জাতীয় নির্বাচন কবে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা গাজায় ইসরায়েলি হামলায়: প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৪৩৭০০ জনে আসিফ নজরুলের ওপর হামলা, জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত সরকারের ছোট্ট বেলার সেই পার্থ কুমারের জীবন, মায়ের কাছে সন্তানের চিঠি নীতিমালা লঙ্ঘন, সদরপুর খাল ও গুড়াডুবা জলমহালের ইজারা বাতিলের আবেদন গলাচিপায় প্লাস্টিক রিসাইকেলিং কারখানা করে সাবলম্বী এক যুবক। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠক, নির্বিঘ্নে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর নির্মম মৃত্যু শিবচরে ব্রি দানাদার ইউরিয়া সার প্রয়োগযন্ত্রের মাঠ দিবস পালিত। ভালোবাসা অনুভব করতে হয়- কাজী এহসানুল হক জিহাদ। ঈশ্বরগঞ্জে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠিত অভয়নগরে অবশেষে যানজট মুক্ত করতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত শাজাহানপুর উপজেলা পরিদর্শনে বিভাগীয় পরিচালক ইসলামপুরে জুয়া খেলার আসর পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ শ্রীবরদীতে পরিবেশ, জলবাযু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামি দুদু মিয়া গ্রেপ্তার নালিতাবাড়ীর বাঘবেড় ইউনিয়নে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নে আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পতনের আগে ২ কারণে হাসিনা-প্রেসিডেন্ট সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 11-11-2024 09:24:26 pm

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল। অন্তত দুটি কারণে দুজনের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। 


মতিউর রহমান চৌধুরী সম্পাদিত (মানবজমিনেরও প্রধান সম্পাদক তিনি) জনতার চোখ ম্যাগাজিনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। 


প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ ও শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে বঙ্গভবন আর গণভবনের মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছিল। রীতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলে দেশে ফেরার পর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা যায় চীন ও ভারত সফরের পর। সম্পর্কের অবনতি এমনটাই ঘটেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনের দিকে পা-ই বাড়াননি। এ যখন অবস্থা, তখনই বিচারক নিয়োগের প্রশ্নটি সামনে আসে। 


গণভবন বা আইন মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা দেখে প্রেসিডেন্ট বিরক্ত হন। ১৮ এপ্রিল ২০২৪ প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে সামগ্রিকতা নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে। নিয়োগের পদ্ধতি স্পষ্ট না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে প্রথাগতভাবে নিয়োগ হয়ে আসছে। বিষয়টি লিখিত না থাকলেও আলোচনাক্রমে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করার নিয়ম চালু আছে। প্রেসিডেন্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এ নিয়ম ভঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বঙ্গভবনে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। সারসংক্ষেপ বহনকারী ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে বিরক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পাল্টা একটি চিঠি পাঠান সই না করেই। 


এতে তিনি বলেন, যেভাবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লেখেন, আমি কিছুই জানি না, অথচ আমাকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হবে। প্রচলিত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্টকেই পুতুল বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম কেন? দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া উপেক্ষা করার কী অর্থ আছে। 


আইনমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করারও প্রয়োজন মনে করেননি। সবমিলিয়ে প্রেসিডেন্ট ব্যথিত হন-এটাও উল্লেখ ছিল চিঠিতে। এ চিঠির অনুলিপি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর দফতরে। 


ওদিকে প্রচলিত শ্রম আইন নিয়েও ভিন্নমত দেখা দেয়। আলোচনা না করে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নেয়ার জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এতে প্রেসিডেন্ট মনঃক্ষুণ্ন হন। এতে করেই বঙ্গভবন ও গণভবনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। সম্ভবত এসব কারণেই হাসিনা ৫ই আগস্ট ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনেও কোনো যোগাযোগ করেন নি।

আরও খবর