◾রমজান বেপারী || জীবনের পথচলায় ভালো থাকার অনেক উপায় আছে। তবে চলুন আজকে মানসিকভাবে ভালো থাকার কিছু কার্যকরী উপায় নিয়ে আলোচনা করা যাক; যেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে। তবে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে মানসিক সুস্থতার উপর শারীরিক স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভরশীল।
» শুধু আজকের জন্য বাঁচুন
ভবিষ্যতের ভাবনাটা আমাদের মানসিক চাপ ও উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে। জীবনের সমস্যা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন আমাদের সমস্যা গুলো খুবই অস্থায়ী এটা সময়ের সাথে সাথে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু মানসিক চাপগুলো আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন করতে পারে, যেটা হতে পারে শারীরিক এবং মানসিক। আপনি আপনার বন্ধু আত্মীয়স্বজনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পারেন তারাও জীবনে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে সারভাইব করেছে। আপনি প্রত্যেকটা দিন কে আপনার কাঙ্খিত দিনে পরিণত করুন।
» জীবন থেকে প্রত্যাশা কমিয়ে ফেলুন
জীবন থেকে যত প্রত্যাশা কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনি ততো বেশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। আপনার জীবনে দৈনিক ঘটে যাওয়া নানান সমস্যাগুলো একজনের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। যিনি মানসিক বিষয় অভিজ্ঞ ও আপনাকে খুব করে বুঝে,কিংবা এমন ব্যক্তি যাকে আপনি মনে করেন যে তার কাছে কথা গুলো ভাগাভাগি করলে আপনি ভালো বোধ করবেন৷ আপনি যদি মনে করেন আমি সবাইকে ছেড়ে একাই থাকবো তাহলে সেটা আপনার স্বাভাবিক জীবন চলাচলকে ব্যাহত করবে,মানুষ সামাজিক জীব তাই একা থাকা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। কারণ মানুষ সমাজের অন্যন্য মানুষের দ্বারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে প্রভাবিত ।আপনার অবশ্যই একজন জীবনে বিশেষ মানুষ থাকা দরকার আছে। নিঃসঙ্গ জীবন আপনাকে শুধু হতাশা ও হাহাকার এনে দেবে। মনে রাখবেন একজন ভালো বন্ধু পাঁচজন সাইকোলজিস্টের সমান, তাই কখনো বন্ধুহীন হবেন না।
» কখনো আবেগ চেপে রাখবেন না।
নিজের মনের কথা সঠিক মানুষের কাছে বলতে কখনো দ্বিধাবোধ সঠিক করবেন না। কান্না পেলে প্রয়োজনে কাঁদবেন এতে মানসিক চাপ কমবে অনেকাংশে। এবং হাসুন প্রাণ খুলে। অবসর সময়ে নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন।
» ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলা করতে পারেন।
পছন্দের মানুষের সাথে কোথাও ঘুরে আসুন। যদি ধর্মে বিশ্বাসী হন তাহলে আপনার ধর্মকর্মগুলো করুন। এতে আপনি এক অন্য রকমের মানসিক শান্তি পেতে পারেন, এবং আপনার ভিতরে ধৈর্য্য ধারণা করার ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পাবে।
যদি কখনো মনে করেন যে আপনার
মানসিক সমস্যা বেশি প্রগাঢ় মনে হচ্ছে তাহলে একজন ভালো সাইকোলজিস্টের সাথে আলাপ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারো উত্থান পতন কিংবা আনন্দ দেখে নিজেকে প্রভাবিত করবেন না। আসলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষদেরকে যেভাবে দেখেন প্রকৃতপক্ষে তারা তা নয়। এখানে সবাই মুখোশ পরে উপস্থিত হয়৷
» সমালোচনাকে না বলুন
কারো সমালোচনা করতে যাবেন না। এবং অন্যের সমালোচনায় কর্ণপাত করবেন না। নিজের যা আছে সেটা কে বড় করে দেখুন। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পরে একটি জীবন্ত ব্যাঙ খান!মানে একটি ব্যাঙ খাওয়ার কল্পনা করুন,এটা মনে মনে ভাবুন, যে দিনের সবচেয়ে বাজে কাজ টি আপনি করে ফেলেছেন। এবং এর চেয়ে বেশি কিছু হয়তো আপনার সাথে ঘটবে না। এটা মনে করুন যে আমার সাথে আজ যা ঘটবে আজকে আমি তা মেনে নিতে প্রস্তুত। আপেক্ষিক দিক থেকে ভবিষ্যৎ বলতে কিছু নেই। আপনি প্রতিটি দিন কে আপনার মনের মতো করে তৈরি করুন। ভালো থাকুন।এবং অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন, এতে করে নিজের মধ্যে ভালো অনুভব হবে।
লেখক : রমজান বেপারী
শিক্ষার্থী, বি.এস.সি, ইন সাইকোলজি
ডক্টর নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয়।
১১ দিন ১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
২০ দিন ১৬ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
২৫ দিন ৩ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২১ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৪২ দিন ১০ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৪৫ দিন ২০ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৪৮ দিন ২২ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৫৮ দিন ৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে