চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ফতেহ আলী সিকদার বাড়ির জনৈক মোস্তফা শহিদুল আলম নিজেকে রাঙ্গামাটি সরকরি কলেজের অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে বিবাদীকে মামলায় জড়াতে মিথ্যা পরিচয়ে ফায়দা লুঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি চেয়ারম্যান (দুদুক), জেলা প্রশাসক, পরিচালক (দুদুক), চট্টগ্রাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি জানিয়েছেন চন্দনাইশ পৌরসভার গাছবাড়িয়া এলাকার জনৈক মো. জয়নাল আবেদীন। এছাড়া তিনি আরোও জানান, মোস্তফা শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গিয়ে তার ভাই সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, তিনি নিজেকে কখনো ডিসি অফিসের কর্মকর্তা, কখনো ডিবি, কখনো সেনা কর্মকর্তা, কখনো সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে আসছেন। ভুঁয়া এই সব পরিচয়ে ব্যবহার করে অনেক সম্পদের মালিক হয়ে উঠেন। এলাকাবাসীর নিকট টাকা গরম দেখিয়ে চলেন। অন্যের সম্পত্তি দখল করতে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। অথচ সে কোন কলেজেই চাকরি করে না এবং কোন সরকারি কর্মকর্তাও নয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর হাশিমপুর ফতেহ আলী সিকদার বাড়ির মৃত জামাল উদ্দীনের ছেলে মোস্তফা শহিদুল আলম বাদী হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর ১১৪/২০২৪ মামলায় নিজেকে কলেজ শিক্ষক পরিচয় দেয়। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদনে ডিবি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফ উদ্দীন মো. শাওন বাদী মোস্তফা শহিদুল আলমকে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত দেখিয়ে তার পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বলেছেন, তার মেয়াদকালে ঐ নামে কোন শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না। কোন সময় ছিল কিনা তাও জানেন না। এ ব্যাপারে জানতে মোস্তফা শহিদুল আলমের ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য জানানো সম্ভব হয়নি। এই ব্যাপারে এলাকাবাসীর নিকট তিনি ভুঁয়া পরিচয় ব্যবহার করে অন্যায় করেছেন বলে স্বীকার করেন বলে জানান তারা।
৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে