|| কবিতা : প্রকৃতি ||
বিমোহিত মুগ্ধ আমি সবুজ ঘেরা প্রকৃতি দেখে,
সৃষ্টি করেছেন যিনি মহীয়ান অন্তরে লুকিয়ে থাকে।
দয়াময় প্রভু করেছেন উল্লেখ পবিত্র কুরআন খানেতে,
তাকাও তুমি মোর সৃষ্টির প্রতি, কোন খুঁত পাও কি তাতে?
বার বার তাকাও তুমি, নিশ্চিত ব্যর্থ হবে তোমার দৃষ্টি,
অবলোকন অতিশয় শ্রান্ত হয়ে ফিরবে সে যে আমার সৃষ্টি।
তাই তো চরম সত্যের কাছে নতজানু হতে হয় দিবা রাতে,
ঢেলে সাজিয়েছেন প্রকৃতিকে স্রষ্টা অকার্পন্য হস্তেতে।
পুস্তক তুল্য প্রকৃতির প্রকাশক স্বয়ং বিধাতা,
গড়িয়াছেন যিনি পাহাড়, সমুদ্র, ঝরনা তিনিই যে নির্মাতা।
মন যে আমার হারিয়ে যেতে চায় প্রকৃতির মাঝে,
নীল আকাশের মায়ায়, নব দিগন্তের সবুজের সাজে।
প্রকৃতিকে আমি বড্ড ভালোবাসি সে যে আমার স্রষ্টার সৃষ্টি,
প্রতিনিয়ত খুঁজে বেড়াই শান্তি সুখের পরশ আল্লাহর সন্তুষ্টি।
সুশোভিত করেছেন আকাশমণ্ডলীকে দ্বারায় প্রদীপ মালা,
নিক্ষেপের উপকরণ পাপাত্মার প্রতি জলন্ত অনল ধারা।
ভাবিয়া দেখিয়াছো কভু? ভূগর্ভে নিষ্কাশন হয় যদি পানি,
কে দিবে সুমিষ্ট পানি তোমাদের নাগালে আনি।
দাঁড়িয়ে পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের সাথে মিলনের অনুভূতি,
বৃষ্টির ফোঁটায় ভেজা পাতায় রঙ্গিন আঁকা প্রকৃতি।
মিষ্টি কলতান ঝর্ণার জলে মন কে করে দেয় প্রশান্ত,
মুখরিত বনানী পাখির কলরবে চিত্ত হয় না কভু ক্লান্ত।
ঝুলে থাকা গাছের পাতায় ঝলমল করে সূর্যের কিরণ,
এগুলি সবি দয়াময় প্রভুর অফুরন্ত সৃষ্টির নিদর্শন।
|| কবিতা : সালাম ||
••••••
ভাব বিনিময়ে করো সালামের প্রচলন
যদি হও মুসলিম,
রাসূল বলেছেন অগ্রে সালাম কারী
নিরহংকার মুমিন।
জিজ্ঞাসিত হইলেন রাসুল ইসলামে
কোন সামগ্রী উত্তম?
গুণকথন করেছেন ক্ষুধার্থকে অন্নদান
সালামের প্রচলন।
প্রবেশ করিবে না অন্যতর নিলয়ে
না দিয়ে সালাম,
পবিত্র কোরআনেতে আছে কথন
আল্লাহর কালাম।
সৃজন করেছেন প্রভু প্রথম
মোদের পিতা আদম,
দিক্ষা দিয়েছেন সালাম দিতে
ফেরেশতাকুলের প্রতি প্রথম।
সেটাই হবে তোমার অধিকন্ত
বংশাবলীর অভিবাদন,
মোলাকাতে সালাম অগণিত সাওয়াব
করো প্রবর্তন।
সালাম মানে শান্তি,
মর্যাদা অতি সম্পন্ন পরিপূর্ণ,
আসমাউল হুসনা স্রষ্টার নাম
নাম সমুহের অন্যতম।
যতবার হবে দেখা তোমার
ততবার দিবে সালাম,
হবে না তো আয়েব তাতে
বাড়বে অতি সম্মান।
মুসলিমে মুসলিমে হক যে আছে
হাদিসে তা প্রমাণ,
সাক্ষাতে সাক্ষাতে সালাম করো
প্রচলন রাসুলের নিদর্শন।
সালাম প্রদানে যে করে কার্পণ্য
সে যে বড় কৃপণ,
বন্ধুত্ব পায় বৃদ্ধি তাতে
দূরবীত হয় শত্রুতা দুশমন।
তাইতো মোরা ছোট বড় সকলে
করি পণ,
আমাদের সমাজে করব সবাই
সালামের প্রচলন।
|| কবিতা : বৃষ্টি | |
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে
প্রকৃতি সাজে নতুন রুপে ,
বৃষ্টির জলে ভিজে
মন নাচে ধরণী চিত্তের মাঝে।
ফোঁটা-ফোঁটা বৃষ্টি ভিজিয়ে
দেয় মাঠ, পথ, প্রান্তর।
কৃষানিরা আহ্লাদ করে,
বৃষ্টি ভালো লাগে না কার?
উত্তপ্ত ধরণীতে বুলিয়ে দেয়
শান্তি সুখের পরশ,
বৃষ্টি প্রকৃতির স্বর্গীয় সৌন্দর্য উপলব্ধি পরম আবেশ।
বর্ষিত করেন যিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি,
তিনি মহিয়ান,
বান্দার জীবিকার জন্য ফলমূল করেন উৎপাদন।
দেখেছি আমি আকাশ সাঁজে মেঘে আষাঢ়ে, শ্রাবণে,
তর্জনে গর্জনে বৃষ্টি ঝরে রিমি ঝিমি ছন্দে শুনি আনমনে।
এখন দেখি নীল আকাশ মেঘের বাতাসে পৌষ মাস,
ঝরো ঝরো বৃষ্টিতে শিক্ত করে সবুজ শ্যামল ঘাস।
স্যতস্যাঁতে কাদা মাটিতে পথ চলতে অতিশয় বিরক্ত কর,
বলি তবুও আলহামদুলিল্লাহ বৃষ্টি স্রষ্টার করুণার অফার।
আষাঢ় শ্রাবণ মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতারা বাঁজে,
দৃষ্টি চলে যায় দূর দিগন্তে মন বসে না কোন কাজে।
কান্নার আকাশে মনকে আন্দোলিত করে ফুরফুরে বৃষ্টি,
চলে এসো বর্ষায় ঝরো ঝরো বৃষ্টিতে জলভরা দৃষ্টি।
বৃষ্টি এলো শহরে বৃষ্টি এলো গ্রামে, গঞ্জে, বনে,
প্রতি ফোঁটা বৃষ্টির জল ভালোবাসা বয়ে আনুক সর্ব মনে।
৭ দিন ১৮ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৮ দিন ৮ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১০ দিন ৭ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৩ দিন ১০ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১৮ দিন ২১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
২৩ দিন ৬ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
২৩ দিন ৭ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
২৩ দিন ২১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে