বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কী? প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব মাঈনউদ্দিন আল-মাহীর কবিতা - "শব্দহীন অভিমান" ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন লালপুরে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, ছাত্রদল নেতাসহ আটক ২ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত পাবিপ্রবিতে পদ্মা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে মাঠ দিবস পালিত কোম্পানীগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার মাহফিল! আদমদীঘিতে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি কুবিতে আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ, সম্পাদক তন্ময় আদমদীঘিতে বিস্কুটের প্যাকেটের ভিতর হেরোইন, বাসযাত্রী গ্রেপ্তার শুক্রবার একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যাচ্ছেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন নন্দীগ্রামে পৌর জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন।


বরিশালে আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ হন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করা মো. রহমতুল্লাহ। তখন থেকে ধারের টাকায় কোনোভাবে চিকিৎসা চালিয়ে আসছেন। এখন তিনি এক চোখে দেখেন না, অপরটিতে কম দেখেন।


একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় চোখ হারালে তার পরিবারকে পথে বসতে হবে বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় আহত-নিহতদের পরিবারের সহায়তায় ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।কোটা সংস্কার আন্দোলনে তার মতো এমন অনেক আহতের পরিবার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। পাচ্ছেন না সরকারি সহায়তাএ সময় উপস্থিত আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তিন মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকারি সহায়তার জন্য বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন থেকে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরি করা হয়নি। এমনকি তাদের পরিবারের কোনও খোঁজ-খবরও নেওয়া হয়নি।


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্দোলনে বরিশাল জেলার ৩০ জন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হন চার শতাধিক। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও তাদের কোনও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। সম্মেলনে দাবি জানানো হয়, যেন দ্রুত আহতদের তালিকা তৈরি করে দেশে এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।ঢাকায় আন্দোলনে নিহত সেলিম তালুকদারের বাবা সুলতান তালুকদার জানান, তার পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল সেলিম। আগে ছেলের স্ত্রী-সন্তানসহ ঢাকায় বাসা নিয়ে বসবাস করতেন তারা।


ছেলের মৃত্যুর পর বাসা ছেড়ে ঝালকাঠীর নলছিটিতে চলে আসতে হয়েছে। বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি সরকারের নিকট আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে আহত ছাত্রদের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রহমাতুল্লাহ সাব্বির নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আহতদের চিকিৎসার দাবিসহ ১০ দফা তুলে ধরেন। উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সড়কের নামকরণ, এককালীন অনুদান প্রদান, মাসিক ভাতার ব্যবস্থা, নিহতের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান ইত্যাদি। 


আরও খবর