গ্রামের হিমেল বাতাস গায়ে মেখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে বেড়ে উঠবে এটাই সাভাবিক।পৃথিবীতে সবাই সমান ভাগ্য নিয়ে জন্মায় না। জন্মের পর থেকে আমৃত্যু কেউ সুখে বসবাস করেন আবার কাউকে সারা জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তাদের জীবনের সংগ্রাম যেন শেষ হয় না। তেমনি একজন জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী তুরজাউন । সংগ্রামে জয়ী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে । সফলতার আশায় বুক বেধে পথ চেয়ে আছেন আজও। তার পিতার মোঃ সমসের। যশোরের অভয়নগরে শ্রীধরপুর ইউনিয়নের কামকুল গ্রামে তার বাড়ি।
জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার সামনে সকল বাধাকে তুচ্ছ করতে যে মনোবলই যথেষ্ট তার জীবন্ত প্রমাণ তুরজাউন। জন্মের পর থেকেই সে প্রতিবন্ধী। চার ভাই বোনের মধ্যে সে সকলের ছোট। ১৮ বছর বয়স হয়েছে এখন তার। হাত নাড়াতে পারলেও দুই পা তার সম্পূর্ অকেজো। তুরজাউনের জীবনটা চরম কষ্টের হলেও সৃষ্টি কর্তা যেন তাকে একজন যোগ্য পিতা উপহার দিয়েছে। তার পিতা তাকে একটি মুদি দোকান তৈরী করে বেচা-কেনার দায়িত্ব দিয়েছে। ভিক্ষা নয়,সাহস যুগিয়েছে পরিশ্রমের মাধ্যমে আয় করে মাথা উচু করে দাড়াতে। সকাল হলেই বাড়ির পাশে দোকানে এসে বসে সে। পাশেই রয়েছে কামকুল সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর অভয়নগর কারিগরী কলেজ। এখানকার ছেলে-মেয়েরা, এলাকার পাড়া প্রতিবেশীরা তার দোকানে বেচা-কেনা করে। এতে তার ভালই ব্যবসা হয় বলে সে জানাই। তুরজাউন ক্লাশ টু পযর্ন্ত লেখাপড়া করেছে ,লিখতেও পারে সে।
কখনো আবার হুইল চেয়ারে করে বাইরে বের হয় ঘুরতে। হুইল চেয়ারে বসেই খেলার সাথীদের সংঙ্গে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে খেলা করে তুরজাউন। সকলের সাথে আনন্দ ভাগাভাগী করে দিন কাটে তুরজাউনের।
প্রতিবন্ধী অনেক অভাবী মানুষরা অনেকেই ভিক্ষায় নেমে যায়, কিন্তু এই কিশোর ভিক্ষা বা সাহায্যের জন্য মানুষের নিকট হাত পাতাকে অপছন্দ করে।দুটি পা অকেজো হলেও ব্যবসায়র কাজে নেমেছে সে, করুণা নয় অধিকার নিয়েই টিকে থাকতে চাই। তার এই উত্তর অনেক কেই অনুপ্রাণিত করছে। সে বলে, তার এই ভাংড়ী হাতে চালিত হুইল চে্য়ারে চলতে তার এখন কষ্ট হয়,মটর চালিত একটা হুইল চেয়ার হলে তার খুব ভাল হতো। আমাদের উচিৎ তরিজাউনের মতো সকল প্রতিবন্ধী কে উৎসাহ প্রদান করা।
২ দিন ৭ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
২ দিন ১০ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৬ দিন ১৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৭ দিন ১১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৮ দিন ৬ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৭ দিন ১২ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১৮ দিন ১ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
২৪ দিন ৬ ঘন্টা ২ মিনিট আগে