চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ কৌশলে দখল রাখায় এলাকাবাসী মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। মসজিদের পাশে ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকালে দোহাজারী পৌরসভার শামসের আউলিয়া জামে মসজিদকে পিতার মসজিদ দাবী করায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন সাবেক কাউন্সিলর মো. আলমগীর। এই সমাবেশে আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন মোহাম্মদ বাহাদুর ইসলাম, মোহাম্মদ ইউনুস, শাহ আলম, সাইফুল ইসলাম সুমন, নাসির উদ্দিন, দিল মোহাম্মদ, মো. ছাবের, মো. ফারুক, মো. নয়নসহ ৩ শতাধিক এলাকাবাসী। সমাবেশে বক্তরা বলেন, মাও. খোরশেদ আলমের ভাই পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মনসুর আলী ফয়সালসহ তার ভাইদের কবজা থেকে মসজিদের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ দখল মুক্ত করতে পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবী নিয়ে এলাকাবাসীসহ মুসল্লিরা এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিগত ১৯৬৬ সালের নির্মিত ঐতিবাহী পূর্ব দোহাজারী পৌরসভার শামসের আউলিয়া জামে মসজিদ। নির্মাণের পর থেকে উন্নয়নের নামে টাকা তুলেও অদ্যাবধি ১ টাকারও কাজ করেননি। সমাজের হাজার-খানেক মুসল্লিদের মধ্যে বাহিরে তারপল টাঙিয়েও শ’-খানেক মুসল্লি জরাজীর্ণ মসজিদে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হচ্ছে। এলাকার ৪ জন ব্যক্তি ওয়াকফ করা জায়গায় মাজার, পুকুর, কবরস্থান ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মাও. খোরশেদ আলম ইমাম ও খতিব পদে যোগদান করে নিজ দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। গত ১৯৮৮ সালের পূর্বে পর্যায়ক্রমে ৩ জন ওয়াকফ দাতা মৃত্যু বরণ করলে একক কর্তৃত্ব ও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে এইসব সম্পদের উপর। এমতাবস্থায় ২০০৮ সালে কমিটি গঠনের দাবী জানালে বিভিন্ন ধারায় আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে এলাবাসীকে। নাল জমির খাজনা, মাজার ও মসজিদের দান বাক্সের টাকা, পুকুর লাগিয়তসহ বার্ষিক ওরশের টাকা আত্মসাতের জন্য এই সব করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এই টাকার হিসাব চাওয়ায় ১৫ বছর মসজিদে নামাজ আদায় করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিল বলে জানান বক্তারা। মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করতে বাঁধা প্রদান করে মিথ্যা মামলাসহ নানা অনিয়ম হয়রানীর প্রতিবাদ জানান বক্তরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহবান জানান। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে মুতাওয়াল্লি ও খতিব খোরশেদ আলমের ভাই মনসফ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হয়। তখন তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করেন। তিনি আরোও জানান ওয়াকফ সম্পত্তি শুধুমাত্র মুতাওয়াল্লিরা পরিচালনা করেন। তাই অভিযুক্তদের মানহানিকর কর্মকান্ড থেকে মুক্ত হতে সম্পদ উন্নয়ন কমিটি করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার বাবার দান করা মসজিদের নামে থাকা আলাদা প্রায় ১০ কানি জায়গা অভিযুক্তদের দখলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে তারা সফল না হওয়ায় এই ধরনের কর্মকান্ড করে তাদের মানহানি করছে। এ সময় তিনি আরোও বলেন, দোহাজারীর বিভিন্ন মসজিদে লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের পরিবার থেকে দান করে আসছে। মসজিদ ও মাজারের কোন টাকা তাদের প্রয়োজন হয় না। তার ৪ ভাইয়ের ৫টি গাড়ির তেল খরচও দৈনিক ৫ হাজার টাকা। ফলে অভিযুক্তদের কারণে মসজিদের উন্নয়ন করতে পারছেন না বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।
৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে