেরা আলমারির মাঝে বড় বড় পাত্রে রসে টইটুম্বুর করছে রসে ভরা রসগোল্লা। যার একেকটির ওজন ২ থেকে ৩ কেজি করে। এক কেজি, আধাকেজি, একশ’ গ্রামের রসগোল্লাও সেখানে আছে। আছে রসমালাই, চমচমসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি।
যারা এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে এসেছেন তারা মিষ্টির আকার দেখে কিনে নিচ্ছেন এক বা দুই কেজি ওজনের একেকটি রসগোল্লা। মিষ্টির কারিগর মহিদুল ইসলাম শ্যামপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এই মিষ্টি তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন। মহিদুলের রসগোল্লা তৈরিতে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী নারগিস বেগম। বাড়ির সব কাজ সেরে স্বামীর রসগোল্লা তৈরি ও বিক্রির কাজে সহযোগিতা করেন নারগিস বেগম।
মহিদুলের মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই বাইরে অপেক্ষা করছেন মিষ্টির সাধ নেবার জন্য। দোকানে একটি কাচে ঘেরা আলমারির মধ্যে রসে ডোবানো লোভনীয় বড় বড় মিষ্টি।
শ্যামপুর গ্রামের বাবলু মিয়া, রহমত আলীসহ অনেকেই জানালেন, মিষ্টির চাহিদা দেখে গ্রামের অনেক মিষ্টির কারিগর মিষ্টির দোকান দিয়ে বসে। কিন্তু মহিদুলের মতো স্বাদের মিষ্টি বানাতে না পারায় এক মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নিয়েছে। তিনারা আরো জানান, এই মিষ্টির সুনাম শুনে আশপাশের জেলা থেকেও প্রতিনিয়ত ক্রেতারা ছুটে আসেন মহিদুলের মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে।
রসগোল্লা খেতে আসা আকাশ ইসলাম নামের একজন ক্রেতা জানান, আমরা অনেক দিন আগে শুনেছি ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের রসগোল্লার গল্প। এখানে বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে মহিদুলের রসগোল্লা খেতে এসেছি, আমরা খেয়েছি এবং পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছি। রসগোল্লার বেশ সুনামও করেন তিনি।
মিষ্টির কারিগর মহিদুল ইসলাম জানান, শহরের অনেক মিষ্টির দোকানের কারিগর তার কাছ থেকে এমন বড় মিষ্টি তৈরির কলাকৌশল শিখতে আসে। তিনি জানান, এই মিষ্টি তৈরির সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। ছানা হতে হবে নির্ভেজাল, জেলার বাইরেও এই মিষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
২ দিন ৭ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
২ দিন ১০ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৬ দিন ১৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৭ দিন ১১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৮ দিন ৬ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৭ দিন ১২ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১৮ দিন ১ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
২৪ দিন ৬ ঘন্টা ২ মিনিট আগে