বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো আন্দোলন সফল হয়েছে সবগুলোর মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ছাত্রদের ভুমিকা অনস্বীকার্য। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ সর্বশেষ ২৪ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশে অনেক সক্রিয় ছাত্রসংগঠন রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতির মূল চর্চার কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গুলো। বিগত দিনগুলোতে ক্যাম্পাসে রাজনীতির নামে চলত হল দখল, শিক্ষার্থী নির্যাতন, চাঁদা বাজি, টেন্ডার বাজি সহ নারী কেলেঙ্কারি। যার ফলে ছাত্ররাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি ভয়ের সৃষ্টি করে। বিগত সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ছাত্ররাজনীতির প্রতিফলন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্ররাজনীতি অভিশাপ স্বরুপ। তাছাড়া ছাত্ররাজনীতিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি হত্যাকান্ডও সংগঠিত হয়েছিল। আগামীতে ছাত্ররাজনীতি করতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে এর পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশ্বাস সহ, তাদের কাঙ্খিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সুস্থ ধারার রাজনীতি অবশ্যই থাকা উচিৎ। আগামীর প্রজন্মকে সুস্থ ধারার রাজনীতি উপহার দিতে সকল দলীয় হাইকমান্ডকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
» শিক্ষার্থীরা যেমন ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশা করে।
১। হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সহ সকল সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করা।
২৷ লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানো।
৩। দখলমুক্ত হল
৪। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সহযোগিতা করা।
৫। শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা।
৬। হিংসার রাজনীতির অবসান ঘটানো।
৭। শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলা।
৮। প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অবসান ঘটানো
৯।শিক্ষক নিয়োগে হস্তক্ষেপ না করা।
আগামীতে ছাত্ররাজনীতি করতে হলে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সকল ছাত্রসংগঠনকে অপরাজনীতি ও হিংসার রাজনীতি দূর করতে হবে। জুলাই আন্দোলনের মূলনায়ক ছাত্ররাই। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতিকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহারের করেছে। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। ছাত্ররাজনীতি হোক শিক্ষার্থীদের কল্যানে। ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই তৈরি হবে আগামীর নেতৃত্ব। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে দেশ শাসন করবে। তাই সকল সক্রিয় ছাত্রসংগঠন গুলোর দায়িত্ব সুস্থ ধারার রাজনীতির মাধ্যমে তরুন নেতৃত্ব তৈরি করা। শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে হবে। সুস্থ ধারার রাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিগত দিনে তৈরি হওয়া ভয়ভীতি দূর করতে হবে। শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতি করতে পারলে আগামীতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাজনীতি উপহার পাওয়া যাবে। আমরা সকল সক্রিয় ছাত্রসংগঠন গুলোর কাছে এটাই প্রত্যাশা করি।
লেখক : সাজ্জাদুল ইসলাম ইয়ামিন
শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ
ঢাকা কলেজ
১ দিন ৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৫ দিন ১১ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৬ দিন ২১ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৭ দিন ৮ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৯ দিন ২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৯ দিন ১৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে