রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে ‘রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ৭০% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক’ লেখার পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও আসবে ভয়ংকর রূপে, সাবধান’ লেখাটি ভেসে উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনেও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেলে ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডে ওই বার্তাটি স্ক্রল হতে দেখা যায়। মুহুর্তেই এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বসে কলেজ প্রশাসন।
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী বলেন, আমরা এখনো সুস্পষ্ট বর্ণনা দিতে পারছি না যে কে বা কারা করলো কিংবা কিভাবে ঘটলো। সন্ধার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা বিষয়টা জানার চেষ্টা করতেছি কিভাবে এটি ঘটলো। আমরা কলেজ প্রশাসন বিষয় টা তদারকি করছি।
আশা করছি অপরাধীকে দ্রুত সনাক্ত করতে আমরা সক্ষম হবো। অধ্যাপক আরো বলে আমরা তাৎক্ষণিক মিটিং ডাকছি। আমাদের একটু সময় দেন খুব দ্রুত আমরা এটা সনাক্ত করবো।
রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড ইব্রাহিম আলী বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনো সঠিকভাবে অবগত নই। সবেমাত্র অধ্যক্ষ স্যার আমাকে এ বিষয়ে জানালেন। আমরা অপরাধীকে সনাক্তের জন্য আইটি বিশেষজ্ঞকে ডাকছি। দ্রুত আমরা সনাক্ত করবো আশা করছি।
ডিজিটাল বিলবোর্ড পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মোঃ আসলাম জানান, আমি বিকেল ৫ ঘটিকায় কম্পিউটার অফ করে চলে গেছি। কে করলো বা কিভাবে ঘটলো আমি জানিনা। তিনি বলেন এই এ্যপসটি এখন হ্যাক করা সম্ভব। হয়তো বাহির থেকে কেউ ল্যাপ্টব বা ফোন দিয়ে লেখা টি পরিচালনা করেছে।
সাধারন শিক্ষার্থীরা বিষয় টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এত বড় একটা কলেজের প্রশাসনিক ব্যাবস্থা এত দুর্বল কিভাবে হয়। এভাবে চলতে থাকলে সাধারন শিক্ষার্থীরা কলেজের বর্তমান প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলবে। এর দ্রুত সমাধান চাই আমরা।