এক গোলে এগিয়ে থাকা কখনোই ম্যাচে পুরোপুরি নিরাপত্তা দেয় না। মেসির পেনাল্টি গোলে ম্যাচের ১০ মিনিটের সময়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই একগোলের লিড তাদের নিরাপত্তা দিলো কই? সেই বাস্তবতাই বুঝলো আর্জেন্টিনা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। সবাইকে চমকে দিয়ে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সৌদি আরব গোল করে বসে। তাতেই ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১।
আকস্মিক এই গোলে পুরো আর্জেন্টিনা হতবাক হয়ে যায়! খেলার ধারার বাইরের এই গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ম্যাচে সমতা এনে দারুণ উজ্জীবিত হয়ে উঠে সৌদি আরব। সেই শক্তিতেই তারা খানিকবাদে আরেকটি গোল করে বসে। জ্বি আপনি ভুল পড়ছেন না। ম্যাচের ৫৩ মিনিটের সময় স্কোরলাইন দাঁড়ায় সৌদি আরব ২, আর্জেন্টিনা ১! সৌদির দুটোই গোলই দারুণ দক্ষতায়। হারের আশঙ্কায় থাকা আর্জেন্টিনা ম্যাচে ফিরে আসার জোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু সৌদি আরব যে তখন আপসেট ঘটানোর উপায় পেয়ে গেছে!
পিছিয়ে থাকা ম্যাচে কীভাবে ফেরা যায়- তার দারুন উদাহরণ রাখে সৌদি আরব এই ম্যাচে। ম্যাচের ৪৮ মিনিটের সময় আল শেহরি ম্যাচে সমতা আনেন। আর্জেন্টাইন বক্সে বল পায়ে রোমেরোকে পেছনে ফেলে সামনে বাড়েন শেহরি।
দেখেশুনে কোনাকুনি শটে আর্জেন্টাইন গোলকিপার মার্তিনেজকে পরাস্ত করেন (১-১)। শেহরি এই গোলের শটই ছিল পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার পোষ্টে সৌদি আরবের প্রথম কোনো শট! ম্যাচে সমতা আসার পর আর্জেন্টিনার জন্য অবাক হওয়ার আরো বাকি ছিল। ৫৩ মিনিটে আল দাওসারি বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। দুর পোষ্ট লক্ষ্য করে শট নেন। আর্জেন্টাইন গোলকিপার বল ধরার জন্য লাফ দেন। কিন্তু নাগাল পেলেন কই? বল জালে (২-১)।
খেলার ধারার বিপরীতে মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে সৌদি আরবের দুই গোলে আর্জেন্টিনা নড়বড়ে হয়ে যায়। হারের আশঙ্কা মাঠে এবং আর্জেন্টাইন ডাগআউটে। কোচ স্কালোনি ভাবছিলেন কোথায় ভুল হলো?
ম্যাচ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে যাতে ফেরা যায় সেই চিন্তায় দ্রুত তিনজন খেলোয়াড় বদল করেন আর্জেন্টাইন কোচ। আলভারেজ, লিসান্দ্রো মার্তিনেজ ও অকুনাকে মাঠে নামান। আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতেই তার এই পরিকল্পনা। কিন্তু ম্যাচে লিড পাওয়া সৌদি আরব তখন মাঠে অন্য মেজাজে। সৌদি গোলকিপারও তখন গোলপোষ্টে যেন বাধার প্রাচীর। অন্তত দুটো নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন গোলকিপার আল ওয়েসিস।
কিকঅফের বাঁশি বাজতেই সৌদি আরবকে চেপে ধরেছিল আলবিসেলেস্তেরা তাই গোলের দেখা পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি দক্ষিণ আমেরিকার পরাশক্তিদের। ম্যাচের দশ মিনিটেই আর্জেন্টিনা পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত গোল।
গোল উপহার দেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। তবে গোল এলো পেনাল্টি থেকে। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে বক্সের মধ্যে পারেদেসের জার্সি টেনে ধরেন সৌদির এক ফুটবলার। ফেলেও দেন আর্জেন্টিনার ওই খেলোয়াড়। মাঠের পাশে রাখা স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সুযোগটা কাজে লাগাতে কোনো সমস্যাই হয়নি সুপারস্টার মেসির।
লুসাইল স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই মিশন শুরু হলো আর্জেন্টিনার। তাতে দেশের হয়ে প্রথম গোলটি এনে দিয়েছেন পিএসজি'র তারকা ফরওয়ার্ড মেসি।
২২তম মিনিটে আরও একটি গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। অফসাইডের কারণে ২৮তম মিনিটে করা লাতারো মার্টিনেজের গোলটি বাতিল করে ভিএআর।
দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার অনেক চেষ্টা চালায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু সৌদির রক্ষনে তারা কোন চিড় ধরাতে পারেনি। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে এটি ছিল সৌদি আরবের প্রথম জয়। তাও আবার সেই জয় বিশ্বকাপ মঞ্চে!
কে ভেবেছিল এমন আপসেটের শিকার হবে আর্জেন্টিনা?
৮ দিন ৫০ মিনিট আগে
৯ দিন ১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১২ দিন ২২ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১৩ দিন ২২ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১৩ দিন ২২ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১৮ দিন ২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৪ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
২৮ দিন ২ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে